অনেক দিন পর পছন্দের জায়গায় ঘুরতে যাওয়া

in hive-120823 •  26 days ago 

নমস্কার বন্ধুরা। আপনারা সকলে কেমন আছেন? আজকে চলে এসেছি আপনাদের সাথে আমার খুব পছন্দের একটা জায়গা শেয়ার করার জন্য। এই জায়গাটার সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। তাই এই জায়গাটা আমার কাছে খুবই স্পেশাল। চলুন তাহলে আজকের গল্প শুরু করা যাক।

1000272185.jpg

গত দুই বছর আমি আর আমার হবু বর ছুটির দিনগুলোতে বেশ ভালোই শহরের আনাচেকানাচে ঘুরেছি। তবে এই বছর দায়িত্ব কর্তব্যের চাপে সে সময় যে আর পাচ্ছি না তা আমি অনেক পোস্টেই আপনাদের জানিয়েছি। তাই কোন একদিন একটু ছুটি পেলেই আমরা বেড়িয়ে পড়ি ঘুরতে। গতকালকের একইরকম ভাবে একটু ছুটি পেয়ে বেড়িয়ে পড়েছিলাম ঘুরতে। যদিও কালকে খুব বৃষ্টি হচ্ছিল সারাদিন। বিকেলের দিকেও মেঘলা ছিল। তবুও ঘুরতে যাওয়ার সময় যেহেতু পাওয়া যায় না। তাই যে সময় টা পেয়েছিলাম সেটা নষ্ট করতে চাইনি। তাই রেইনকোট নিয়েই বেড়িয়ে পড়েছিলাম আমাদের পছন্দের জায়গায়।

1000272190.jpg
আমাদের বাড়ি থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি দূর্গা আশ্রম রয়েছে। আমরা সেখানেই চলে গিয়েছিলাম। এই জায়গাটি সম্পর্কে আপনাদের আগেও বহু পোস্টে জানিয়েছি। তাই আজকে আর বিশেষ কিছু লিখব না। সৌভাগ্যবশত বিকেলের টাইমটাই আর বৃষ্টি হয়নি। তাই আমরা ভালো ভাবেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলাম। বাইকে করে যাওয়ার সময় ঠান্ডা হাওয়াটা যখন মুখে এসে লাগছিল তখন কি ফ্রেশ লাগছিল। আবহাওয়াটা খুব ভালো না থাকলেও আমার এই ঠান্ডা বাতাসটা বেশ ভালোই লাগছিল। যেহেতু মেঘলা দিন ছিল তাই দুর্গাশ্রমে একেবারেই ভিড় ছিল না। আমরা দুজন ছাড়া আর ৫-৬ জন ছিল। তাই সেখানে গিয়ে দেখি বসার জায়গা গুলো সব ফাঁকাই রয়েছে। তাই একটা জায়গায় গিয়ে একটু বসে ছিলাম।

1000272192.jpg
তারপর মন্দিরটা কে ঘুরে দেখছিলাম। আগে এই মন্দিরে অনেকবার এসেছি। তবে গতকাল বেশ অনেকদিন পরে সেখানে আবার গেলাম। এই মন্দিরকে ঘিরে আমার অনেক স্মৃতি আছে কারণ, প্রথম যেদিন আমার হবু বরের সাথে ঘুরতে গিয়েছিলাম তখন এই মন্দিরেই এসেছিলাম। কৃষ্ণনগরে এমন ঘোরার জায়গা নেই, তাই শহরের কাছাকাছি এই মন্দির টাই উপযুক্ত জায়গা ছিল। এরপরেও প্রায় প্রতি রবিবারেই আমরা এখানে আসতাম। এখানে এলে মনটা খুব হালকা লাগে। ঠাকুরের জায়গায় যেতে আমার তো বেশ ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলেই এখনো চলে আসি এই মন্দিরে কিছু সময় কাটানোর জন্য।

1000272373.jpg

মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পর আমরা একটা বসার জায়গায় বসে নিজেদের মধ্যে কথোপকথন করছিলাম। তারপরে আরো দু চারজন মন্দিরে এলো। এই সন্ধ্যার সময়টাই এখানে আরতি হয়। অনেক পুরোহিতরা এখানে পুজো দেয়। সেটা দেখতে খুব ভালো লাগে। আমরাও বসে বসে পূজো দেখছিলাম। আমরা পার্কে কিংবা ঘাটের ধারে বসার থেকে এখানে আসতে বেশি ভালোবাসি। মনের শান্তি খুঁজে পাই। তাই যখনই খুব হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ি, তখনই চলে আসি এখানে। কথা বলতে বলতে, আর পুজো দেখতে দেখতে বেশ খানিকটা সময় কেটে গিয়েছিল। তারপর পুজো শেষ হলো। আমাদেরকে প্রসাদ দেওয়া হল। মন্দির চত্বরে যারা যারা ছিল সকলকেই প্রসাদ দেওয়া হল। বেশ অনেকটাই প্রসাদ দিয়েছিল, প্রায় দুই হাত ভরে। তবে প্রথমে ফটো তোলার কথা মনে ছিল না। তাই অর্ধেক হওয়ার পর আমরা ফটো তুলেছি।

1000272187.jpg

তারপরে আরো কিছুটা সময় সেখানে কাটিয়ে, তারপর আমরা বাড়ি ফিরে এসেছিলাম। না, সেখান থেকে সরাসরি বাড়ি আসিনি, একটা মেলায় গিয়েছিলাম। সেই গল্প আপনাদের সাথে আগামী পোস্টে শেয়ার করব। আজ তাহলে এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Thank you for sharing quality content on Steemit.
You have been supported by the Team 04:

Captura de pantalla 2025-06-30 202646.png

Curated by: @aviral123

Thank you so much.

Thank you for sharing on steem! I'm witness fuli, and I've given you a free upvote. If you'd like to support me, please consider voting at https://steemitwallet.com/~witnesses 🌟

Loading...