পেছনের গল্প( পর্ব-২০ )!!

in hive-129948 •  6 days ago 


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ মঙ্গলবার, ২৪ ই জুন ,২০২৫।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে


1000580923.jpg


যদিও খুব একটা খোঁজ খবর রাখি না। তবে বুঝতে পারছি বাংলাদেশের করোনা অবস্থা আবার খারাপ হচ্ছে। প্রতিদিনই এমন নিউজ সামনে আসছে যেখানে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় করোনা আক্রান্ত এর সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেটা আসল ব‍্যাপার না। এই পরিস্থিতিতে আমি আবার ফিরে গিয়েছিলাম বছর চার আগে। না আমি টাইম ট্রাভেল করিনি। আমার ফোনের গ‍্যালারির মাধ‍্যমে ফিরে গিয়েছিলাম চার বছর আগে। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা হবে। মোটামুটি দেড় বছর স্কুল কলেজ সব বন্ধু করোনার জন্য। বলতে পারেন দেড় বছর ধরে লেখাপড়া ততদিনে ভেসে গিয়েছে। করোনার টিকা ততদিনে দেওয়া শুরু হয়েছে। সেই সাথে খুলতে শুরু করেছে বাংলাদেশের স্কুল কলেজ গুলো।

একদিন হঠাৎ আমাদের শিক্ষাবোর্ড থেকে নোটিশ এলো বাংলাদেশের সব পলিটেকনিক গুলো খুলে দেওয়ার। আর কি শুরু হয়ে গেল আবার সেই রুটিন। তবে এবার কিছুটা অন‍্যভাবে। মানতে হবে বিভিন্ন নিয়ম। মাস্ক পড়তে হবে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে সবাইকে করোনার টিকা নিতে হবে আরও কতকিছু। তবে সবকিছুর মাঝে আবার যে আমরা ক্লাসে ফিরে যেতে পেরেছিলাম এইজন্যই সবচাইতে বেশি আনন্দিত ছিলাম। বিশেষ করে এতোটা দীর্ঘ সময় বাড়িতে থেকে একেবারে বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম আমরা আর কি। না আমার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে আমার কলেজ ড্রেসের প‍্যান্ট এবং শার্ট দুইটাই কিছুটা ছোট হয়ে গিয়েছে বুঝছিলাম। অর্থাৎ আমি আরও লম্বা হয়ে গিয়েছিলাম। ।


1000580922.jpg

1000580924.jpg


প্রথম দিন বেশ উৎসাহের সাথে কলেজে চলে গেলাম। আমার সাথে আমার আরও কয়েকজন বন্ধু ছিল। তবে আমাদের সবাই মুখে ছিল মাস্ক। এটা এখন দেখলে কিছুটা হাসি পাই আমার। যদিও আমি এখনও নিয়মিত মাস্ক পড়ি। না করোনার ভয়ে না ধুলাবালির জন্য আর কী। ক্লাসে গিয়ে যখন বসলাম দেখলাম আমাদের অন্য বন্ধুরাও চলে এসেছে। অনেক দিন পর সবাই একে অন্য কে দেখে বেশ খুশি। সেই অনূভুতি টা অন‍্যরকম ছিল। আমার বন্ধু মেহেদীর সাথে এই সেফলি টার কথা আমার বেশ মনে আছে। এটার বিশেষ একটা কারণ আছে। মেহেদী এবং আমার মধ্যে সবসময় ফুটবল নিয়ে আলোচনা চলতো। আমি ছিলাম রিয়াল মাদ্রিদ এবং রোনালদো ফ‍্যান এবং মেহেদী ছিল বার্সেলোনা এবং মেসি ফ‍্যান। সত্যি বলতে আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার পরে মেহেদী আমাকে বলে ইমন মেসি কিন্তু নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি টা জিতে নিয়েছে।

মেহেদীর কথাটা শুনে আমি বেশ হেসেছিলাম। এতো বড় দূর্যোগের পরে আমরা যে আবার ক্লাসে ফিরতে পেরেছি এটার বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল মেহেদীর কাছে এটা বলা যে মেসি ট্রফি জিতেছে। না এটা স্বাভাবিক। ফুটবল ফ‍্যানরা এইরকমই হয়ে থাকে। আজ দিনগুলোর কথা আবার বেশ মনে পড়ছে। যদি আবার করোনা বেড়ে যায় লকডাউন দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্টানে সহ বাংলাদেশের সব প্রতিষ্টান বন্ধ করা হয় তাহলে হয়তো আবার এইরকম পরিস্থিতি তে আমরা পড়তে পারি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আবার যেন এমন অবস্থা না আসে। পৃথিবী টা স্বাভাবিক থাক। জানি আমরা মানুষই এর জন্য দায়ী। কিন্তু কী করার নিজেদের ধ্বংস তো আর নিজেরা কামনা করতে পারি না।



সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG-20231027-WA0008.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।


আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png


1000561739.png


Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আপনার পিছনের গল্প পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া সব কিছুর জন্য আমরা দায়ী এটাই স্বাভাবিক। তবে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করি আর যেন এমন না হয়। বেশ ভালো লিখেছেন, ধন্যবাদ আপনাকে।