|![IMG_20250326_184705.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmUtyp38uJxwwtxqvp6m9Utnq3bN3EoWoXGQcUuMgEiDTX/IMG_20250326_184705.jpg)| |-|

হ্যালো বন্ধুরা,

সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা। আশা রাখি এই পবিত্র মাসে যে যেখানে আছেন, ভালো আছেন ,সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে লাখ লাখ শুকরিয়া শত অসুস্থতা এবং ব্যস্ততার মাঝেও পবিত্র রমজান মাসের রোজাগুলা রাখতে সক্ষম হয়েছি,এতেই লাখো কোটি শুকরিয়া।

|![IMG20250325165618.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmNpvQQQ1niqXPyBv36WQhwNuDDbKjwHupUsmoAxPyCDtB/IMG20250325165618.jpg)| |-|

|![IMG20250325165227.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmepVdi3N3TWuEEgxFmvPRrkpUyxk1qxM5TbEJCzh3Ug5Y/IMG20250325165227.jpg)| |-|

|![IMG20250325165215.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmf3Dvw1JU3LPBaeKpt4JgZiPhs6M7ECZzwytGx3GPAYKW/IMG20250325165215.jpg)| |-|

বন্ধুরা গত ২৫শে মার্স ছিল এস,এস,সি ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানটি দুটি দিক থেকে আমার কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এর মধ্যে একটি হলো এই পরীক্ষার্থীদের মাঝে আমার ছেলেও রয়েছে। আপনারা জানেন আমার তিন সন্তান ।দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে। আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনেই যেহেতু এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি তাই এই কোমলময়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানটি আমাদের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। শাসন করা তারই সাজে ,আদর করেন যিনি। আমরা শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে অনেক সময় তাদেরকে শাসন করি।অনধিকার চর্চাও করি অনেক সময় ।এটা আসলে আমাদের ভিতর থেকে আসা ভালোবাসা বহিঃপ্রকাশ। এক-দেড় হাজার শিক্ষার্থীদের মঙ্গল কামনা করেই করি এই কাজটি। |![IMG20250325173257.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmaRtY1j6XkEEBcmfaKgpSvxvpYB9yS7qWWRB63VX3ofgz/IMG20250325173257.jpg)| |-| একটা দীর্ঘ সময় শিক্ষার্থীরা আমাদের সাথে অতিক্রম করে। তাই তাদের সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটি ধারণা জন্মায় আমাদের। এমনকি কোন মেধাবী শিক্ষার্থী যখন কোন খারাপ কাজে লিপ্ত হয় বা কোন খারাপ কাজ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করে ,তা আমাদের চোখে পড়ার সাথে সাথে আমরা বারণ করি। সেই পথ থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করি। বাবা মা যেরকম প্রতিটা সন্তানের মঙ্গল কামনা করে এবং সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে একজন শিক্ষক ও তাদের শিক্ষার্থীদের নিজের সন্তানের মতই মনে লালন করে। যেহেতু, এই বিদায়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে আমার ছেলেও ছিল ‌।আমার বারবারই মনে পড়ছিল যে, এই তো সেদিন হাত ধরে স্কুল প্রাঙ্গনে নিয়ে এসেছিলাম ।দেখতে দেখতে দশটি বছর চলে গেল জীবন যে কত সংকীর্ণ ,কত ছোট ,তা ভাবার অবকাশ রাখে না। আমাদের সময়ে বিদায় অনুষ্ঠান যেরকম ছিল এখনকার বিদায় অনুষ্ঠানটা একটু ভিন্নরকম। ছেলে মেয়ের স্মার্ট হয়েছে ,তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে তারা অনেক প্রযুক্তি নির্ভর হয়েছে। তাই তাদের অনুভূতি টা ছিল একটু অন্যরকম। মাঠে বিভিন্ন ধরনের ডিসপ্লে ও ফটো সেশন করছিল। আমাদের সময়ের বিদায় অনুষ্ঠানের সাথে এখনকার বিদায় অনুষ্ঠানে অনেক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আমাদের সময় হয়তো দুই একটা গ্রুপ ছবি তুলতাম শিক্ষকদের সাথে, সহপাঠীদের সাথে ।কিন্তু এখনকার ছেলেমেয়েরা বাহির থেকে ক্যামেরামের ভাড়া করে নিয়ে এসেছে ।বিভিন্ন জায়গা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও করছে। তবে ভালোই লেগেছে আমার কাছে বিষয়টা দেখে ।ছেলেমেয়েদের মধ্যে একটা আমুলপরিবর্তন এসেছে। আমরা বিষয়টাকে নিয়ে যেভাবে ভাবতাম ওদের ভাবনা চিন্তা এসেছে পরিবর্তন। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। বিদায় অনুষ্ঠানকে ঘিরে আমাদের কলেজ টাকে সাজানো হয়েছে। প্রশাসন থেকে লোক এসেছে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিদায় দেওয়ার জন্য এবং তারা মূল্যবান বক্তব্য রেখেছেন । দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন আমাদের অধ্যক্ষ মহোদয়। তারপর তাদের মধ্যে এডমিট বিতরণ করা হয়েছে এবং ইফতার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের হাতে। যেহেতু ,রমজান মাস তাই তাদেরকে ইফতারের প্যাকেট হাতে তুলে দিয়েছে , যাতে করে যে যার মত করে বাসায় যেয়ে ইফতার করে ফেলতে পারে ।আর আমরা কয়েকজন শিক্ষক একসাথে বসে আমাদের কলেজ প্রাঙ্গনে ইফতার করেছি । বিদায় শব্দটা অনেক ভার। বিদায় শব্দটির সাথে অনেক কিছু জড়িত । তবে এই বিদায় ,চির বিদায় নয়। ভালো কিছু অর্জনের জন্য জীবনকে সুন্দরভাবে গড়ে তোলার জন্য এই বিদায় ।দোয়া করি প্রতিটি মায়ের মুখ যেন উজ্জ্বল হয় ।যেন ভাল রেজাল্ট করে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে পারে,সেই প্রত্যাশাই করি। তাছাড়া প্রতিটা শিক্ষার্থী যেন সুস্থ থেকে পরীক্ষা দিতে পারে ।সমস্ত বালা মসিবত থেকে যেন তারা রক্ষা পায় রব্বুল আলামীনের কাছে সেই প্রার্থনা করি। সবাইকে আবারো মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে, আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ। দেখা হবে পরবর্তী ব্লগে, শুভরাত্রি।