15-06-2025
১আষাঢ় , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সুস্থ্য থাকাটাই হলো প্রথম কথা। কারণ দিনশেষে আপনি সুস্থ্য না থাকলে আপনার কোনো কিছুই করতে ভালো লাগবে না। এজন্য সুস্থ্য থাকা জরুরি। সুস্থ্য থাকার জন্য রেগুলার খাওয়ার রুটিন মেইনটেইন করা দরকার। এমন অনেকেই আছে যারা খাবার নিয়ে অনেক অনীহা! এই যে আমিই তো! আমি খাবার নিয়ে আগে অনেক অনীহা করতাম। পেটে খিদা নিয়েও না খেয়ে থাকা ছিল বড় ধরনের একটা বদঅভ্যাস। এই বদঅভ্যাসের কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। আমি খুব তাড়াতাড়ি এ বদঅভ্যাস পরিবর্তন করেছি। আর বিশেষ করে রাত জাগার যে বিষয়টা সেটাও ত্যাগ করেছি। একটা সময় রাত জেগে বেশিরভাগ কাজই করে নিতাম। পরে দেখা যেত কাজ সব ঠিকই হতো কিন্তু দুদিন যেতে না যেতেই শরীর অসুস্থ হয়ে যেত। তো এই কাজ করে তো আলটিমেটলি কোনো লাভ নেই! এজন্য রাত জাগার অভ্যাসটাও পরিবর্তন করলাম।
এখন আপনি যদি জীবনের নিয়ম নীতির বাইরে গিয়ে চলাফেরার চেষ্টা করেন তাহলে আপনার জন্য টিকে থাকাটা কঠিন হয়ে যাবে। আপনার উচিত যেখানে রাত দশটার মধ্যেই ঘুমিয়ে যাওয়া আর আপনি তা না করে করতেছেন কি রাত তিনটায় ঘুৃমাতে গেলেন! এতে আপনার ঘুম কতটুকুই বা হবে! পর্যাপ্ত ঘুম না হলে আপনার সারাটা দিন কি ভালো যাবে। আপনি যদি নিয়মিত রাত জেগে কাজ করার অভ্যাস তৈরি করেন তাহলে দেখবেন সেটা একটা সময় বদঅভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। কোনো একটা অভ্যাস যদি বদঅভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় তাহলে সেখান থেকে বের হয়ে আসাটা কঠিন। সবকিছুর একটা নিয়মনীতি রয়েছে। কারো জীবনের স্রোতে নিজেকে ভাসালে সমস্যা! আপনার জন্য যেটা কমফোর্টেবল সেটাই করতে হবে। তাহলে জীবনটাকে উপভোগ করা যাবে।
জীবনে খারাপ সময় ভালো সময় আসবে যাবে। তবে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। চেষ্টা করতে হবে। চেষ্টার মাধ্যমেই অনেক কিছুর সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব। যেকোন পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে চলতে হবে। যেমনটা নদীর জলের মতো। নদীর জল যখন প্রবাহিত হয় তখন দেখবেন সামনে কোনো বাধা থাকলেও সেটা অতিক্রম করে নীরবে চলে যায়। আমাদের জীবনের বেলায়ও তাই হতে হবে। তাহলে জীবনটাকে সহজ মনে হবে। আরও উপভোগ্য মনে হবে। আপনি জীবনের উপরে জোর প্রয়োগ কোনোকিছু সহজে পেয়ে যাওয়ার চিন্তা বাদ দিন। এতে আপনার উপরই প্রভাব পরবে। তার চেয়ে ভালো সময় নিয়ে কাজটি করার চেষ্টা করুন। যাতে করে মানসিক প্রেসার তৈরি যেন না হয়।
অনেকেই আছে সবসময় শর্টকাট উপায় খুঁজে! কেউ চাই সহজেই সে ধনী হয়ে যেতে! আবার কেউ চাই সহজেই কোটি টাকার মালিক হয়ে যেতে। কিন্তু কথা হলো সহজেই কি ধনী হওয়া সম্ভব! যে ব্যক্তি ধনী তার জীবনী দেখলে বুঝা যায় তার ধনী হওয়ার পিছনের আসল রহস্য! রাতারাতি কেউ ধনী হতে পারে না। ধাপে ধাপে সামনে আগাতে হয়। এখন আপনি যদি মনে করেন এক মাস ধুমায়া কাজ করে রফিক সাহেবের মতো ধনী হয়ে যাবেন তাহলে সেটা কখনোই সম্ভব না! টাকা পয়সার মালিক হতে হলে আগে হতে হবে যথেষ্ট পরিশ্রমী। পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব না! পরিশ্রম করলে সবকিছু পাওয়া সম্ভব। দ্বিতীয়ত,ধৈর্যশক্তি থাকতে হবে প্রখর! প্রখর ধৈর্যশক্তিই আপনাকে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাবে।
এজন্য জীবনে কোনো কিছু অর্জনে এতো তাড়াহুড়ো করতে নেই। সঠিক সময়ে সঠিক জিনিস আপনি পেয়ে যাবেন যেটা আপনার জন্য কল্যাণকর ছিল। জীবনে ভালো ও খারাপ দুটো সময়ই থাকবে। তবে মনে রাখতে হবে খারাপ সময় ক্ষণস্থায়ী! এরপরে সুখ আসবেই। আবার কেউ ভেবে নেই ভালো সময় তার জীবনে সবসময় থাকবে! ব্যাপারটা কিন্তু মোটেও এমন না। ভালো সময়ের পরেও খারাপ সময় আসবে। দুটোই আপনাকে গ্রহণ করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। জীবনটাকে জীবনের নিয়মে উপভোগ করতে পারলেই সুন্দর!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit