অনুসন্ধিতসাই মানুষের জীবনকে এগিয়ে নিয়ে চলে

in hive-120823 •  4 months ago 

নমস্কার বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আজ আপনাদের সঙ্গে স্কুলের একটি বাচ্চার প্রখর বুদ্ধির কথা বা বলতে পারেন প্রখর কাল্পনিক চিন্তার কথা ভাগ করে নেব। আজ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণির বাচ্চাদের ভূগোলের সৌরজগৎ অধ্যায়টি পড়াচ্ছিলাম। যখন আমি বাচ্চাদের সৌরজগৎ সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলাম তখন কেউ সেরকম উত্তর দিতে পারেনি। কিন্তু যেই ওদেরকে বিভিন্ন রকম তথ্য দিতে শুরু করলাম তখনই একটি বাচ্চার কাছ থেকে বিশেষ কিছু প্রশ্ন আমার দিকে উঠে আসলো। যে প্রশ্নগুলি খুব কম বাচ্চা করে থাকে।

girl-8435339_1280.png

https://pixabay.com/vectors/girl-clouds-stars-art-calm-anime-8435339/
সৌরজগৎ সম্বন্ধে বোঝানোর প্রথমে আমি একটি খাতায় ছবি এঁকে সূর্য ও তার আটটি কুলীন গ্রহের কথা বাচ্চাদেরকে বোঝালাম। যার মধ্যে পৃথিবী তিন নম্বরে অবস্থান করছে। পৃথিবীর সম্বন্ধে বলতেই একটি বাচ্চার কাছ থেকে প্রশ্ন উঠে আসলো-
১.বড়দি তাহলে আমরা কি মহাকাশে আছি?

২.আমরা পৃথিবীর কোথায় আছি মধ্যে না উপরে?

৩.যদি আমরা পৃথিবীর মধ্যে থাকি তাহলে রকেট কি করে মহাকাশে বা চাঁদে যাচ্ছে আর আমরাইবা কি করে পৃথিবী থেকে চাঁদকে দেখতে পারছি?

৪. পৃথিবী যদি মহাকাশে অবস্থান করে তাহলে মহাকাশটা কত বড় তার মধ্যে ছোট্ট একটা ছায়াপথ যার নাম তুমি বললে আকাশগঙ্গা তার মধ্যে পৃথিবী তিন নম্বরে আছে। পৃথাবীর আবার সাতটা মহাদেশ সেই সাতটা মহাদেশের মধ্যে ভারত একটা দেশ আবার ভারতের মধ্যে আমাদের কৃষ্ণনগর ছোট্ট একটা শহর আবার সেই শহরের মধ্যে আমাদের এই আশ্রমটা ছোট্ট একটা আশ্রম আর সেখানে আমরা ছোট্ট ছোট্ট মানুষ। তাহলে আমরা কত ছোট্ট কিন্তু এত ছোটো হয়েও আমরা এত বড় বড় কাজ করি কি করে?

এই এত প্রশ্ন শুনে প্রথমে তো আমি কিছু সময়ের জন্য হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ এতদিন আমি সবাইকে এই প্রশ্নগুলো করেছি আজ প্রথম কেউ আমাকেই প্রশ্নগুলো করল। তাই বাচ্চাটিকে প্রথমেই বললাম তোর প্রশ্নের মধ্যেই উত্তরগুলো লুকিয়ে আছে। প্রথমে বলি এই স্কুলে তোরা আজকে চল্লিশটা বাচ্চা এসেছিস। আর তোদের ক্লাসে দশটা বাচ্চা। দশটা বাচ্চার মধ্যে একমাত্র তুই এই প্রশ্নগুলো আমাকে করলি। অর্থাৎ তোর জানার আগ্রহটা সবার থেকে বেশি যার জন্য তুই এত প্রশ্ন করলি আমাকে।
এভাবেই মানুষের অজানাকে জানার আগ্রহ থেকে বেরিয়ে এসেছে তাদের প্রশ্নের উত্তর। এবং সেই উত্তর জেনেই মানুষ থেমে থাকেনি। উত্তর জানার পরেও মানুষ সেই উত্তরের পারে যাওয়ার চেষ্টা করেছে অর্থাৎ জগৎটাকে সে তার হাতের মুঠোয় আনতে চেষ্টা করেছে। তাইতো আমরা এই পৃথিবীর ওপরে অবস্থান করা সত্ত্বেও আমাদের আকাশ গঙ্গা ছায়াপথে অবস্থিত আটটি গ্রহের কথা জানতে পেরেছি এবং তাদের ছবিও আমরা দেখতে পেয়েছি। পৃথিবীর একটি মাত্র উপগ্রহ চাঁদ এর ওপরে মানুষ পা রাখতে পেরেছে।

এই সবকিছুই হয়েছে শুধুমাত্র মানুষের অজানাকে জানার আগ্রহ থেকে। মানুষ তো বুদ্ধিমান জীব সেটা আমরা সকলেই জানি। এবং সেই মানুষের বুদ্ধি এতটাই প্রখর ও তার মন এতটাই দ্রুতগামী যে ,সে নিজের মন ও বুদ্ধিকে একত্রিত করে বহু অজানা তথ্যকে নিজের হাতের মুঠোয় আনতে পেরেছে। তাইতো কোন কিছু জানার আগ্রহ থাকলে তবেই সামনের দিকে এগুনো যায়। না হলে থেমে থাকতে হয় একটি জায়গাতে। আর একবার যদি আমরা থেমে যাই তাহলে এগিয়ে যাওয়ার পথ আবিষ্কার করার ক্ষমতা ও আমাদের থেমে যাবে। তাই অজানাকে জানার আগ্রহকে সব সময় বাঁচিয়ে রাখতে হয়।

এ কথাটা সত্যই চিরসত্য যে আমাদের জানার আগ্রহ আছে বলেই আমরা আমাদের কাজে প্রেরণা পাই,নতুন কাজ করতে শিখি ।কিন্তু এই জানার আগ্রহ যখন আমাদের আর থাকবে না তখন কোন কাজেই আমাদের মন বসবে না ।আমরা কোনভাবেই নিজেকে কোন কাজের সঙ্গে যুক্ত করতে পারবো না। জীবনটা যেন সেখানেই থমকে দাঁড়িয়ে থাকবে।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

এই পৃথিবীতে জানার কোন শেষ নাই আপনি চাইলে কিন্তু অনেক কিছু জানতে পারেন অনেক কিছু বুঝতে পারেন তবে মহাকাশ সম্পর্কে অনেকেই জানতে আগ্রহ প্রকাশ করে না আবার অনেকের কাছে এটা অনেক বেশি মূল্যবান আজকে আপনার পোস্ট পড়ার পর সৌরজগৎ এবং মহাকাশ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম অসংখ্য ধন্যবাদ অন্য রকম লেখা আমাদের সাথে তুলে ধরার জন্য ভালো থাকবেন।