বর্তমানে জনগণের কথা শুনবেন এমন মানুষ অনেক কম রয়েছে। সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারি কর্মজীবীরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ পকেট গরম করতে ব্যস্ত। এতে করে জনসাধারণের কি কি বিষয় ভোগান্তি হচ্ছে কোন কোন সমস্যা হচ্ছে এই সেক্টরগুলোতে কাজ করার মত আসলে কোন মানুষই নেই। কারণ যখন সরকার প্রধান কিংবা অনেক পাওয়ারফুল লোক রাস্তায় বের হয় তাদের জন্য রাস্তা আগে থেকেই ফাঁকা করে রাখা হয়। যাতে করে তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে। কিন্তু অপরদিকে আমাদের মত সাধারন জনগণ ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে বসে সময় গুলো নষ্ট করছি।
আমরা তো মানুষ, আমাদের জীবিকা নির্বাহের জন্য অবশ্যই খাওয়া-দাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। আপনি আমি যখন বাজারে যাই তখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর যে দাম যে হারে বেড়ে চলেছে এতে করে অনেক কিছুই আমাদের সাধ্যের নাগালে চলে গেছে। মাছ মাংসের কথা বাদ দিলাম। সেগুলো তো কত কয়েক বছর ধরে সেভাবে করে হাত দেওয়া হয় না। কিন্তু শাকসবজির দামও এখন প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গেছে। কিন্তু এই ভোগান্তি গুলো দেখার মত কি কেউ রয়েছে।
এইতো আর কিছুদিন পরেই ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা যে পরিমাণে জিনিসের দাম বৃদ্ধি করেছে সেটা বলার মত নয়। আরও একটা বড় সেক্টর রয়েছে সেটা হচ্ছে বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সি। বর্তমানে ঢাকা শহর থেকে নিজস্ব গ্রামে যাবে এমন মানুষ কোটিরও বেশি হবে। কিন্তু সেই তুলনায় নরমাল যে ভাড়া থাকে তার থেকেও অনেক গুন ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয় এবং সেই অর্থের বিনিময়ে আমাদের মতো সাধারণ জনগণ তাদের বাসায় গিয়ে ঈদ উদযাপন করতে পারেন। তাহলে এখানে সেবা কোথায় সবাইতো নিজের স্বার্থ নিয়ে পড়ে আছে।
