টমেটো সসের সাথে ঘরোয়া চিকেন ফ্রাই।।

হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। সন্ধ্যার পরে অফিস শেষে বাসায় ফিরে যখন নিজের ছোট্ট পরিবারের সান্নিধ্যে আসি, তখন ক্লান্তি আর ব্যস্ততার জটিলতা যেন একটু একটু করে গলে যায়। প্রতিদিনের এই ছোট্ট শান্তির মুহূর্ত আমার কাছে অনেক মূল্যবান। ঠিক তেমনি একটা দিন ছিল গতকাল। অফিস শেষে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে একটু সময় কাটাচ্ছিলাম আমার ছোট্ট রাজকন্যার সঙ্গে। ওর সঙ্গে দুষ্টামি আর খুনসুটিতে মেতে উঠেছিলাম। এমন সময় হঠাৎ সামনে চলে আসে গরম গরম সোনালী চিকেন ফ্রাই আর বাসার তৈরি টমেটো সস। মুহূর্তেই যেন মনটা আনন্দে ভরে উঠলো!

চিকেন ফ্রাইটা শুধু একটা খাবার নয়, এটা যেন ঘরে বানানো ভালোবাসার এক বিশেষ উপহার। বাহিরে অনেক জায়গায় চিকেন ফ্রাই পাওয়া যায়, কিন্তু আমি সবসময় চেষ্টা করি এসব ফাস্ট ফুড নিজেই ঘরে বানাতে। কারণ বাইরে যারা এই ধরনের খাবার তৈরি করে, তারা অনেক সময় ব্যবহার করে বারবার গরম করা তেল বা মানহীন উপকরণ, যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আমি ব্যক্তিগতভাবে বাইরের খাবার খেলেই পেট ব্যথায় ভুগি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে অনেক আগেই ঠিক করেছি, যতটা সম্ভব নিজের ঘরের রান্না করা খাবার খাবো এবং ঘরের সবাইকে নিরাপদ খাবার দেওয়ার চেষ্টা করবো।

আমাদের ঘরে বানানো খাবারের তালিকায় শুধু চিকেন ফ্রাই নয়, মাঝে মাঝেই ঘরে তৈরি হয় ফুচকা, চটপটি, ফিস ফ্রাই, সিঙ্গারা, সমুচা, পেয়াজু ইত্যাদি। এসব খাবার বানানোর সময় ম্যাডাম খুব যত্ন নিয়ে কাজ করে। তেল যেন একবারের বেশি ব্যবহার না হয়, মসলা যেন ঘরের গুঁড়া মসলা হয়, আর সবজি বা মুরগি যেন ভালোভাবে ধুয়ে ব্যবহার করা হয়, এই জিনিসগুলো মাথায় রেখেই রান্না তিনি রান্না করেন।

গতকালকের চিকেন ফ্রাইয়ের অভিজ্ঞতা ছিল সত্যিই দারুণ। বাইরে তখন হালকা ঠাণ্ডা, ঘরের ভেতরে গরম গরম খাবার আর ছোটবেলার মতো একটুখানি মজা, সব মিলিয়ে পুরো মুহূর্তটা ছিল একটা ছোট্ট উৎসবের মতো। নিজের হাতে বানানো টমেটো সসটা ছিল পুরোপুরি প্রাকৃতিক, কোনো প্রিজারভেটিভ ছাড়া। ঘন টমেটো, একটু চিনি, লবণ, গোলমরিচ আর সামান্য ভিনেগার দিয়ে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বানানো এই সস ছিল চিকেন ফ্রাইয়ের জন্য একেবারে পারফেক্ট কম্বিনেশন।

এই অনুভূতিগুলো কেবল স্বাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং পরিবারকে ভালো কিছু দেওয়ার তৃপ্তি, নিজের স্বাস্থ্য সচেতনতা আর ছোট ছোট সুখের মুহূর্ত তৈরি করার আনন্দ এগুলোকে আরও মূল্যবান করে তোলে।

আমি মনে করি, বাইরে খাওয়া যতই সহজ বা সময় সাশ্রয়ী হোক না কেন, নিজের হাতে ভালোবাসা দিয়ে তৈরি খাবারের স্বাদ, পুষ্টি আর নিরাপত্তা সবসময়ই সবার উপরে। বিশেষ করে যারা পরিবারকে ভালোবাসেন, তাদের জন্য এই অভ্যাসটা অনেক জরুরি।

পরিশেষে বলবো, খাবার শুধু জিহ্বার আনন্দ নয়, বরং সেটা হতে পারে পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ আর ভালোবাসার অন্যতম প্রকাশ। তাই যখনই সময় হয়, মেডাম রান্নাঘরে নিজের মতো করে সময় দেয়, কিছু একটা তৈরি করে। আর সেই মুহূর্তগুলো আমার জীবনকে করে তোলে আরও রঙিন, আরও অর্থবহ। এই মুহূর্ত গুলো সবসময় স্বরণীয় হয়ে থাকবে।

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ।।

ডিভাইস	মোবাইল
মডেল	রিয়েলমি সি-৫৩
ফটোগ্রাফার	@joniprins
তারিখ	২৪.০৬-২০২৫
সময়	রাত-৮.৩০ মিনিট
স্থান	নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা

Bangla Witness কে সাপোর্ট করতে এখানে ক্লিক করুন

এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP 500 SP 1000 SP 2000 SP 5000 SP

Click Here For Join Heroism Discord Server

💖💖💖সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖