নমস্কার বন্ধুরা,
আজ দোল পূর্ণিমা। ফাল্গুন মাসের এই পূর্ণিমা তিথি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ একটি তিথি। আজকের দিনে ভগবান শ্রী চৈতন্যদেব নবদ্বীপে শচীমাতা ও জগন্নাথ মিশ্রের কুটিরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ভগবান শ্রী চৈতন্যদেব কে বলা হয় শ্রীকৃষ্ণের অবতার। তিনি তার রূপমাধুরই ও অনুপম প্রেম দ্বারা সকল মানুষকে ভগবত প্রেমে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি প্রচার করেছিলেন হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র।
লিংক লোকেশন
শৈশবে চৈতন্যদেবের নাম ছিল নিমাই। তিনি এতটাই মেধাবী ছিলেন এবং শিক্ষা গ্রহণের প্রতি এতই আগ্রহী ছিলেন যে গুরুগৃহে শিক্ষা গ্রহণ করতে গিয়ে খুব অল্প সময়েই সকল পাঠ গ্রহণ করে ফেলছেন। তিনি ছিলেন সহজ সরল শিশুর মত। বাচস্পতি মিশ্র ছিলেন তার খুব কাছের বন্ধু। নিমাই তার বন্ধুকে খুবই ভালবাসতেন ।
আমরা সবাই জানি নবদ্দীপকে নব ন্যায় দর্শনের পিঠস্থান বলা হয়। শ্রীচৈতন্যদেব ও তার বন্ধু দুজনেই শিক্ষার প্রতি ভিষণ আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু মহাপ্রভুর মধ্যে শিক্ষা গ্রহণ করার কোন উদ্দেশ্য ছিল না তিনি শুধু এটি একটি প্রথা বা নিয়ম তাই গ্রহণ করেছিলেন। কিন্তু বাসস্পতি মিশ্র ঠিক করেছিলেন শিক্ষা গ্রহণ করে ন্যায় দর্শন পাঠ করে তিনি একজন মহাপণ্ডিত হবেন এবং তার একটি টোল থাকবে যেখানে তিনি ছাত্র পড়াবেন এবং তার বিনিময়ে অর্থ উপার্জন করবেন।
শ্রীচৈতন্যদেব ও বাচস্পতি মিশ্র দুজনে তাদের পাট শেষ করে ন্যায় দর্শনের বিশেষ কিছু টিকা ও ব্যাখ্যা করেছিলেন। বাচস্পতি মিশ্র ঠিক করেছিলেন যে তিনি তার এই টিকা পুস্তক আকারে প্রকাশ করবেন এবং চা বিক্রি করে তিনি কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবেন কিন্তু অপরদিকে শ্রীচৈতন্যদেবের এরকম কোন অভিশাপ ছিল না। তিনি তার শিক্ষা গ্রহণের পর যে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন তার পরিপ্রেক্ষিতেই টিকা ও ব্যাখ্যা রচনা করেছিলেন।
কিন্তু বাচস্পতি মিশ্র যখন মহাপ্রভুর সেই টিকা ও ব্যাখ্যা পড়লেন তখন তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লেন। মহাপ্রভু তার কান্না শুনে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তর দিলেন মহাপ্রভুর এই ব্যাখ্যা যদি পুস্তক আকারে প্রকাশিত হয় তবে বাচস্পতি মিশ্রের লেখা পুস্তক কেউ পড়বে না। তখন মহাপ্রভু নির্দ্বিধায় তার সেই রচনা সমগ্রগুলি মা গঙ্গার বক্ষে নিবেদন করে দিয়েছিলেন। যা ছিল এক অমূল্য সম্পদ। সেই অমূল্য সম্পদ যার রসাস্বাদন থেকে মানুষ বঞ্চিত হয়ে গেল।
বর্তমানে ন্যায় দর্শনের বহু টিকাও ব্যাখ্যা থাকলেও আমরা সেই অমূল্য সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছি। আমরা মহাপ্রভুকে ভগবানের অবতার বলে তাকে পূজা করে কিন্তু তিনি যে নব্য ন্যায় দর্শনের একজন বিশিষ্ট দার্শনিক তা এক অধরা অন্ধকারে রয়ে গেছে। যার কোন তথ্য বা প্রমাণ কারও কাছে নেই।
আজকে আপনি আপনাদের মহাপ্রভু সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আসলে প্রতিটা মানুষের জীবনে কিছু ব্যক্তিগত স্মৃতি থাকে যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা আর আপনাদের এই বিষয়গুলো আমার একেবারেই অজানা তবে আপনার পোস্টে আপনি অনেক কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন অনেক কিছু জানতে পারলাম ধন্যবাদ ভাল থাকবেন।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit