*04-06-2025
২১ জৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে চলে এলাম আপনাদের সাথে আইপিএল এর ফাইনালের ম্যাচ নিয়ে আলেচনা করার জন্য। ফাইনাল ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের মাঝে আলাদা একটা উত্তেজনা করছিল। কারণ বহুল প্রতিক্ষার পরে আরসিবি যেন ফাইনালে গেল। কতবার স্বপ্ন ভেঙে গেল এই টিমটার। দর্শকরাও কেঁদেছে অনেকবার। ক্রিকেট আসলে ইমোশনের জায়গা। ক্রিকেট আমি সেই ছোটবেলা থেকেই পছন্দ করি। একটা ভালো লাগা তো রয়েছেই খেলাটার প্রতি। তো ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল রয়েল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরু বনাম কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব! আরসিবি বরাবরই হট ফেভরিট হয়ে আইপিএলে আসে। তারপর তারা ভালো খেললেও দলগত পারফরর্মেন্স খুব কম দেখা যেত। যেহেতু কোহলি অনেকবার শিরোপা জয়ের কাছ থেকেও হেরেছে। ভক্তদের একটাই চাওয়া ছিল ভিরাট কোহলি জিতুক, আরসিবি শিরোপা জয়ের পাশে নাম লেখুক!
তো ফাইনালের মতো মঞ্চে টসে জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। কারণ তাদের মাঝে আত্মবিশ্বাসটা ছিল! আগের ম্যাচে তারা মুম্বাই ইন্ডিয়ানকে হারিয়েছিল। ২০০+ রান করেও মুম্বাই হেরেছিল। সে প্লেনটাই হয়তো করেছিল শ্রেয়াসায়র। তো শুরুতেই ব্যাটিং করতে নামে ভিরাট কোহলি ও সল্ট! ইনিংসের প্রথম ওভারেই সল্টের ব্যাটিং তান্ডব শুরু হয়ে যায়। তবে দ্বিতীয় ওভারেই ঘটে ছন্দপতন। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৮ রান তখন কাইল জেমিসন এর বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়। তারপর মাঠে নামে মায়ান্ক আগারওয়াল! রাইট হ্যান্ডেড এ ব্যাটারের হাতে যথেষ্টো পাওয়ার রয়েছে। তবে মাঠে থাকতে পারলে রান আসবে। কোহলিকে সাথে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৫৬ রান তখন মায়ান্ক আগারওয়াল আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে। খেলার কিছুটা ছন্দপতন তখন ঘটে। তারপর মাঠে আসে রাজাত পাতিদর!
রাজাত পাতিদর মাঠে নামার পর আরেকটা আশা তৈরি হয় আরসিবি দর্শকদের মনে। ভিরাট কোহলি ঠান্ডা মাথায় খেলতে থাকে। অন্যদিকে রাজাত পাতিদর বাউন্ডারি মেরে পাঞ্জাবের বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৬ রান তখন কাইল জেমিসনের বলে এলবিডব্লিউ এর শিকার হয় রাজাত পাতিদর! তারপর মাঠে আসে লিয়াম লিভিংস্টন! ইংল্যান্ডের এই রাইট হ্যান্ডেড এ ব্যাটারের যথেষ্ট জোর রয়েছে হাতে। লিয়াম লিভিংস্টন নামার পরে কোহলি রানের গতিটা আরেকটু বাড়ানোর চেষ্টা করে! কারণ বেশ কিছু বল ডট চলে গিয়েছিল। দলীয় সংগ্রহ যখন ১৩১ রান তখন আজমুতল্লাহ ওমরজাই এর বলে আউট হয়ে যায়। দর্শকরা অনেক হতাশা হয়েছিল। কারণ দর্শকরা আশা করছিল ভিরাট কোহলি হাফ সেঞ্চুরিটা করুক। ভিরাট কোহলি ব্যক্তিগত ৪৩ রান করে আউট হয়ে যায়। তারপর মাঠে নামে জিটেশ শর্মা। জিটেশ শর্মা মাঠে নামার পর ব্যাটিং গতি বাড়ানোর চেষ্টা করে। শেষ অবধি নয় উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়।
আগের ম্যাচের কথা যদি বলি তাহলে বলতে হচ্ছিল পাঞ্জাবের জেতাটা একদজ সহজ হবে। আবার সেই পাঞ্জাবকেই কিন্তু আবার হারিয়ে ফাইনালে এসেছিল রয়েল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরু! দেখার বিষয় ছিল রয়েল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালুরু কেমন বোলিং করে! ব্যাটিং করতে নামে আরিয়া ও পি সিং! আরিয়ার ব্যাটিং কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো। তো পাঞ্জাব ইনিংসের শুরুটা ভালোই হয়েছিল বলতে হয়! তবে তৃতীয় ওভারে যখন আরিয়ার একটা ক্যাচ মিস করে শেফার্ড। দর্শকরা তখন অনেকটা হতাশ হয়ে যায়। দলীয় সংগ্রহ যখন ৪৩ রান তখন আরিয়া আউট হয়ে সাজঘরে যায়। অসাধারণ একটা ক্যাচ নিয়েছিল সল্ট! তারপর মাঠে আসে জস ইংলিশ! অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটারের হাতে যথেষ্ট হিট রয়েছে! তো ইংলিশ পি সিংকে নিয়ে একটা পার্টনারশিপ বিল্ড আপ করার চেষ্টা করে। যেভাবে ব্যটিং করতেছিল তবে মনে হচ্ছিল খুব সহজেই জিতে যাবে। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৭২ রান তখন ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরে।
তারপর মাঠে আসে ক্যাপ্টেন শ্রেয়াসায়ার। সেরা পাচঁ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শ্রেয়াসায়র। তো পাঞ্জাবের ভক্তদের একটা আশা ছিল শ্রেয়াসায়র এর উপর। কিন্তু ফাইনালে নিজেকে মেলে ধরতে পারেনি। দলীয় সংগ্রহ যখন ৭৯ রান তখনই শ্রেয়াসায়ার শেফার্ডের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে। তারপর মাঠে আসে ওদেরা! পাঞ্জাবের দর্শকদের মনে জয়ের আশা জাগিয়েছিল জস ইংলিশ! একের পর এক ছক্কা মেরে বোলারদের চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল। তবে দলীয় সংগ্রহ যখন ৯৮ রান তখন ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে মিডঅনে কট আউটের শিকার হয়। তারপর জয়ের আশাটা শেষই বলতে হচ্ছিল। কিন্তু শেষের দিকে শশাঙ্ক একাই লড়াই করে যায়। আর একটা বল বাকি থাকলে হয়তো খেলার ফলটা ভিন্ন হতো। ছয় রানের ব্যবধানে জয়লাভ করে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু! ম্যান অফ দা ম্যাচ সিলেক্ট হয় ক্রুনাল পান্ডিয়া! দীর্ঘ ১৮ বছর অপেক্ষার পর আরসিবি আইপিএলে শিরোপায় তাদের নাম লেখাতে পারলো। একটা ট্রফি তো ভিরাট কোহলি ডিজার্ভ করতো।
center>
10% beneficary for @shyfox ❤️
![1000158488
<.jpg]()
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Twitter share
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit