আজ -১৩ই আষাঢ় | ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | শুক্রবার | বর্ষা-কাল |

আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।

দুপুরের খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আর দেরি না করে দ্রুত আমরা সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য কয়েকজন নৌকা ওয়ালার সাথে কথা বললাম। নদীর এপার থেকে দেখতে পাচ্ছিলাম ভোলাগঞ্জ সাদা পাথরের পাশ দিয়ে ভারতের যে রাজ্যের পাহাড়গুলো রয়েছে সেই পাহাড়ের উপরের অংশে কালো মেঘ জমেছে। এমনটা মনে হচ্ছিল যে মেঘ গুলো যেন ভাসতে ভাসতে পাহাড়ের সঙ্গে বেঁধে গিয়েছে যদি ছবিগুলো দেখেন কিছুটা সেরকম সৌন্দর্যই লক্ষ্য করতে পারবেন। এমন সৌন্দর্য দেখার পর সাদা পাথর যাওয়ার প্রতি আগ্রহটা আরো দ্বিগুণ বেড়ে গেল তাই দেরি না করে সবাই দ্রুত নৌকা ঠিক করে আমরা সাদা পাথরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।

নৌকায় উঠে আমরা যখন রওনা হলাম তখন দেখতে পেলাম নদীর বিপরীত দিক দিয়ে ভারতের মানুষের জীবন যাত্রার কিছু অংশ সেই সাথে ছোট্ট এই নদীতে মোটামুটি বাতাসের কারণে ভালই ঢেউ দেখতে পারছিলাম। তাছাড়া আকাশে বেশ মেঘ মেঘ ছিল নদীর মাঝে এরকম অপরূপ সৌন্দর্য খুব কমই দেখা যায় বলা চলে বর্ষার মৌসুমে সিলেটের এই বৃষ্টি ভেজা সৌন্দর্যটা পুরোপুরি উপভোগ করতে পেরেছি। উত্তাল নদী আর নদীর বিপরীত দিকে দেখা যাচ্ছে নদীর পাড়ে নোঙ্গর করা রয়েছে ছোট ছোট কাঠের সারি সারি নৌকা যদি ছবিতে এই সারিসারি নৌকার দৃশ্যটা দেখেন তাহলে অবশ্যই ভালো লাগবে। এক কথায় সিলেটের এই অঞ্চলের সৌন্দর্য টা সবসময় ভালো লাগে তবে যদি আপনি বর্ষার মৌসুমে আসেন আর এরকম কপাল ক্রমে মেঘ আর বৃষ্টির কম্বিনেশন টা পেয়ে যান তাহলে যেন সোনায় সোহাগা। একেবারে সৌন্দর্যের পুরোপুরি প্যাকেজ একসঙ্গে পেয়ে যাবেন। নৌকা ঘাটের কাছাকাছি পৌঁছানোর আগেই বালির এক লম্বা মাঠ দেখতে পাচ্ছিলাম।

মজার বিষয় আমাদের এলাকায় পদ্মা নদীতে যে বালি থাকে সেটা পুরোপুরি সাদা কিন্তু ভোলাগঞ্জ এসে যে বালি দেখলাম সেই বালিটা কিছুটা হলুদ কোয়ালিটির অর্থাৎ বালির দানাটা বেশ মোটা মোটা ভিতরে অনেক পাথর পাবেন। জায়গাটার নাম সাদা পাথর হলেও এখানে কিছুটা হলুদ টাইপের পাথর দেখতে পাবেন। শুধু তাই নয় সব ধরনের পাথর দেখতে পাবেন তবে বালির রঙটা ভিন্ন রকম। যখন আমরা সাদা পাথর এসে পৌছালাম তখন দেখলাম শুধু সাদা পাথর নয় এখানে সাদা কালো সব ধরনের পাথর আছে। যাই হোক আমরা ধীরে ধীরে নৌকা থেকে নেমে সামনের দিকে রওনা হলাম মূলত সেদিকে ঝর্ণা আর পাথর একসাথে উপভোগ করতে পারব।

আমরা যখন ঝর্ণার দিকে ধীরে ধীরে যাচ্ছিলাম তখন সে দিক থেকে আসা ঠান্ডা বাতাস জানান দিচ্ছিল সামনের দিকে বেশ বৃষ্টি হচ্ছে তাই আবহাওয়া টা পুরোপুরি ঠান্ডা তাছাড়া দূর থেকে দেখতে পারছিলাম ভারতের বাংলাদেশের একটি সীমান্ত বর্ডারে রয়েছে মূলত ঝর্ণার যে পানি বাংলাদেশে প্রবেশ করছে সেটা ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসছে। উপরে যে মেঘ জমে আছে সেই মেঘ থেকে যে বৃষ্টি হয়েছে সেই পানি যেন ঝরনা দিয়ে নেমে আসছে এমনটাই মনে হচ্ছিল। বান্দরবনে পাথরের মাঝে এক রকমের সৌন্দর্য দেখেছিলাম তবে সিলেট এসে পাথরের মাঝে অন্যরকম একটা সৌন্দর্য ডেকেছি যেটা পরবর্তী পর্বে আবার তুলে ধরবো ইনশাল্লাহ।

এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan

আমার পরিচয়

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||

>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<

---

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

---

JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

Follow @amarbanglablog for last updates

---

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP	500 SP	1000 SP	2000 SP	5000 SP

---

|| Join the Discord Server for more Details ||