![]() |
---|
হ্যালো বন্ধুরা
সবাই কেমন আছেন, আশা রাখি যে যেখানে আছেন ভালো আছেন সুস্থ আছেন ।আমি ও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালই আছি। বেশ কিছুদিন যাবত আপনাদের মাঝে আসতে পারছি না, পোস্ট ও লিখতে পারছি না ।একটু পারিবারিক ঝামেলার মধ্যে আছি তাই। কিন্তু আজ আর না লিখে পারলাম না ,ভালবাসায় সিক্ত হয়ে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম শেয়ার করার জন্য।
![]() |
---|
আসলে ভালোবাসা এমন একটি জিনিস ,স্থান কাল পাত্র বেদে হয় না এটি মন থেকেই আসে। আর ভালোবাসা পেতে ভালো লাগে না ,এমন ব্যক্তি মেলা বড় দায়। যাইহোক বন্ধুরা যা শেয়ার করার জন্য আসছি তা হলো:
![]() |
---|
আমার এক নাতনি আজ বিকেল বেলা হাঁটতে বের হয়েছিল । আর তখনই আমাদের কোয়াটার থেকে টসটসে পাকা একটি আম পরলো। আমি আবার ওদের বাসাতেই ছিলাম।সে দৌড়ে এসে নানু মনি নাও তোমার জন্য একটা পাকা আম নিয়ে এসেছি । আমি দেখে তো একেবারে আকাশ থেকে পড়েছি গাছ পাকা আম সবচেয়ে বড় কথা হলো এ বছর আমি এই গাছ পাকা আম খাইনি , গাছ পাকা আম তো দূরের কথা এবার আমি পাকা আমি খাইনি এবছরের প্রথম পাকা আম নাতির কাছ থেকে পাওয়া,তাই আমার জন্য অনেক বড় একটি পাওয়া।
![]() |
---|
তাছাড়া ভালোবেসে কেউ কোন কিছু দিলে এটার মূল্য হয় না , এর কোন বিনিময় মূল্য নেই। সত্যি বলতে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেছে । আমাদের বাড়ির চারপাশে প্রায় ২৭ টার মত আমগাছ ছিল ছোট বড় মিলিয়ে। এখন বুঝতেই পারছেন আমের রাজ্যে বসবাস করতাম আমি। ছোট থেকে শুরু করে একেবারে পাকা পর্যন্ত কত ভাবে যে আম খেতাম কখনো কখনো কাঁচা আমের ভর্তা ,কখনো আবার আধা পাকা আমের ভর্তা। অর্ধেক পাকা অর্ধেক কাঁচা এটার ভর্তা আরেকটা অন্যরকম স্বাদ। তারপর বিভিন্ন রকমের আচার, মোরব্বা ,আমশি সবই ছিল আমকে কেন্দ্র করে।
![]() |
---|
ঝড় শুরু হলে আমাদের একেক জনকে একেক গাছ বরাদ্দ করে দিত মা। আমি যেতাম একদিকে আমার অন্য ভাইবোনরা যেত অন্যদিকে । কারণ বাড়ির চতুর্দিক দিয়ে ছিল আম গাছ। তাই সবাই মিলে আম কুড়িয়ে যখন মেঝেতে রাখতাম, মনে হতো যেন আমের রাজ্যে বসবাস। কি মজার ছিল শৈশব সব ফেলে এসেছি। এখন মনে হয় যে কৃত্রিম জগতে বসবাস করি ,সবকিছুর মধ্যেই ফরমালিন।
আজ নাতির কাছ থেকে পাওয়া আম পেয়ে সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ,বিশুদ্ধ এবং সুস্বাদু সেই আম। আমটিকে ঘিরে হাজারো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। সত্যি বলতে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। এই ইট পাথরের মেলে বিশুদ্ধ গাছপাকা একটি আম পেলাম, এটি আমার কাছে অন্যরকম একটি বিষয় লাগলো ।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। আমি জানি হয়তো আপনাদের অনেকেরই নিজেদের গাছ রয়েছে ,আপনারা হয়তো এরকম গাছপাকা বিশুদ্ধ ফরমালিনমুক্ত আম খেয়ে থাকেন।
![]() |
---|
আমি আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ রাখবো পারো তো পক্ষে বাজারের ফরমালিন মিশানো আম না খেয়ে দেশীয় আমগুলো যারা গ্রাম থেকে নিয়ে আসে তাদের ফলগুলো খাওয়াই ভালো ।অন্তত কম হলেও ফরমালিন মুক্ত ফল খাওয়া উচিত। শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য বিশুদ্ধ এবং ফরমালিনমুক্ত ফলের বিকল্প নেই । আমার খুব পছন্দের তালিকায় রয়েছে আম। মূলত আমি ফল অনেক পছন্দ করি বিশেষ করে দেশীয় ফল গুলো খুব ভালো লাগে আমার কাছে।
আমি আমার এলাকায় বাজারে গিয়ে দেশীয় ফলগুলো ই বেশি প্রাধান্য দেই। সময় সুযোগ পেলেই দেশীয় ফল কিনে আনি। কারণ দেশীয় ফল গুলোতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একটু বেশি থাকে বলে আমার আমার গুরুত্বের তালিকায় থাকে দেশীয় ফল। তাছাড়া ছোটবেলায় যেসব ফল খেয়ে এসেছি তার প্রতি আলাদা একটা দুর্বলতা রয়েছে। ভালো লাগা কাজ করে। আমার নাতি কে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুস্বাদু একটি আম আমাকে দেওয়ার জন্য ,সাথে একগুচ্ছ ভালোবাসা। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল এই আমটিকে ঘিরে। তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম নিশ্চয় আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের ভালো লাগাই আমার চির কাম্য । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দে দিন কাটাবেন।