![stove-3083122_1280.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmYtuLj99BGgx77FyjZizNimuAWu9mgwzZi7iWGcvtNFV2/stove-3083122_1280.jpg) [সোর্স](https://pixabay.com/photos/stove-cooking-cooking-utensils-3083122/) আজকের যুগে রান্না কেবল মেয়েদের কাজ নয়। এটি একটি দক্ষতা যা ছেলেদেরও আয়ত্ত করা উচিত। রান্না শিখার বিষয়টি অনেকেই লজ্জার চোখে দেখে, কিন্তু এটি আদৌ কোন লজ্জার বিষয় নয়। বরং এটি একজন মানুষের ব্যক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপায়। সবসময় যে মায়ের হাতের রান্না বা স্ত্রীর রান্না কপালে জুটবে, এমনটি নয়। জীবনের বিভিন্ন সময়ে এমন পরিস্থিতি আসতে পারে, যেখানে একজন ছেলে রান্না জানে না বলে সমস্যায় পড়তে পারে। তাই রান্না শিখে রাখাটা তার জন্যই ভালো। প্রথমেই বলতে হয়, আমাদের সমাজে একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে যে ছেলেদের রান্না করার দরকার নেই। তারা শুধু বাইরের দিক সামলাবে, আর মেয়েরা ঘরের কাজ করবে। কিন্তু এই ধারণাটি বর্তমানে পুরনো হয়ে গেছে। সময়ের প্রয়োজনে আজকের ছেলেদেরও রান্না শেখা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পড়ালেখা বা চাকরির জন্য অনেক সময় ছেলেদের ঘর ছাড়তে হয়। তখন বাইরে গিয়ে সবসময় মায়ের হাতে রান্না খাওয়ার সুযোগ থাকে না। এক সময় নিজের রান্নার প্রয়োজন হবে। একটা সময় হয়তো ভাবতে পারেন, বাইরে থেকে কিনে খেয়ে নেবেন। কিন্তু এটা কত দিন ভালো লাগবে? প্রথম দিকে ভালো লাগতে পারে, কিন্তু দিনের পর দিন বাইরের খাবার খেলে শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। বাইরের খাবারে অনেক সময় পুষ্টির ঘাটতি থেকে যায়। তাই নিজের স্বাস্থ্য সচেতনতার জন্যই ঘরে রান্না করার প্রয়োজন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো, সংসার জীবনে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে বা অন্য কোনো কাজে ব্যস্ত থাকতে পারে। তখন পরিবারের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে রান্নার মতো মৌলিক কাজ জানাটা অনেক উপকারে আসে। আপনি যদি রান্না না জানেন, তাহলে সেই সময়টাতে পরিবারের সদস্যদের কীভাবে সেবা করবেন? একজন দায়িত্বশীল স্বামী বা পিতা হিসেবে রান্নার মতো কাজগুলো শেখা আপনার পরিবারের প্রতি যত্নশীল হওয়ার প্রতিফলন। আজকের স্মার্ট ছেলেরা রান্না শিখে থাকেন। এটি একটি দক্ষতা যা আত্মনির্ভরশীলতার পথে নিয়ে যায়। আর রান্না শিখতে খুব বেশি কিছু প্রয়োজন হয় না। এখন তো ইন্টারনেট, ইউটিউব ইত্যাদির মাধ্যমে সহজেই নানা রকম রেসিপি দেখে শিখে নেয়া যায়। এমনকি শুরুতে সহজ কিছু রান্না যেমন ভাত, ডাল, ডিম ভাজি, চিড়ার পোলাও ইত্যাদি দিয়ে শুরু করতে পারেন। সময়ের সাথে সাথে রান্নার ওপর দক্ষতা বাড়বে এবং আপনিও বুঝতে পারবেন, রান্না একটি আনন্দদায়ক কাজ। যারা মনে করেন, ছেলেরা রান্না শিখলে অন্যেরা খারাপ চোখে দেখবে, তাদের এই ধারণা বদলানো দরকার। একজন ছেলের রান্না শেখা মানে সে নিজের জন্য, তার পরিবারের জন্য দায়িত্ব নিতে জানে। আর সেটাই তাকে আরো স্মার্ট এবং আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। সব মিলিয়ে রান্না শিখা কোনো লজ্জার বিষয় নয়, বরং এটি একজন ছেলের জীবনকে সহজতর করে তোলে। রান্না করতে জানলে কখনোই কারো ওপর নির্ভরশীল থাকতে হবে না, নিজের খাদ্যের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন এবং পরিবারকেও সাহায্য করতে পারবেন। তাই আসুন, রান্নার মতো একটি মৌলিক দক্ষতা আয়ত্ত করি এবং নিজেদেরকে আরো আত্মনির্ভরশীল করি।
|আমার সংক্ষিপ্ত পরিচিতি| |---|

![photo_2024-03-08_18-35-03.jpg](https://cdn.steemitimages.com/DQmPKnDhTvwJssNM6yoNaJcRw4yg27EvLDxtPgdkQ3YoaC1/photo_2024-03-08_18-35-03.jpg)

আমি রিদওয়ান হোসাইন। পরিবারের শেষ সন্তানটি আমি। পড়াশোনা করছি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি নিয়ে। ভ্রমণ করা, গান গাওয়া ও শোনা এবং ফটোগ্রাফি করা আমার খুবই পছন্দ। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে লেখা শুরু করি, তাই "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব, আমার ভালোবাসা। নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মুক্ত প্লাটফর্ম। এখানে নিজের মনের ভেতর জমে থাকা হাজারো কথা তুলে ধরা যায়।