হ্যালো আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমিও মোটামুটি ভালো এবং সুস্থ রয়েছি। তবে কয়েকদিন ধরে এই একটু শরীরটা খারাপ ছিল তবে বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছি এবং শরীরও আগের থেকে একটু সুস্থ আছে। গত দুদিন আগে আমি নীলফামারী থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম সেই বিষয়েই এই পোস্টে আলোচনা করা হবে।
এবার আমার গ্রামের বাসায় অর্থাৎ নীলফামারীতে বেশ কিছুদিন থাকা হয়েছিল 20 দিনের বেশি আমি নীলফামারি শহরেই থেকে ছিলাম কিন্তু যেহেতু ঢাকা শহরে বর্তমানে আমি পড়াশোনা করছি এবং আনুষঙ্গিক কিছু কাজ রয়েছে। তাই আবার ঢাকায় তো ফিরতেই হতো। এছাড়াও ঢাকায় ফিরতে অনেকটা কষ্টই হচ্ছিল এদিকে আম্মুর শরীরটা অনেক বেশি খারাপ। আম্মুকে একা রেখে কিভাবে ঢাকায় চলে আসব, এটা ভেবেই অনেক বেশি খারাপ লাগছিল। এদিকে আম্মুর শরীরটা অনেক বেশি খারাপ, কি করবো সেটাও ভেবে পাচ্ছিলাম না। কিন্তু জীবনের তাগিদে তো ঢাকায় চলে আসতেই হবে।
১৬ তারিখ রাতে আমার গাড়ির টিকিট ছিল রাতে সাড়ে আটটার সময়। আমি কাউন্টারের উপস্থিত হয়েছিলাম। যদিও বাস অনেকটা লেট ছিল। সাড়ে আটটায় গাড়ি ছাড়ার কথা থাকলেও গাড়ি ছেড়েছে রাত ৯ টার সময় এদিক থেকে ছারে। এদিকে কোন সমস্যা হয়নি কিন্তু আমাদের উত্তরবঙ্গের রাস্তায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জ্যামের কবলে পড়েছিলাম। আপনারা হয়তো জেনে থাকবেন উত্তরবঙ্গের মেইন রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম তাইতো ভিতরের কিছু রাস্তা রয়েছে অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলো সেগুলোতেই আমাদের বাস চলতে শুরু করল। কিন্তু এক পর্যায়ে সেখানে গিয়েও প্রায় দুই ঘন্টার মত জ্যামে আমরা বসে ছিলাম। পরবর্তী যমুনা সেতু পার হওয়ার পরেও কিন্তু খানিকটা জ্যামে ছিলাম। যার কারণে ঢাকায় পৌঁছাতে অনেকটা বেশি লেট হয়ে গেছিল।
এবার নাবিল বাসে করেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। নাবিলের ফুড ভিলেজ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। মনে হচ্ছে কোন থ্রি স্টার হোটেল হবে। যাই হোক সবমিলিয়ে যাতায়াত করতে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। তবে ঢাকায় পৌঁছানোর পরে অনেকটা বেশি সমস্যা সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কারণ যখন আমাকে ঢাকায় নামিয়ে দেয় তখন বাজে সকাল নয়টা এবং সেই সময়ে প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত হচ্ছিল।
অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরেও কোনোভাবেই বৃষ্টিপাত কমে নি। পরবর্তীতে একটি সিএনজি করে আমি আমার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দেইনি। তবে এই যে বৃষ্টির ফোঁটা মাথায় পড়ছে এর কারণে জ্বর সর্দি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হচ্ছে। এছাড়াও বর্তমানে ঢাকায় ডেঙ্গুর অবস্থা ভালো নয়। এদিকে আবার করোনা মহামারীর প্রকোব বাড়ছে দিন দিন। সবমিলিয়ে অনেকটা টেনশনের মধ্যেই রয়েছি। যাই হোক আজকের মত এখানেই শেষ করছি আপনার সাথে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।
VOTE @bangla.witness as witness
OR

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমি আল সারজিল ইসলাম সিয়াম। আমি বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। আমি বর্তমানে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিএসসি-র ছাত্র। আমি স্বতন্ত্র স্বাধীনতা সমর্থন করি। আমি বই পড়তে এবং কবিতা লিখতে পছন্দ করি। আমি নিজের মতামত প্রকাশ করার এবং অন্যের মতামত মূল্যায়ন করার চেষ্টা করি। আমি অনেক ভ্রমণ পছন্দ করি। আমি আমার অতিরিক্ত সময় ভ্রমণ করি এবং নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতে ভালোবাসি। নতুন মানুষের সংস্কৃতি এবং তাদের জীবন চলার যে ধরন সেটি পর্যবেক্ষণ করতে ভালোবাসি। আমি সব সময় নতুন কিছু জানার চেষ্টা করে যখনই কোনো কিছু নতুন কিছু দেখতে পাই সেটার উপরে আকর্ষণটি আমার বেশি থাকে।
বিষয়: নীলফামারী টু ঢাকা
কমিউনিটি : আমার বাংলা ব্লগ
আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই এই কমিউনিটির সকল সদস্য কে, ধন্যবাদ......
@alsarzilsiam, আপনার নীলফামারী থেকে ঢাকা আসার অভিজ্ঞতা খুবই জীবন্তভাবে তুলে ধরেছেন! প্রতিটি ছবি যেন গল্প বলছে। বিশেষ করে নাবিল বাসের ফুড ভিলেজের অভিজ্ঞতা আর ঢাকার বৃষ্টিতে ভেজা অবস্থার বর্ণনা পড়ে মনে হল যেন আমিও আপনার সাথে ছিলাম।
আপনার লেখার মধ্যে নিজের গ্রামের প্রতি টান এবং একই সাথে পড়াশোনার জন্য দূরে থাকার যে কষ্ট, সেটি অনুভব করতে পারলাম। ঢাকায় ডেঙ্গু আর করোনার কথা শুনে খারাপ লাগলো, নিজের শরীরের প্রতি অবশ্যই যত্ন নেবেন।
এই ধরনের ভ্রমণ কাহিনী আমাদের উৎসাহিত করে নতুন জায়গা দেখতে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে। আপনার পোস্টটি তথ্যপূর্ণ এবং একই সাথে আবেগঘন। এমন সুন্দর পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আপনার লেখালেখি অব্যাহত থাকুক, সেই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
বৃষ্টির পানি শরীরে পড়লে, আসলেই জ্বর সর্দি সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। আমারও দুই দিন ধরে হালকা জ্বর এবং গলা ব্যথা। যাইহোক নীলফামারী থেকে ঢাকায় ভালোভাবে ফিরতে পেরেছেন, জেনে খুব ভালো লাগলো ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit