### সবাইকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি।

|![20250513_090559.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmSwSdLkNb6CYmPSGyWzvbTNDtz2f5kRmZggpFBV1axHxM/20250513_090559.jpg)| |-| _{Cover Photo} আজকের সকালটা শুরু হয়েছিল এক অনন্য শান্তিতে। ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ছাদে যাই। সেখানে পোষা কবুতরগুলোর মুখ চেয়ে থাকে আমার দিকে ভূট্টা খাওয়ার আশায়। |![20250511_074505.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmZiWBYi8Y1ucxZPSmDfPd6L5UxkBuZh1v4LqtGEBARA5P/20250511_074505.jpg)| |-| প্রতিদিনের মতো তাদের যত্ন নেই, খাওয়াই। এরা সারাক্ষন আমার আর মেহেকের অপেক্ষায় থাকে, কেননা আমরা দুজন ই বেশির ভাগ সময় এদের মনের কথা বুঝি। এদিকে রোদের তেজ সকাল সকাল বেশ কড়া, কিন্তু সেই রোদেই ছাদের কোণে জমে থাকা মুহূর্তগুলো ক্যামেরায় বন্দী করি। ছাদ থেকে সাম্নের খোলা মাঠ তার পাশের উচু উচু দালান, এবং সব কিছু ছাড়িয়ে মসজিদের উচু মিনার। যদিও এই ফ্রেমে এর আগেও অনেক ছবি ক্যাপচার করেছি তবে প্রতিবার নতুন করে ক্যামেরাবন্দী করতে ভালো লাগে। প্রতিবার ছবিগুলো হয়ে ওঠে আরো জীবন্ত। |![20250511_074703.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmW1PXeJ7NMLSmShLvL1MNse47baRAHw8MSoqTBtR9kREt/20250511_074703.jpg)| |-| ছাদ থেকে ফিরে নাস্তার পর মেয়েকে নিয়ে যাই পাশের মাঠে। ও বল নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করে, আর আমি মাঠের এক কোণে বসে বসে কৃষ্ণচূড়া গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকি। গাছটা যেন আগুন ছড়িয়ে দিয়েছে তার ডালে ডালে। আর এখন যে তীব্র তাপদাহ, প্রকৃতিতেই যেন আগুন লেগেছে। |![20250511_100827.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmdQZaWCURHjrwvUxYUWMVXXKLVdri7Qfj9iMeSdkUh7e2/20250511_100827.jpg)| |-| মাঝে কিছু ছবি তুলে ফেলি রঙ আর রোদ একসাথে মিশে অপূর্ব হয়ে ওঠে। এই মাঠের পাশে কয়েকটা বড় বড় নিম গাছ আছে, এখানে এসে বসলেই এই গরমেও মন জুড়িয়ে যায়। নিম গাছ সব সময় শীতল বাতাস প্রদান করে। ১১টা পেরোতেই সবাই মিলে ঘুরতে বের হই। গন্তব্য, আল মুস্তাফা মসজিদ। মসজিদের চারপাশটা ঘুরে দেখি, স্থাপত্য আর নীরবতায় এক ধরণের প্রশান্তি থাকে। তবে গরমের প্রচণ্ডতায় বেশি সময় থাকা গেল না। |![20250511_105246.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmYBUTB1rMFGySr2NFTJWniA8i1boggijWn4ToJGtxuqY1/20250511_105246.jpg)| |-| সেখান থেকে চলে গেলাম সুভাস্তু নজরভ্যালীতে। সেখানে মেয়ের জন্যে টুকটাক কেনাকাটা করে বাসায় ফিরলাম। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিই। তবে প্রচন্ড গরমের কারণে কোথায় শান্তি পাচ্ছি না। এভাবেই কোন রকম দুপুরটা পার করি। বিকেলের নাস্তায় গিন্নির চমক ঘরের ফুচকা! হালকা ঝাল আর টক স্বাদের সেই ফুচকা যেন দিনের ক্লান্তি মুছে দেয়। |![20250511_190728.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmauEH8TSfMMen84vk2D1e3T45nB364pHMsA9EVZ5wnE5A/20250511_190728.jpg)| |-| সব সময়ই এই একটা জিনিস গিন্নি বাহিরের দোকানে খেতে চায় আর আমি ঘরে বানানো। কি দরকার বাইরের নোংরা পরিবেশে এসব খাওয়ার? রাতের খাওয়া ছিল আরও জমজমাট তিন পদের ভর্তা। বাদাম, পোড়া বেগুন আর মাছের ভর্তা। একেকটা স্বাদ একেক রকম। মনে হলো, ঘরের খাবারই যেন সবচেয়ে বড় বিলাস। ভর্তা ভাত যে ভালোবাসে না সে আসলে বাঙালি না। |![20250511_212320.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmVi1bu7cyPgZTMpsF3ia4bzhx1pPD6eQxrCLsyufYaaLm/20250511_212320.jpg)| |-| সব মিলিয়ে আজকের দিনটা ছিল প্রশান্তিময় ও পরিপূর্ণ। প্রিয় মানুষদের সাথে সময় কাটানো, পছন্দের কাজ করা আর ছোট ছোট মুহূর্তগুলো উপভোগ করাই আজকের দিনটিকে বিশেষ করে তুলেছে। জীবন এমন সহজ আর সুন্দর হলেই মনটা ভালো থাকে।