28-06-2025
১৪ আষাঢ় , ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো ও সুস্থ্য আছেন। তো ভালো থাকার চেষ্টা করাটাই গুরুত্বপূর্ণ। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয়টা সেটা জীবনের প্রতিটা সেকেন্ডে কাজে লাগানো। আসলে এক জীবনে মানুষের জন্ম একবার আবার সেটার সমাপ্তি ঘটবে মৃত্যু দিয়েই! তবে মৃত্যু কখন এসে দরজায় কড়া নাড়বে বলা যায় না। আপনি আজকে যেখানে বসে কালকের দিনের প্লেন করছেন! আপনি কি কালকের দিন পর্যন্ত বাচঁবেন? সেটার গ্যারান্টি কি কেউ দিতে পারবে? আসলে সেটার গ্যারান্টি বা নিশ্চয়তা কেউই দিতে পারবে না। কারণ জন্ম মৃত্যুতে আমাদের হাত নেই! সৃষ্টিকর্তা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না কার কখন মৃত্যু ঘটে। অথচ এ ছোট্র একটা জীবনে মানুষের লোভ, অহংকার, প্রতারণা, মিথ্যাচারের শেষ নেই! তারা আদৌ ভাবে কি না তাদেরকেও এক সময় এ পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে হবে! যদি ভেবেই থাকতো তাহলে কি তারা প্রতারণা, দূর্নীতি, মিথ্যাচার করতে পারতো!
উত্তর হলো, না! কারণ হলো আপনি জানেন আপনি মারা যাবেন। আর এটা একদম সিউর। আর আপনি যদি কোনো খারাপ কাজ করার আগে সৃষ্টিকর্তার কথা স্মরণ করেন, মৃত্যুর কথা স্মরণ করেন তাহলে আপনি কখনোই কোনো খারাপ কাজ করতে পারবেন না! একে তো খারাপ কাজ করে নিজের রেপুটেশন নষ্ট হবে তার উপর আপনি যদি সেগুলো শুধরে না যান তাহলে আপনি মারা যাওয়ার পরেও মানুষ বলবে লোকটি খারাপ ছিল, কতো জনের টাকা মেরে খাইছে! হয়তো আপনি কথাগুলো শুনবেন তবে আপনার আত্মীয়দের কাছে ঠিকই আসবে এ কথাগুলো। এজন্য এ ছোট্র জীবনে এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে নিজের রেপুটেশন নষ্ট না হয়!
এ কথাগুলো বলছি কারণ আজকে আমার মামা মারা গিয়েছে। আসলে হঠাৎ করে নিউজটা আসা! ঈদে যখন বাড়িতে গেলাম তখন মামার সাথে দেখা হলো। মামাকে একদম সুস্থ্য সবল দেখেছিলাম। মামার সাথে কুশল বিনিময় করেছিলাম। আসলে ছোট বেলা থেকেই মামা আমাকে আদর করতো অনেক। নানু বাড়ি গেলে মামার পানের ভড় থেকে পান তোলা হতো। সেটার আনন্দ টা অন্যরকম থাকতো আসলে। এখন বড় হয়ে গিয়েছি! নানু বাড়িতেও তেমন একটা যাওয়া হয়না তেমন! মামারাও এখন ব্যস্ত থাকে নিজের কর্মস্থল নিয়ে আসলে। তো আজকে সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আম্মা ফোন দিয়ে বললো- তোর হাবু মামা মারা গিয়েছে! আমি তখন ভার্সিটিতে ছিলাম। নিউজটা শুনে কিছুক্ষণের জন্য থ হয়ে গিয়েছিলাম আমি আসলে।
আসলে মৃত্যু কখন আসে বলা যায় না। মানুষের বেচেঁ থাকাটা হলো আশ্চর্যের বিষয়! এক মিনিট পর্যন্ত আমি বাচঁবো কি না সেটার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না! আমার মামা হঠাৎ হার্ট এটাক করেছিল। তারপর তাকে ডাক্তারের কাছে নেয়াছিল। কিন্তু ডাক্তারের কাছে নেয়ার পরেই মামা হার্ট স্ট্রোক করে মারা যায়! আসলে এমন আকস্মিক মৃত্য কখনোই কাম্য নয়! পরিবারের প্রধান যখন মারা যায় স্বাভাবিকভাবে সবাই ভেঙে পরে। আর ভেঙে পরার ক্ষতটা এতো সহজে মুছে যাওয়ার মতো নয়! মানুষ মারা যাওয়ার পরেও তার স্মৃতি, কর্ম থেকে যায়। এগুলো দিয়েই মানুষ বিচার করে মানুষটা কেমন ছিল!
আসলে হার্ট এটাকের কথা বলি, তাহলে বলতে গেলে এটার পার্সেন্টেজ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কারণ মানুষের মাঝে এখন স্ট্রেস, মাদকাসক্ত এ লক্ষনগুলো বেশি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যেহেতু হার্ট হলো ফুসফুসের মেইন কেন্দ্র। তো যারা মাদকাসক্ত মানে হচ্ছে যারা প্রতিনিয়ত ধূমপান করে তাদের অবশ্যই সতর্ক হওয়া উচিত! কারণ ধূমপান ধীরে ধীরে ফুসফুস কে ডেমেজ করে দেয়! এই একটা জিনিস আমাদের জন্য ক্ষতি হবে জেনেও খেয়ে থাকি। যারা ধূমপায়ী তাদের উচিত এখনি ধূমপান ত্যাগ করা।
আর সবশেষে যতদিন বেচেঁ থাকবেন ততদিন ভালো কাজ করার চেষ্টা করুন। কথা বা কাজ দিয়ে যেন কারো মনে কখনো কষ্ট না পায় সেদিক লক্ষ রাখবেন আশা করি। কারণ আপনার ছোট্র একটা কথা কারো অনুপ্রেরণা হতে পারে আবার আপনার ছোট্র একটা কথা আবার বুকে তীরের মতো লাগতে পারে। ছোট্র জীবনে যতটা সম্ভব হেসে খেলে কাটিয়ে দিন। যতটা সম্ভব স্ট্রেসফ্রি থাকার চেষ্টা করুন। ইবাদত পালন করুন, আল্লাহ তায়ালার আনুগত্য স্বীকার করুন! সবাই ভালো থাকবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন!
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর উপর বিএসসি করছি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয় (ডুয়েট) থেকে । পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত চার বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
twitter share
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit