"তিতলি ও তাতানের দীঘায় কাটানো কিছু আনন্দের মুহূর্তের গল্প"

in hive-120823 •  6 days ago  (edited)
IMG_20250627_013653.jpg

Hello,

Everyone,

আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন, সুস্থ আছেন এবং আপনাদের সকলের আজকের দিনটি অনেক ভালো কেটেছে। আজ সারাদিন বেশ ব্যস্ততার মাঝে অতিবাহিত হয়েছে। সন্ধ্যার পর একটু প্রয়োজনীয় কাজে বাইরেও বেরোতে হয়েছিলো।

বাড়িতে ফিরে ভেরিফিকেশনের কাজ কিছুটা করার পর, আবার রাতের খাবার তৈরি করলাম। তারপর বাকি ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে, সবেমাত্র পোস্ট লিখতে বসেছি।গতকালের পোস্টে জানিয়েছিলাম জ্যেঠি শাশুড়ির শারীরিক অবস্থার কথা। তবে তিনি এখনও পর্যন্ত ততটাও স্থিতিশীল হতে পারেননি।

যাইহোক সেই সকল ঘটনার সম্পর্কে গতকালই আপনাদেরকে বলেছি। তবে আজকের পোস্টের মাধ্যমে আমি কিছু সুন্দর মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, যেগুলো আমার দিদি আমাকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পাঠিয়েছে।

আপনারা যারা অনেকদিন যাবৎ আমার পোস্ট পড়েন, তারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার দিদির ছেলে মেয়ে অর্থাৎ তিতলি ও তাতান আমার কাছে ঠিক কতখানি আদরের। তাই ওদের যে কোনো খারাপ লাগা আমাকে যতখানি কষ্ট দেয়, ঠিক ওদের আনন্দ গুলো ততখানিই আনন্দ দেয় আমাকে।

IMG_20250627_001227.jpg

গরমের ছুটিতে সমুদ্র দেখতে যাওয়ার বায়না অনেকদিন ধরেই দুজনে মিলে করছিলো এবং তাদের বায়না ছিলো আমাকেও তাদের সাথে যেতে হবে। কিন্তু যেহেতু কয়েকদিন আগেই আমি দার্জিলিং ঘুরে এসেছি, তাই এই মুহূর্তে আমার পক্ষে আর যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই দিদি, দাদা, ওদের একজন কাকিমা, তিতলি ও তাতান এই পাঁচজন মিলে দিঘায় গেলো।

IMG_20250627_001153.jpg

তারই কিছু মুহূর্তের ছবি দিদি আমাকে পাঠিয়েছে, আজ এই পোস্টের মাধ্যমে আমি সেই খুশির মুহূর্তগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। ছোটোবেলা থেকে তাতান খুব একটা বাসে উঠতে পারে না। একটু লং জার্নি হলেই ও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যে ট্রেনের টিকিট পাওয়া কঠিন এবং ট্রেনে করে যেতে হলে হাওড়া থেকে যেতে হবে। সেই কারণে দিদিরা ট্রেনে না গিয়ে, ধর্মতলা থেকে বাসে করে দীঘার উদ্দেশ্যে রওনা করেছিলো। বাসে ওঠার পর থেকে দুজনেই ভীষণ খুশি ছিলো।

IMG_20250627_001301.jpg
IMG_20250627_001336.jpg

দুই ভাই বোন মিলে খুব মজা করতে করতে বেশ কিছুদূর যাওয়ার পর, তাতান ঘুমিয়ে পড়েছিলো। দীঘার কাছাকাছি পৌঁছে যখন দিদি ওকে ঘুম থেকে ডাকলো, তখন ঘুম থেকে উঠে মায়ের সাথে আবার একটা ছবি তুলেছিলো। ছবি তোলার পরে তাতান আবার ছবিটা আমাকে পাঠাতে বলেছিলো, ওর ধারণা ছিল ঐ ছবিটা দেখে আমি বুঝতে পারবো ও দীঘায় পৌঁছে গেছে 😊।

IMG_20250627_001615.jpg

এই প্রথমবার দুজন দীঘার সমুদ্র দেখলো। দুজনের খুব ইচ্ছে ছিলো এমন একটা হোটেলে থাকবে, যেখান থেকে সমুদ্র দেখা যায়। দিদিও সেই মতনই সমুদ্রের কাছাকাছি একটা হোটেলে রুম বুক করেছিলো। রুমে যাওয়ার পর ফ্রেশ হয়ে প্রথমে খাওয়া দাওয়া করে নিয়েছিলো।

IMG_20250627_001418.jpg

সেই সময় তিতলি দিদির একটা ছবি তুলেছিলো এবং আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছিলো। নতুন নতুন হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠানো শিখে, কি কি ছবি যে আমাকে পাঠায়, তা আমার গ্যালারি না দেখলে আপনারা বুঝতে পারবেন না।

IMG_20250627_001512.jpg
IMG_20250627_001446.jpg

এরপর হোটেল থেকে সমুদ্র দেখা যাচ্ছে, রাস্তা-ঘাট সমস্ত কিছুর ছবি আমাকে পাঠিয়েছিলো, যেগুলো আমি রেখেই দিয়েছি। তার‌ থেকেই কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। প্রথম দীঘার সমুদ্র দেখার যে আনন্দ ওদের চোখে ছিলো, ছবিতে তা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। এর আগে দিদিরা যখন পুরীতে গিয়েছিলো, তখন ওরা অনেকটাই ছোটো ছিলো, তাই সেই ভাবে এনজয় করতে পারেনি।

IMG_20250627_002244.jpg

খাওয়া-দাওয়া শেষ করে দিদি ভেবেছিল একটু বিশ্রাম নেবে, কিন্তু ঘুরতে গিয়ে কি আর কেউ বিশ্রাম নেয়? তাতানের এই কথা শুনে সকলে মিলে রেডি হয়ে একেবারে সমুদ্র নেমেছিলো। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে তিতলি, তাতানো, দাদা ও দিদি আনন্দ করে কাটিয়েছিলো।

শুধু যে বাচ্চাদের বায়না পূরণ করার জন্য দিদি দীঘায় গিয়েছে এরকমটা নয়, আসলে তিতলির একটা মানসিক পুজো ছিলো দীঘার কাছাকাছি মন্দিরে, যার নাম চন্দনেশ্বর মন্দির। সেইখানেই তিতলির নামের পুজোটা দেওয়ার জন্য মূলত ওদের দীঘায় যাওয়া। একই সাথে যেমন পুজাটা দেওয়া হবে, ঠিক তেমনি বাচ্চারাও আনন্দ করবে, তেমন ভেবেই এরকম প্ল্যান করা হয়েছিলো।

IMG_20250627_002212.jpg

আমি যেতে না পারলেও আমার বেশ আনন্দ হচ্ছিলো যখন ওদের ছবিগুলো দেখছিলাম। তবে যেতে পারলে আরও খুশি হতাম। কিন্তু সদ্য ঘুরে এলাম, তাই আবার নতুন করে একটা জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতে খারাপ লাগছিলো। তার উপরে বাড়িতে এইরকম একটা পরিস্থিতি চলছে, যেখানে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলতেই বিবেকে বাঁধছিলো।

IMG_20250627_002228.jpg

তাই আমার আর যাওয়া হলো না। কিন্তু আমি না যেতে পারলেও তিতলিরা ওখানে গিয়ে খুব আনন্দ করছে, এটা দেখেই খুব ভালো লাগলো। স্নান করতে গিয়ে ঢেউ গুলোর কারণে তাতান একটু ভয় পাচ্ছিলো, তবে তিতলি ভীষণ মজা করেছে, কারণ ওর ভয় খানিকটা হলেও কেটে গেছে।

যাইহোক আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন দীঘায় নতুন করে জগন্নাথ মন্দির খোলা হয়েছে এবং সেখানেও দিদিরা ঘুরেছে, আনন্দ করেছে, তার ছবিও আমাকে পাঠিয়েছে। কিন্তু একটা পোস্টের মধ্যে সমস্তটা শেয়ার করতে গেলে, লেখাটা অনেকটাই বড় হয়ে যাবে। তাই‌ এই পর্বে আমি শুধু এতটুকুই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম, পরবর্তী পর্বে আমি আপনাদের সাথে ওদের চন্দনেশ্বর মন্দির ও জগন্নাথ মন্দির ঘুরে দেখার বিভিন্ন মুহূর্তগুলো শেয়ার করবো।

আজকের ছবিগুলো দেখে আপনাদের কেমন লাগলো, মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন।আগামীকাল শুভ রথযাত্রা। তাই আপনাদের সকলকেই রথযাত্রার শুভেচ্ছা জানাই। খুব ভালো কাটুক আপনাদের আগামীকালের দিনটা, এই প্রার্থনা করে আজকে লেখা শেষ করছি। ভালো থাকবেন সকলে। শুভরাত্রি।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Our team is looking for quality posts and comments to reward across the steemit platform. Enhance your experience in creating engaging content


Curated by @rmm31

Thank you for your support @rmm31 Sir. 🙏

Loading...