রাতের বেলায় কেনাকাটা

in hive-120823 •  9 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা, সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলেই ভালো আছেন ।আজকে আবারো নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে আশা করি সকলের ভালো লাগবে।

IMG_20250621_185337.jpg

সেদিন ছিল সোমবার ইংরেজি 9 তারিখ। দিনের বেলায় সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে সূর্যের তাপে একদমই বেরোতে ইচ্ছা করে না । কোন জিনিসের দরকার হলেও বেরোতে ইচ্ছা করে না।আমাদের বাড়ির সমস্ত বাজার দোকান আমার শ্বশুরমশাই করেন। কিন্তু এত গরমে উনি আর পারছেন না ।তাই কোন জিনিস দোকান থেকে এনে দিতে বললেই প্রচন্ড রেগে যাচ্ছিলেন। যেকোনো মানুষেরই একটু বয়স হয়ে গেলেই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ।তাতে আবার পড়েছে প্রচন্ড গরম। উনি খুব সকালবেলায় গিয়ে সংসারে যাবতীয় জিনিস সবজি বাজার এইসব করে নিয়ে চলে আসে। পরে যদি কিছু আনতে বলা হয় উনি একদমই যেতে চান না ।আমাদের বেশিরভাগ জিনিসই আমাদের বাড়িতে চেনা জানা একজনের মুদিখানা দোকান আছে। উনাকে ফোন করে বললেই উনি বাড়িতে সব দিয়ে যান ।এছাড়াও তো সংসারে টুকটাক অনেক জিনিসই লাগে। আমরা দুজনে যখন তখন এটা ওটা বানিয়ে খায়। তাই আমাদের যখন তখন টুকটাক জিনিসের প্রয়োজন হয়। তাই আমাদের সমস্যা আমাদেরকে মিটানো উচিত।

IMG20250609221429.jpg

তাই আমি আর আমার বর সেদিন রাতের বেলাতে চলে গিয়েছিলাম কিছু মুদিখানার বাজার করতে। রাতের বেলায় যেমন ফাঁকা রাস্তায় হাঁটতে ভালো লাগে ।ঠিক তেমনি ফাঁকা ফাঁকা দোকানে জিনিস কিনতেও ভালো লাগে। দোকানে গিয়ে হাঁ করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। দোকানে ভিড় থাকলে যে কখন দোকানদার জিনিস দেবে তারপরে আমি নেব। দোকান ফাঁকা থাকলে গিয়ে বলার সাথে সাথে সমস্ত জিনিস দিয়ে দেয়। ঘূর্ণিতে প্রায় অনেক দোকানে দোকানদার আমাকে সকলেই চেনে ।কারন ছোট থেকেই আমি এই কৃষ্ণনগরে বড় হয়ে উঠেছি। আর আমার মামাদের প্রচুর বন্ধু-বান্ধব রয়েছে মোটামুটি সকলেই আমাকে চেনে। তাই কোথাও গেলে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। দোকানে যাওয়ার সাথে সাথে মামাটা কি কি নেব জিজ্ঞেস করে সমস্ত জিনিস দিয়ে দিল। দোকানগুলো সবই ফাঁকা ফাঁকা ছিল।

এরপরই হয়তো বন্ধ হয়ে যেত রাত দশটার পরে সমস্ত দোকান গুলো বন্ধ হয়ে যায়। মুদিখানা জিনিস বলতে আমাদের টুকিটাকি জিনিস আমার বর টুকটাক জিনিস খেতে ভীষণ পছন্দ করে ।আর আমি বানাতে পছন্দ করি।তাই সোজা দোকানে গিয়ে নিজে পছন্দ করে নিয়ে জিনিস কেনায় ভালো। সকাল বেলায় ও টিফিন বানানোর জন্য পাস্তা ,চাউমিন , কাঁচা বাদাম, টমেটো সস , আরো অন্যান্য প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু কিনে নিয়েছিলাম। আসলে হুট করে কোন টিফিন বানাতে গেলে হাতের কাছে কোন জিনিস না পেলে ভীষণ রাগ হয়। আমার বর এইসব টিফিন খেতে ভীষণ পছন্দ করে ।আমি অবশ্য এইসব কোন কিছুই পছন্দ করি না শুধুমাত্র ওকেই বানিয়ে দিই। মুদিখানার জিনিস নেওয়ার পর চলে গিয়েছিলাম পাশেই একটি কেকের দোকান ।সেখান থেকে এক বোতল কোল্ড্রিংস নিয়েছিলাম ।কারণ গরমকালে যে কোন ঠান্ডা জাতীয় জিনিস খাওয়া খুবই প্রয়োজন। আর এই জিনিস গুলো আমার শ্বশুর মশাই খাওয়া একেবারেই অপছন্দ করেন।

বাড়িতে যে কোন ঠান্ডা জাতীয় জিনিস এনে রাখলে অনেকটাই অসুবিধা হয়। কারণ যখন তখন বাড়িতে লোকজন আসলে তাদেরও দিতে সুবিধা হয়। এই সমস্ত কিছু কিনে নিয়ে চলে এসেছিলাম বাড়িতে। কারণ অনেক টা রাত হয়ে গিয়েছিল। সমস্ত ফলের দোকান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।না হলে ভেবেছিলাম সাথে কিছু ফল কিনে নেব।শাশুড়ি মা আমাদের সমস্ত জিনিস দেখে তো অবাক কান্ড। আসলে ওনারা বাইরের কোন জিনিস খাওয়া একদমই পছন্দ করেন না ।পছন্দ করেন না বলেই হয়তো এই বয়সে একদম ঠিকঠাক রয়েছেন ।শরীরের কোন প্রকারের অসুবিধা হয় না। মুদিখানা বাজার গুলো বাড়িতে রেখে গিয়ে আবারো দুই জনে খানিকক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে তাড়াতাড়ি চলে এসেছিলাম বাড়িতে। গরমের মধ্যে বাইরে বেশিক্ষণ থাকা যায় না। এখন বেশ কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। গরম অনেকটাই কমে গিয়েছে। মানুষ জন অনেকটা শান্তিতে রয়েছে গরমের হাত থেকে।


আজ এই পর্যন্তই। আবার নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হব আগামীকাল। সকলে ভালো থাকুন। সুস্থ থাকুন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

TEAM 07
Congratulations!!!
Your post has been supported. We support quality posts good comments anywhere and any tags.
Curated By : @wirngo

কোন কিছু রান্না করতে গিয়ে হাতের কাছে প্রয়োজনীয় জিনিস না পেলে আমার বিরক্ত লাগে আপনার মতোই। তাই একবারে দিনের বেলার ভিড় এড়িয়ে রাতে দোকানে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে এনে ভালো করেছেন। আগের সময়ের মানুষ বাইরের জিনিস খায় না বলেই আমাদের তুলনায় বেশি সুস্থ থাকেন। ভালো লাগলো আপনার লেখা পরে। ভালো থাকবেন ।

আসলে সংসারে তো অনেক জিনিসেরই প্রয়োজন এটাই স্বাভাবিক সংসার মানেই তো প্রয়োজন আর প্রয়োজন তবে এ কথা একদম সত্য মানুষের বয়স হয়ে গেলে তার মেজাজ অনেকটা খিটখিটে হয়ে আসে এটা মনে রাখবেন না তবে এটা আপনারা দুইজন অনেক ভালো কাজ করেছেন রাতের বেলা বাহিরে গিয়ে নিজেদের প্রয়োজন জিনিস নিয়ে এসেছেন দিনের বেলা যদি এতই গরম থাকে রাতে যাওয়াই ভালো এবং সেটাই করেছেন।