ঈদের আনন্দ।

আসসালামু আলাইকুম/আদাব
আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটি বন্ধুরা
আমি @fatema001 বাংলাদেশ থেকে
আজ বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

হ্যালো বন্ধুগণ আপনারা সবাই কেমন আছেন ।।আশা করছি আপনারা সবাই সুস্থ ও ভালো আছেন ।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। গত সপ্তাহে আপনাদের মাঝে ঠিকভাবে সময় দিতে পারেনি। তবে আশা করছি এই সপ্তাহে আপনাদের মাঝে ঠিকমতো সময় দিতে পারব এবং কাজ করতে পারব। আজকে আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেছি। আজকে ঈদ উল আযহার দিন ছয় দিন আর এর মধ্যে আমি আপনাদের মাঝে ঈদের আনন্দ শেয়ার করতে পারেনি। তাই আজকে ঈদের আনন্দ নিয়ে আপনাদের মাঝে সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করব। ঈদ উপলক্ষে সবাই নতুন জামা কাপড় কিনে এবং ঈদের দিন থাকে বিভিন্ন আয়োজন। ঈদের দিন সকালবেলা উঠেই হয়ে যায় ব্যস্ত। ঈদের দিন খুব সকালবেলা উঠে ফজরের নামাজ আদায় করে সবাই প্রস্তুতি নিতে থাকে কুরবানী এবং ঈদের নামাজের জন্য। যেহেতু ঈদুল আযহা সবাই না খেয়ে ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করতে যাই তাই নাস্তা তৈরিতে খুব একটা তাড়াহুড়া হয় না। তবে ঈদের নামাজ খুব সকালে দেওয়ার কারণে একটু তাড়াতাড়ি করে সবাই গোসল সেরে রেডি হতে শুরু করে দেয় ঈদগাহে যাওয়ার জন্য।

তবে ঈদগাহে যাওয়ার আগে সবাই আনন্দের সাথে একসাথে ছবি তোলে। এবার আমাদের এখানে ঈদুল আযহার ঈদগায় জামাত ছিল ৭:৩০ মিনিটে। যদিও খুব সকাল না তারপরেও এদিকে সবকিছু প্রস্তুতি গ্রহণ করে। তারপরে ঈদে নামাজ আদায় করতে যেতে হয় এজন্য একটু তাড়াহুড়া হয়ে যায় সকালবেলা। আমাদের বাড়িতে প্রথমে সবাই গোসল ছেড়ে এরপর নতুন পোশাক পড়ে রেডি হয়ে যাই। তারপর চোখে সুরমা লাগিয়ে গায়ে যে যার মত সুগন্ধি লাগিয়ে নেই। এটা দেখে আবু রায়হান তো ভীষণ খুশি সবাই বাড়িতে একসাথে তার ওপর এভাবে নতুন পোশাক পরে। যদিও এর আগে বাবু একটি কোরবানির ঈদ পেয়েছিল কিন্তু তখন আবু রায়হানের বয়স অনেক কম ছিল। তাই এখনকার মত আগে অতটা বুঝতে পারিনি। আবু রায়হান গোসল করতে যাই কিন্তু অত সকাল বেলা গোসল করলে যদি ঠান্ডা লেগে যায় তাই আমি ওকে গোসল করাইনি। কেননা ও এখন অনেক ছোট ওকে ঈদগাহে নিয়ে গিয়ে ঝামেলা করবে।

তবে ওর হাত মুখ ধুয়ে, নতুন পাঞ্জাবি, পায়জামা, জুতা, টুপি পরিয়ে সুগন্ধি লাগিয়ে রেডি করে দিয়ে তাড়াতাড়ি। তারপর প্রথমে ওর দাদার সাথে একটি ছবি তোলে আপনারা একদম প্রথম ছবিটি লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন আবু রায়হানের দাদার সাথে ওর ছবি। এরপর ওর দাদাকে হাত ধরে টেনে বাইরে নিয়ে যাচ্ছিল বাইরে যাওয়ার জন্য। আসলে ঈদের আনন্দ বলতে আমার কাছে মনে হয় এটাই সবথেকে বড় আনন্দ পরিবারের সবাই একসাথে এভাবে সুন্দর করে জামা কাপড় পড়ে সুন্দরভাবে ঈদ কাটানো। অনেকের ভাগ্যে হয়তো এটাও হয় না। তারপর আমাদের পরিবারের সবাই মিলে একটা ছবি তুলে নিই। এখানে আবু রায়হান আবু রায়হানের আব্বু এবং ওর দাদা আর ছিল মেজো ও ছোট চাচা। সবাই মিলে যখন একসাথে ছবি তুলছিল তখন আবু রায়হান অনেক খুশি ছিল। আর ওর এই খুশি দেখে আমাদের পরিবারের সবাই অনেক খুশি।

তারপর ঈদগাহে যাওয়ার জন্য যখন সবাই বাড়ি থেকে বের হলো আমরাও উনাদের কে এগিয়ে যেতে আমাদের বাড়ির পিছনে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি আরো অনেক মানুষ সবাই রেডি হয়ে ঈদগাহে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তখন সবাই মিলে আরেকটি ছবি তুলে নিলাম। হয়তো এই ছবিটা চিরদিন থেকে যাবে কিন্তু মানুষগুলো একদিন হারিয়ে যাবে। তারপর সবাই কোলাকুলি করে এরপর ইব্রাহিম যাওয়ার জন্য রেডি হয়ে চলে গেল। এদিকে আমার ছেলে ঈদগাহে যাওয়ার জন্য সে কি কান্না তাকে থামানো যাবে না তার আব্বুর সাথে যাবে। যেহেতু এখন অনেক ছোট তাই ওকে নিয়ে যাওয়া যাবে না। যাই হোক বাড়িতে এনে এটা সেটা দিয়ে তাকে বোঝানো হল। তবে সব থেকে বেশি আনন্দ লাগে যখন সবাই নামাজ আদায় করে এসে সবাইকে সালাম দেয়। এবার আবু রায়হান ঈদ উপলক্ষে অনেক সালামি পেয়েছে। যাই হোক ঈদের আনন্দটা অনেকটা আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পেরে খুবই ভালো লাগছে। সবার সুস্থতা কামনা করে আজকে এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন কোন পোস্ট নিয়ে হাজির হওয়ার চেষ্টা করব। আল্লাহ হাফেজ।