আজকের দিনটা শুরু হলো একটু তাড়াহুড়োয়। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে দিনের যাত্রা শুরু করলাম। |https://cdn.steemitimages.com/DQmUcKSuRq8oi4tuSyWEEHrQMYEpzRaapTUGibnyqzqnUU5/20250517_085236.jpg| |-| _{Cover Photo} ঈদ সামনে বলে টিকিট কাটার চিন্তাটা ভর করেছিল মাথায়। তাই নামাজ শেষে বসে গেলাম অনলাইনে ঈদের টিকিটের জন্য যুদ্ধ করতে। একের পর এক সাইট ভিজিট করলাম, কখনো সার্ভার ডাউন, কখনো টিকিট শেষ! অবশেষে ধৈর্য ধরেই হানিফ এন্টারপ্রাইজের একটি টিকিট বুক করতে সক্ষম হলাম সহজ ডট কম থেকে। টিকিট পাওয়াটা যেন একটা যুদ্ধ জেতার মতোই মনে হলো। এরপর সকালের নাস্তা সেরে, গিন্নির রান্নাঘরের ব্যস্ততায় নিজেও কিছুটা সাহায্য করলাম। |![20250516_105858.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmZDCQ5t2EvXUwpzo3pjvKrxf2DPHToY2VhtRUejYZTeq2/20250516_105858.jpg)|![20250516_112914.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmVNtKKUFRZZjewzaev34ikFTt3rbCH9PAsQxku71cQb3E/20250516_112914.jpg)| |-|-| রান্নাঘর থেকে তখনই মসলার ঘ্রাণে মন ভরে যাচ্ছিল। আজ গৃহিণীর মেন্যুতে ছিল মুখরোচক ভূড়ি ভাজি আর মজাদার দেশি মোরগ । নাস্তার পরে পরিবারের সবাই মিলে ১১টার দিকে বসে গরম গরম আলু পাপড় ভাজলাম। একসাথে ভাজা আর খাওয়ার সে মুহূর্তটা ছিল প্রাণবন্ত ও আনন্দময়। |![20250516_113801.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmctatKaL6B3xdLgEZnemDbj85XkBksNL9pQV9ccaqcUCJ/20250516_113801.jpg)| |-| জুম্মার সময় হয়ে এলে আমরা সবাই নামাজের প্রস্তুতি নিতে লাগলাম। আমাদের এলাকায় যে মসজিদে যাই, সেখানে ছেলে-মেয়েদের জন্য আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আজ আমার মেয়ে মেহেক তার মায়ের সাথে মসজিদে গেল নামাজ পড়তে। মেয়েটার ছোট ছোট কাজগুলোতে বড়দের মতো পরিপাটি ভাব দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। নামাজ শেষে বাসায় ফিরে এলাম। গরম গরম ভাত, ভূড়ি ভাজি আর মোরগের ঝোল দিয়ে দারুণ একটা দুপুরের খাবার হলো। খাবার শেষে মেয়েকে আদর করে ঘুম পাড়িয়ে দিলাম। তারপর আমরা দুজন বসে ‘অঘটন’ নামে একটা নাটক দেখলাম। |![Screenshot_20250517-091520_Chrome.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmNvxh6tA64SAzEsegzeShh4GseGYL87N1sYSg7onjLSE3/Screenshot_20250517-091520_Chrome.jpg)| |-| _{নাটকের একটি হাসির মুহূর্ত, ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট নেয়া} নাটকটা বেশ চমৎকার, সারাটা সময় হাসতে হাস্তে পেট ব্যাথা হবার উপক্রম হলো। অপূর্ব আর সাবিলা নূর জুটির অন্যতম সেরা একটা নাটক এটি। বিকেলবেলা আবহাওয়া বেশ ভালো ছিল। তাই মেহেককে নিয়ে বের হলাম মাঠের দিকে। খোলা মাঠ আর বিকেলের কোমল আলো সব মিলে এক অপূর্ব দৃশ্যপট। আমি ফটোগ্রাফির নেশায় কিছু ছবি তুলে নিলাম, আর মেহেক দৌড়ে গেল তার বন্ধুদের সঙ্গে খেলার জন্য। ওদের হাসি-ঠাট্টা আর ছুটোছুটিতে মনে হচ্ছিল শৈশবটা যেন ঘুরে ফিরে এসেছে। |![20250516_175230.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmSq8imnd8Jcat9UgbQZ9wCdFZng1YmxrjJ8WoLQ7nagUr/20250516_175230.jpg)| |-| _{বিকেলের কিছু মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দী করার চেষ্টা} |![20250516_181826.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmdwQU4YmtwsPCA4pqA2mswmuqReVnZ5G5DAHQnve6GpQY/20250516_181826.jpg)| |-| মাগরিবের আজান হলে নামাজ আদায় করেই বাসার পথে রওনা দিলাম। পথে একটি দোকান থেকে পুরি আর পেয়াজু কিনে নিলাম। বাড়ি ফিরে সবাই মিলে খেয়ে বেশ উপভোগ করলাম স্ন্যাকসের সময়টা। |![20250516_191714.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmRLZBchupYPVatq3tpEKsHrJMv8wgxyhjFpkNePnNeMGE/20250516_191714.jpg)| |-| এরপর গিন্নি চায়ের কেটলিতে ফোটানো পানি দিয়ে বানিয়ে দিলেন লাল চা। সন্ধ্যার এই চায়ের মুহূর্তটা যেন পুরো দিনের ক্লান্তি মুছে দেয়। |![20250516_193618.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmSLmRo1i3faYKXyEi6X2MW2XEx5zc145Nrz1qnh4T3u7f/20250516_193618.jpg)| |-| রাতের দিকে মেহেককে নিয়ে একটু পড়ালেখার সময় দিলাম। ওর ছোট ছোট প্রশ্ন আর মনোযোগ দেখে মনটা ভরে উঠল। হঠাৎ করেই বাইরে শুরু হলো ঝড়-বৃষ্টি। আকাশে গর্জন, সব মিলিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশ। কিছু সময়ের জন্য বিদ্যুৎও চলে গিয়েছিল, তবে রাত ১১টার দিকে আবার ফিরে এলো। দিনটা বেশ ব্যস্ত, কিন্তু আনন্দে কেটেছে। প্রিয়জনের সঙ্গে এমন সহজ-সরল একটা দিনও যে এত শান্তি দিতে পারে, সেটা আবার নতুন করে উপলব্ধি করলাম। রাতে হালকা খাওয়া-দাওয়া সেরে সবাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।