বাংলা ভাষার কমিউনিটি
হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন।
ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, এটি আবেগ, আত্মপরিচয় আর একটি জাতির সম্মান। কিন্তু সেই ক্রিকেটই যখন হতাশা আর ব্যর্থতার গল্প বলে, তখন ব্যথা লাগে হৃদয়ের গভীরে। মুখ লোকাতে হয় আড়ালে। প্রথম টেস্ট ম্যাচটি ড্র হলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় টেস্টটি ছিল এমনই এক অধ্যায়, যা লজ্জা আর হতাশার ঘনঘটা নিয়ে শেষ হয়েছে। মাত্র চার দিনেই ইনিংস ব্যবধানে ৭৮ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ, যা শুধুই পরাজয় নয় এটি ছিল আত্মবিশ্বাসের মৃত্যু, গৌরবের ক্ষয় আর পরিকল্পনার পরাজয়।
২৫ থেকে ২৯ জুন, ২০২৫ কোলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জন্য সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ম্যাচটি ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। কিন্তু এই ম্যাচেই দেখা গেল আরও বেশি ছন্দপতন। যেন একটা দল নয় একটা এলোমেলো যাত্রাপথ।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে করে ২৪৭ রান। দেখলে মনে হতে পারে মোটামুটি সংগ্রহ, কিন্তু শ্রীলঙ্কা যেন প্রস্তুত ছিল ধ্বংস চালানোর জন্য। তাদের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ৪৫৮ রান। Pathum Nissanka ঝলমলে এক ইনিংসে তুলে নেন ১৫৮ রান। Chandimal ৯৩, Kusal Mendis করেন ৮৪ রান। বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে কিছুটা চেষ্টা ছিল তাইজুল ও নাঈম হাসানের , কিন্তু বড় সংগ্রহ আটকানো সম্ভব হয়নি।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ফলো-অন করে এবং ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে মাত্র ১৩৩ রানেই অলআউট হয়ে যায়। Prabath Jayasuriya একাই নেন ৫ উইকেট।তামিম, শান্ত, লিটন, মুশফিক, মমিনুল সবার ব্যাট যেন আজ চুপসে গিয়েছিল। একজন ছাড়া কেউ কুড়ির ঘর অতিক্রম করতে পারে নি। যেন পাড়ার কোন খেলার দৃশ্য দেখতেছিলাম।
এই পরাজয়ের পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো টপ অর্ডারের ব্যর্থতা এবং স্পিনের বিপক্ষে অপ্রস্তুত মানসিকতা। বাংলাদেশের ব্যাটাররা যখন উইকেটে স্থির হওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন শ্রীলঙ্কার স্পিনাররা একের পর এক ফাঁদ পেতে তাঁদের ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
তদুপরি, ফিল্ডিংয়ের সময়ও একাধিক ক্যাচ মিস ও বডি ল্যাঙ্গুয়েজে নেতিবাচকতা লক্ষ্য করা গেছে। যেন ক্রিকেটাররা নিজেরাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন। মুশফিক, লিটন বা মিরাজ কিছুটা লড়াই করলেও দল হিসেবে পারফরম্যান্স ছিল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার মত।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্ধকার সময়ে বারবার আমরা একই ধরনের ব্যর্থতা দেখি। একটু চাপ পড়লেই ব্যাটিং ধস, স্পিনের বিপক্ষে দুর্বলতা, এবং আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি। প্রশ্ন হচ্ছে, পরিকল্পনা কোথায়? কোচিং স্টাফ কী করছেন? অধিনায়কত্বে নেতৃত্বের ছাপ কোথায়?
এখন বাংলাদেশের সামনে আছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। ODI সিরিজ শুরু ২ জুলাই ২০২৫ এই ফরম্যাটগুলোতে বাংলাদেশ তুলনামূলক ভালো করে থাকে। তাই এখানেই আমাদের প্রমাণ করতে হবে, আমরা এখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি।
এই টেস্ট ম্যাচ ছিল শুধুমাত্র একটি হারের গল্প নয়, এটি ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটি নির্মম আত্মপ্রতিকৃতি। আমরা চাই বা না চাই, বাস্তবতা হলো বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটে এখনো দুর্বল,পরিকল্পনাহীন ও আত্মবিশ্বাসহীন।
এই হার থেকে আমাদের শিখতে হবে। ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি সঠিক পথে ফেরা যায়, তাহলেই ভবিষ্যতে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবো।
ব্লগার: @joniprins
কমিউনিটি: আমার বাংলা ব্লগ
তারিখ: ২৮ জুন ২০২৫
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।
আমি একজন বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে আমার বসবাস। সিম্পল আমার স্বপ্ন সিম্পল আমার জীবন। স্টিমিট আমার জীবনের একটি অংশ, আমার বাংলা ব্লগ আমার পরিবার। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমি স্টিমিটকেই চিনি। ভ্রমন করা, ফটেগ্রাফি করা আর বই পড়া আমার স্বপ্ন। আমি বিশ্বাস করি মানুষের জীবনে উত্তান পতন আছেই। সর্বপরি কাজ করতে হবে লেগে থাকতে হবে, তাহলেই একদিন সফলতা আসবে,এটাই আমি বিশ্বাস করি। সবাইকে ধন্যবাদ।।
Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন
এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য
Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP
Click Here For Join Heroism Discord Server
https://x.com/RamimHa74448648/status/1938891687486726219?t=Ge-aQW6Ih86lhOy1UQKvAw&s=19
https://x.com/RamimHa74448648/status/1938892139611734420?t=MhHbNv9R4IOX5eAPxKQkcg&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit