নমস্কার বন্ধুরা ,সকলে কেমন আছেন ?আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আজকে আবার নতুন একটা পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি আপনাদের মাঝে। আশা করছি সকলেরই ভালো লাগবে।
আজকে আবারও আপনাদের মাঝে একটা সুন্দর ছবি আঁকা শেয়ার করব। কিছুদিন আগেই বেশ কয়েকদিন মামার বাড়িতে ছিলাম ।আমার কিছু পোস্টে আমি সেটা শেয়ার করে নিয়েছিলাম ।কিন্তু মামার বাড়িতে থাকার সময় ওই যে বোনের বায়না, আমাকে ছবি আঁকতে হবে। ও নিজে আমাকে ছবি বের করে দেয় আর আমি আমার পছন্দমত ছবি আঁকি। ও যেহেতু অনেকটা ছবি আঁকা শিখে গেছে। তাই আমার কোন জায়গায় ভুল হলে ও আমাকে সেই জায়গাটা ধরিয়ে দেয়। আমারও একটু অভ্যাস হয়ে যাচ্ছে ছবি আঁকা।কারণ ছবি আঁকতে আমি একেবারে পছন্দ করি না। তাই মাঝে মাঝে সে অপছন্দটা কে পছন্দ করার চেষ্টা করি। ছবি আঁকতে চাইতাম না বলে আমি আমার অনেক প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারিনা। আজকে আপনাদের মাঝে একটা কাকতাড়ুয়ার ছবি শেয়ার করব।ছোটবেলায় যখন গ্রামে যেতাম তখনই দেখতে পেতাম চাষের জমিতে কাকতাড়ুয়া দাঁড় করানো থাকতো। বহুবার রাতের বেলায় ভয় ও পেয়েছি। কারণ আমার বাপের বাড়ির পিছনে একদম ফাঁকা মাঠ। সেখানে বিভিন্ন রকমের ফসলের চাষ করা হয়। পাখি কিংবা ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষার জন্য চাষের জমিতে মাঝখানে মাঝখানে কাকতাড়ুয়া সাজিয়ে রেখে দেয়। কাকতাড়ুয়ার মাথার উপর পাখি বসে থাকে ।দেখতে বেশ মজাই লাগে। সেই রকমই একটা দৃশ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমাদের শহরে এই সব দেখতে পাওয়া যায় না।
প্রথম ধাপ
প্রথমেই আমি একটা খাতা ,রং, রাবার, রুল পেন্সিল নিয়ে নিয়েছি।
দ্বিতীয় ধাপ
এরপর পেন্সিল দিয়ে পিছনের খানিকটা অংশ আমি এঁকে নিয়েছি।
তৃতীয় ধাপ
পিছনের খানিকটা আঁকার পর আমি সামনের চাষের জমির কিছুটা অংশ পেন্সিল দিয়ে এঁকে নিয়েছি।
চতুর্থ ধাপ
এরপরে কাকতাড়ুয়ার অর্ধেকটা অংশ এঁকে ছিলাম।
পঞ্চম ধাপ
কাকতাড়ুয়ার মাথাটা পুরোটা এঁকে কাকতাড়ুয়ার মাথায় একটা পাখি আর হাতে একটা পাখি এঁকে। পেন্সিল দিয়ে আমার পুরো আঁকা কমপ্লিট হয়ে গেছে। এবারে রং করার পালা।
ষষ্ঠ ধাপ
এবারে আমি আঁকার বইটা দেখে সম্পূর্ণটা রং করার চেষ্টা করেছি। পিছনের দৃশ্যটা কিছুটা রং করে নিয়েছি।
সপ্তম ধাপ
পিছনে গাছ, ঘরবাড়ি পুরোটাই আমার রং দেওয়া কমপ্লিট হয়ে গেছে। মানে পিছনে যেমন গ্ৰামের ঘর বাড়ি থাকে।
অষ্টম ধাপ
সামনে চাষের জমি, রাস্তা পুরোটাই রং করে নিয়েছি।
নবম ধাপ
এবারে কাকতাড়ুয়ার মাথাটা রং করে নিয়েছি।
দশম ধাপ
কাকতাড়ুয়ার জামা রং করা হয়ে গেছে। এছাড়াও মাথার পাখি দুটো আমার রং করে নিয়েছি। জামার যে কোন রঙ আপনারা দিতে পারেন। আমি বই দেখে করেছি ।
তৈরী
এবারে আমার ছবিটা পুরো কমপ্লিট হয়ে গেছে।
বই থেকে নেওয়া
এই ছবিটি একদম সহজ পদ্ধতিতে আমি এঁকেছি। বলতে পারেন এটা ছোটদের পক্ষে ভীষণ সুবিধা। অনেকদিন পর ছবি আঁকতে আমার বেশ ভালো লাগছে। আসলে কাকতাড়ুয়া টা একটা বাঁশ দিয়ে দুই হাতে বিচালি দিয়ে যেকোনো একটা জামা পরিয়ে আর মাথায় হাড়ি কিংবা সরা দিয়ে এঁকে সেটাকে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়। হাঁড়িতে ঠিক মানুষের মতো চোখ মুখ এঁকে দেয়। তবে বেশিরভাগ সময় সাদা রঙের জামা পরানো থাকে। রাতের অন্ধকারে সাদা রং দূর থেকে দেখে মনে হয় কিছু দাঁড়িয়ে আছে।ঠিক মানুষের মতো অনেকটা দেখতে লাগে। দূর থেকে যখন মাথায় পাখি এসে বসে, ঠিক ওইরকমই অনেকটা দেখতে লাগে। ঐরকম দৃশ্যই আপনাদের মাঝে তুলে ধরার একটু চেষ্টা করলাম জানিনা ছবিটা কেমন হয়েছে। সম্পূর্ণ ছবিটা আমি বই দেখে এঁকেছি। আমি রঙ গুলো উল্লেখ করিনি। আপনারা দেখলেই বুঝতে পারবেন।
আজ এইখানেই শেষ করছি ।আবার অন্য কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হবো আগামীকাল।
একজন চিত্রশিল্পী তার মনের কথাগুলো রং তুলি দিয়ে ক্যাম্পাসে ফুটিয়ে তুলতে পারে । একসময় ছবি আঁকাটা আমার কাছে খুব ভাল লাগতো। আমার মন খারাপ হলেও আমি ছবি আঁকতাম।
সংসারের কাজের চাপে এখন আর রংতুলি নিয়ে বসা হয় না। মাঝে মাঝে মেয়েকে তার স্কুলের ড্রয়িং ক্লাসের জন্য সাহায্য করতাম।
আপনি যেহেতু আঁকতে পারেন তাই মামা বাড়িতে যাওয়ার পরে বাচ্চারা আপনাকে ড্রয়িং করতে অনুরোধ করছে। আর আপনি খুব সুন্দর একটি গ্রাম বাংলার দৃশ্য একে দিয়েছেন। ড্রইং এর প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এবং প্রতিটি রং খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit