শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের সকলের মাঝেই কম বা বেশি পরিমাণে রয়েছে। এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হলো আমাদের বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক রোগের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার একটি প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এটি সাধারণত আমাদের দেহের জৈবিক গঠন এবং শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। আমারা শরীর ও মন উভয়ের সমন্বয় সাধন করেই কাজ করে থাকি তাই আমাদের শারীরিক ও মানসিক রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা একই সঙ্গে কাজ করে। আমরা যখন শারীরিকভাবে কোন রোগে আক্রান্ত হই তখন তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব ফেলে।
এ সকল রোগ আমাদের শারীরিকভাবে অসুস্থ করার পাশাপাশি মানসিকভাবেও দুর্বল করে ফেলে। একারণেই যে কোন প্রকার রোগ থেকে দূরে থাকতে আমাদের অবশ্যই মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা প্রয়োজন। অনেক সময় আমাদের মাঝে নানা ধরনের উদ্বেগ, ভয়ভীতি, বিষণ্নতা, শূন্যতা ইত্যাদি নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগ কাজ করে। এ সকল নেতিবাচক চিন্তা ও আবেগকে এড়িয়ে না চলে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে নিরপেক্ষভাবে বিবেচনা করতে হবে। মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আমাদের নেতিবাচক চিন্তাধারার বিরুদ্ধে টিকে থাকতে শক্তি দেয়। একই সাথে মনের ওপর এগুলোর নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে এনে মানসিক ভারসাম্য নিশ্চিত করে।
আমরা সাধারণত সব সময় বেদনাদায়ক ও কষ্টদায়ক পরিবেশ থেকে মুক্তি চাই কিংবা এড়িয়ে যেতে চাই। আমাদের এই প্রবণতা কিছু সময় নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনে। বাস্তবতা যতই প্রতিকূল পরিবেশ হোক না কেন, তাকে অস্বীকার করে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে মুক্তি পাওয়া মোটেও সম্ভব নয়। এতে করে নিজের মাঝেই বিভিন্ন মানসিক দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। তাই কোন সংকটকে এড়িয়ে না গিয়ে সেটাকে জীবন চলার একটি অংশ হিসেবে মেনে নিতে হবে। এর মাধ্যমে ইতিবাচক অর্থ তৈরি করে আমরা মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি।
ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তার জন্য আমাদের মাঝে ভয়-ভীতি কাজ করে থাকে । কিন্তু তাই বলে এই সব ভয় ও উদ্বিগ্নতাকে নিজের ব্যক্তিত্বের এবং আত্মপরিচয়ের অংশ মনে করা উচিত নয়। এই ধরনের ভয় ও উদ্বিগ্নতা অনিশ্চিত পরিস্থিতির প্রতি আমাদের শরীর ও মনের স্বয়ংক্রিয় ক্ষণস্থায়ী এক ধরনের প্রতিক্রিয়া। তাই এই ধরনের প্রতিক্রিয়া গুলোকে মন থেকে দূর করার চেষ্টা না করে শান্তভাবে মেনে নিতে হবে। একইসাথে এদের ওপর কোনো ধরনের ব্যক্তিগত অর্থ আরোপ না করে নিজেকে আনন্দদায়ক বা বাড়ির দৈনন্দিন কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে। এর ফলে সহজেই বিদ্যমান ভয় ও উদ্বিগ্নতার প্রভাব ধীরে ধীরে কমে যায় এবং মানসিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি পায়।
আপনার পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আপনি ঠিকই বলেছেন আমরা যখন কোন রোগে আক্রান্ত হই, তখন আমাদের উপর এই মানসিক চাপ টি আরও বেশি করে ধরে,তখন শরীর আরো দুর্বল হয়ে যায়।
উপরের এই কথাগুলো সত্যিই,অসাধারণ ছিল।
আপনার পোস্টটি অনেক শিক্ষনীয়-মূলক বিষয় ছিল। আপনাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@mrsokal অনেকদিন বাদে আপনার উপস্থিতি দেখে ভালো লাগলো!
আপনি আজকের লেখায় হয়তো বোঝাতে চেয়েছেন শারীরিক সুস্থতা অনেক খানি মানসিক সুস্থতার উপরে নির্ভরশীল।
যদি, তাই হয় তাহলে বলবো উল্টোটাও কিন্তু সত্যি। একজন মানুষ যদি শারীরিক ভাবে সুস্থ্য না থাকে তাহলে তার চিন্তাধারার উপরে সেই অসুস্থতা প্রভাব ফেলে।
শরীর এমন একটি যন্ত্র যেটি সঠিকভাবে পরিচালিত হলেই তার প্রভাব এ প্রভাবিত হয় আমাদের মন।
তেমনি মন খারাপ থাকলে অথবা মানসিক অবসাদ অনেক ব্যাধি বিয়ে নিয়ে আসে শরীরে।
আমি আমার মত করে নিজের মন্তব্য প্রকাশের প্রয়াস করলাম, জানিনা কতখানি পারলাম।
আপনি এত অনিয়মিত কেনো জানা নেই, আগেও দেখেছি, আপনার লেখা যথেষ্ট উন্নত তবে, তার উপস্থিতি বড্ডো কম।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
@sduttaskitchen ঠিক বলেছেন দিদি মানসিক স্বাস্থ্য এবং শারীরিক স্বাস্থ্য একে অপরের পরিপূরক।
আপনার শত ব্যস্ততার মাঝে আমার পোস্টে কমেন্ট করেছেন দেখে খুবই খুশি হয়েছি। এত ব্যস্ততার মাঝেও আপনার এক্টিভিটি সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু এইদিক থেকে আমি সম্পূর্ণ আপনার বিপরীত। সকল কাজের মাঝে স্টিমিটে লেখালেখির মাধ্যমে নিজের মনের ভাব প্রকাশ করা আমার পছন্দের একটি কাজ। খুবই আগ্রহ নিয়ে কাজটি করে থাকি। তবে কখনোই নিয়মিত হতে পারছি না। কারণ অনুসন্ধানে নিজেকেই নিজে অনেক বার প্রশ্ন করেছি, কিন্তু সেরকম কোন উত্তর খুঁজে পাইনি। অলসতা ছাড়া আর অন্য কোন অজুহাত আমি দেখাতে চাই না। যদি ব্যস্ততার জন্য একদিন পোস্ট না করি তবে আলসেমির জন্য পোস্ট করা হয় না দশদিন। তাই ব্যস্ততার অজুহাত আমার ক্ষেত্রে খাটে না।
এই অলসতা আমাকে ধীরে ধীরে ধ্বংসের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এর থেকেই বের হয়ে এসে সকল কাজে একটিভ হওয়া খুবই জরুরি আমার নিজের জন্যই।
এখন থেকে নিয়মিত পোস্ট করে যাব এই কথা বলতেও এখন লজ্জা লাগে। আপনার কাছে, পিয়া দিদির কাছে, শম্পা দিদির কাছে বহুবার কথা দিয়েছি নিয়মিত হওয়ার কিন্তু কখনো হতে পারি নি। এর থেকেও বড় বিষয় নিজেই নিজেকে কথা দিয়েছি কিছুটা কর্মঠ হওয়ার, তবে তা ঐ পর্যন্তই। কাজের বেলায় লবডংকা। নিজের আলসেমির সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ যুদ্ধ করে নিয়মিত পরাজিত সৈনিক হয়ে সেই আলসেমিই করে যাচ্ছি। দেখা যাক এবারে কিছুটা উন্নতি করতে পারি কিনা।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Your comment has been supported by THE QUEST TEAM. We support quality posts, good comments anywhere, and any tags
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit