পরিবর্তন!!

ফুটবল আমার পছন্দের খেলা। ফুটবল টা আমি যতটা খেলতে পছন্দ করি ঠিক ততটাই দেখতে পছন্দ করি। শেষ ফুটবল খেলেছিলাম প্রায় এক বছর আগে। অর্থাৎ গতবছর ঈদে বাড়ি গিয়ে। তারপর একটা বছর আর মাঠে নামার সুযোগ হয়নি। এবার বাড়ি গিয়ে ইচ্ছা ছিল ফুটবল খেলব। কিন্তু সত্যি বলতে ঐরকম পরিবেশ পাইনি। প্রথমত বেশ গরম ছিল তার উপর এলাকার অন‍্যরা আর আগের মতো খেলাধুলা করে না। কিন্তু আমার কিছু ছোট ভাই ওরা নিয়মিত খেলে। না এখন যদিও ওরা আর ছোট নেই। সবাই এসএসসি এবং ইন্টারমিডিয়েট লেভেলের। কিন্তু তারপরও আমার থেকে তো ছোট। ওরা প্রায় নিয়মিত খেলে। এরমধ্যে সাবিত আমাকে একদিন বলল ভাইয়া চলো খেলতে যায় আজকে। ওর এই কথা শুনে আমি দ্বিতীয়বার ভাবিনি। চলে গেলাম খেলতে।

একটা সময় ছিল যখন আমি ওদের মাঠে নিয়ে আসতাম। তখন খেলাটা চলতো আমার নেতৃত্বে। কিন্তু আজ সবকিছুই ব‍্যতিক্রম। ওদের কে ফুটবল এর সাধারণ নিয়মগুলো আমি শিখিয়েছিলাম কীভাবে হ‍্যান্ডবল হয় কোথা থেকে পেনাল্টি শর্ট নিতে হয়। বল কখনোই নিজের কাছে বেশিক্ষণ রাখা ঠিক না। কীভাবে ম‍্যান মার্কিং করতে হয় এসব ওরা আমার থেকেই প্রথম জেনেছিল। তবে এখন আর ওরা আগের মতো ছোট নেই সেটা আমি ভালোভাবে বুঝতে পারলাম খেলতে নেমে। আমি বরাবরই মধ‍্যমাঠে খেলতে পছন্দ করি। কারণ এই জায়গা থেকে পুরো খেলাটা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। মধ‍্যমাঠের খেলোয়ার রা অনেক শৈল্পিক হয়ে থাকে তারা প্লে মেকিং করে থাকে। মাঠে গিয়ে প্রথমে দুই দলে বিভক্ত হয়ে যায় আমরা। শুরু হয় খেলা।

---

---

আগে যখন বল পেতাম সামনে এগিয়ে যেতে থাকতাম। কখনও পাস করতাম কখনও ড্রিবলিং করতাম অথবা কখনও বল হোল্ড করে অপেক্ষা করতাম। এইদিনও সেটাই চেষ্টা করি। তবে সেটা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ইয়াসিনকে ড্রিবলিং করতে গিয়ে প্রথমেই ব‍্যর্থ হয়। আমার থেকে বলটা ও ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কয়েকবার এই ঘটনা ঘটে। আগে আমি যেমন অ‍্যাটাকে সহায়তা করতাম এবং ডিফেন্স করতেও ফিরে আসতাম। অর্থাৎ দৌড়ের উপর থাকতাম কিন্তু এইদিন খেয়াল করলাম পুরো মাঠ একবার দৌড় দিয়ে অতিক্রম করার পর আমার অবস্থা খারাপ। অর্থাৎ আমি হাঁফিয়ে গেছি। আর যেন কোনভাবেই দৌড়াতে পারছি না। একটা বছর খেলা তো দূরে থাক ঐভাবে নিয়মিত দৌড়াদৌড়ি করিনি। এইজন্যই এই অবস্থা।

আগে খেলার সময় আমি ওদের নাজেহাল করতাম। অনেক সময় ডিবক্সের বাইরে থেকেও শর্ট দিয়ে গোল করেছি শর্ট অন টার্গেট রেখেছি। কিন্তু এইদিন সেটাতেও ব‍্যর্থ। আমার একটা শর্টও গোলপোস্টে যাচ্ছিল না। বুঝলাম আমার শর্টের লক্ষ্যের পরিবর্তন টাও বেশ হয়েছে। বেশ কিছুক্ষণ ওদের সাথে খেললাম। যদিও ঐভাবে খেলতে পারিনি। তবে বেশ ভালো লাগছিল। অনেক দিন পরে সবুজ ঘাসের উপরে দৌড়ানোর জন্য শরীরের মধ্যে একটা ভালোলাগা কাজ করছিল। ফুটবলের প্রতি আমার আকর্ষণ টা এখনও আগের মতোই রয়েছে। যদি একটা সপ্তাহ নিয়মিত খেলি তাহলে আবার আগের জায়গাই ফিরে যাবো। ফুটবল মাঠে আবার নিজেকে খুজে পাব। কিন্তু সেই সময় আমার আর নেই। এইজন্যই বেশি আফসোস হয়।

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

Facebook
Twitter
You Tube

---

---

অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।

---

আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।

---

---

---

---

---

---

---

---