ঝালমুড়ি।।৩০ মে ২০২৫

হ্যালো বন্ধুরা,

ঝালমুড়ি—এই শব্দটা উচ্চারণ করলেই যেন বাঙালির মনে জেগে ওঠে এক গ্রীষ্মস্নাত দুপুর,ট্রেনের জানালার পাশে বসে হাওয়া খাওয়ার স্মৃতি অথবা বৃষ্টিভেজা কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম প্রেমের কাঁপা কাঁপা চোখাচোখি।এই সরল, কিন্তু বিস্ময়করভাবে রসালো খাদ্যটি শুধু একটি খাবার নয়—এটি বাঙালির জীবনবোধ, সময়চেতনা, আর আড্ডা সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

সাহিত্যের ভাষায় বলতে গেলে, ঝালমুড়ি হলো বাঙালি জীবনচিত্রের এক চলমান প্রতীক—যার ভেতরে মিশে আছে সহনাগরিকতার গন্ধ, নিচু টেবিলে বসে সমানভাবে ভাগ করে খাওয়ার সৌন্দর্য এবং ক্ষণস্থায়ী মুহূর্তকে চিরন্তন করে তোলার এক কবিতাসম আভাস।

বিভিন্ন গল্প, উপন্যাস কিংবা কবিতায় আমরা পাই এই খাদ্যটির পুনরাবৃত্তি—নিমাই ভট্টাচার্যের ‘মেমসাহেব’-এ অফিসপাড়ার ক্লান্ত বিকেলে, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতায় প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষার সময়, কিংবা হুমায়ূন আহমেদের গদ্যে শহরের ফুটপাথের ঘ্রাণে—সবখানেই ঝালমুড়ি এক অন্তর্বাসী চরিত্র।একে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বহু আড্ডা, বহু প্রেম, আবার কখনো কখনো ক্ষোভ ও প্রতিবাদের গল্পও।রাজনৈতিক মিছিলের আগে বা পরেও দেখা যায় কিছুক্ষণের মধ্যে ঝালমুড়ি খাওয়ার বিরতি, যেন বিপ্লবের আগুনেও একটু লঙ্কা ঝাল দরকার।

এছাড়াও ঝালমুড়ি একটি গণতান্ত্রিক খাদ্য—যার দাম সস্তা হলেও তার আনন্দ অমূল্য।ধনী-দরিদ্র, তরুণ-বৃদ্ধ—সকলেই সমানভাবে ঝালমুড়ির ভাগীদার।এটি কোনো অভিজাত রেসিপি নয়, বরং রাস্তার একান্ত আত্মা, যেখানে মানুষ নিজেকে একটু ছেড়ে দিতে পারে, একটু খাঁটি হয়ে উঠতে পারে।এর মধ্যে যেমন সরষের তেলের ঝাঁজ, তেমনই আছে জীবনের টক-মিষ্টি-ঝাল রসায়ন।

সব মিলিয়ে, ঝালমুড়ি বাঙালির সাহিত্যে এক প্রান্তিক কিন্তু গভীর চরিত্র।এটি আমাদের শুধুই খাই না—আমরা এটি দিয়ে গল্প বলি, স্মৃতি আঁকি, ভালোবাসি, প্রতিবাদ করি। ঝালমুড়ির টিনের কৌটোর মধ্যে যেন বাঙালির যাবতীয় স্বপ্ন, ব্যথা আর আনন্দ ঘোরাফেরা করে—একটি শহুরে, গ্রামীণ, নাগরিক এবং চিরন্তন বাংলার স্বাদ নিয়ে।

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

|| Join Heroism Discord Server for more Details ||

---

ধন্যবাদ।সবাই ভালো থাকবেন।

|| Community Page | Discord Group ||

---

Beauty of Creativity. Beauty in your mind.
Take it out and let it go.
Creativity and Hard working. Discord

PUSS COIN:BUY/SELL