হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৯ শে জুন, রবিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। ভ্রমন প্রিয় মানুষ আর সবসময়ই ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করে। আমি সব সময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় স্থানে ভ্রমণ করতে অনেক পছন্দ করি। আমি যে শুধু একা ভ্রমণ পছন্দ করি এমনটা নয় আমাদের গ্রুপের প্রত্যেকটা সদস্যই ভ্রমণ করতে অনেক বেশি পছন্দ করে। আমরা মাঝেমধ্যেই ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন জায়গায় বেরিয়ে পড়ি। গত বছরের জানুয়ারি মাসে আমরা বান্দরবান ও কক্সবাজার ভ্রমণ করেছিলাম এবং সবাই মিলে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আজকে আমি বান্দরবান ভ্রমণের- রেমাক্রি ওয়াটার ফলস থেকে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমরা ভোরবেলা সবাই ঘুম থেকে উঠেই রেমাক্রি ওয়াটার ফলসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলাম। চারপাশে তখনও কুয়াশা জমে আছে। পাতার গায়ে পানি জমে আছে, বাতাসে হালকা ঠান্ডা। সবাই চুপচাপ দাঁড়িয়ে সেই মুহূর্ত উপভোগ করছিলাম। আমাদের চারপাশ ছিল নিস্তব্ধ আর অনেক সুন্দর।
আমরা নয়জন একসাথে দাঁড়িয়ে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। কারো হাতে ব্যাগ, কারো হাতে পানির বোতল। সকালের হালকা আলোয় পাহাড়ের ছায়া পড়ছিল নিচে। সবাই একটু চুপচাপ, কারণ সামনে দীর্ঘ পথ তবুও মুখে একটা হাসি, একটা উত্তেজনা। আমাদের এই ট্রাভেলটা যেতে অ্যাডভেঞ্চার ছিল তাই মনের ভেতর রোমাঞ্চকর অনুভূতি ও ছিল।
ওয়াটার ফলসের পানি তখন জোরে পড়ছিল। কেউ পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছিল, কেউ পায়ের নিচে পাথরের উপর ভারসাম্য রাখতে ব্যস্ত ছিল। সেই মুহূর্তে আমরা বুঝে গিয়েছিলাম এটা কোনো সাধারণ যাত্রা নয়। এটা হলো পাহাড়, নদী আর প্রকৃতির সঙ্গে এক দীর্ঘ পথচলা।
আমাদের পথটা ছিল সরু পাহাড়ি ট্রেইলের মতো। নিচে পানি, পাশে পাথর, ওপরে গাছের ডাল ঝুঁকে পড়েছে। সবাই মিলে একসাথে হেঁটে হেঁটে যাচ্ছিলাম বেশ ভালই অনুভূতি হচ্ছিল। আমরা যারা গিয়েছিলাম সবার পাহাড়ে হাঁটার অভিজ্ঞতা অনেক কম ছিল। আমার অভিজ্ঞতা একদম ছিল না বললেই চলে।
প্রথমে আমরা একটু ধীরে চলছিলাম। কেউ পাহাড়ে চড়তে অভ্যস্ত না, তাই পা পিছলে যাওয়ার ভয় ছিল। আবার নিচে তাকালে দেখা যাচ্ছিল পানির স্বচ্ছ ধারা। পাথরের ভাঁজে জমে থাকা ঠান্ডা পানি মাঝে মাঝে জুতা ভিজিয়ে দিচ্ছিল।
সব মিলিয়ে রেমাক্রি ওয়াটার ফলস থেকে নাফাখুমের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়াটা দারুন হয়েছিল।
আজকে এ পর্যন্তই আবার অন্য একটি পোস্টে বান্দরবান ভ্রমণের কাহিনী আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১৯ ই জানুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন: বান্দরবান
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


@aongkon, আপনার বান্দরবান ভ্রমণের গল্পটি পড়ে মুগ্ধ হলাম! রেমাক্রি থেকে নাফাখুমের পথে আপনার অভিজ্ঞতা এবং চমৎকার ফটোগ্রাফিগুলো অসাধারণ। কুয়াশা ঢাকা সকালের নীরবতা থেকে শুরু করে সরু পাহাড়ি পথে বন্ধুদের সাথে হাঁটার রোমাঞ্চ – প্রতিটি মুহূর্ত জীবন্ত হয়ে উঠেছে।
আপনার ভ্রমণ বর্ণনার আন্তরিকতা এবং ছবিগুলোর ডিটেইল সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে আপনার এই ধরনের সৃজনশীল অবদান আমাদের প্ল্যাটফর্মকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
ভ্রমণ ভালোবাসেন এমন যে কেউ আপনার পোস্টটি পড়ে উৎসাহিত হবেন। অপেক্ষায় রইলাম বান্দরবানের আরও গল্প শোনার জন্য! আপনার ভবিষ্যৎ ব্লগিং আরও উজ্জ্বল হোক, সেই কামনা করি।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit