বাল্যবিবাহ। || by @kazi-raihan

in hive-129948 •  4 days ago 

আসসালামু আলাইকুম


হ্যালো..!!
আমার প্রিয় বন্ধুরা,
আমি@kazi-raihan বাংলাদেশের নাগরিক।

আজ - ১১ই আষাঢ় | ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | বুধবার | বর্ষা-কাল |


আমি কাজী রায়হান,আমার ইউজার নাম @kazi-raihan।আমি বাংলাদেশ থেকে। আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন।মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি [আমার বাংলা ব্লগ] ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, সবাইকে অভিনন্দন।



1000009298.png

Canva দিয়ে তৈরি



বাল্যবিবাহ এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সাধারণত মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৮ বছর এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ২১ বছরের নিচে যদি বিয়ে দেওয়া হয় সেটা বাল্যবিবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে হয়তো বা বাল্যবিবাহের বিষয়টা খুব একটা লক্ষ্য করা যায় না সাধারণত আমাদের এলাকা বা আমাদের আশপাশের এলাকায় যদি এরকম খুঁজতে যাওয়া যায় সে ক্ষেত্রে ছেলেদের বয়সের সাথে বিয়ের ব্যাপারটা ২৪-২৫ এর আশপাশে থাকে কিন্তু মেয়েদের ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন রকম। মেয়েদের ক্ষেত্রে ১৬ বছরে ও বিয়ের বিষয়টা লক্ষ্য করা যায় সাধারণত পারিবারিক চাপে বা দরিদ্রতার কারণে এই বাল্যবিবাহের বিষয়টি বেশি লক্ষণীয়। আপনি যদি গ্রামাঞ্চলে বা প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে দেখেন সে ক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের বিষয়টা বেশি লক্ষ্য করতে পারবেন যদিও বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়টা আগের চেয়ে অনেকটা কমে গিয়েছে।

এখন মানুষের মধ্যে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এসেছে তারা নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝতে পারে মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছে যার কারণে তারা সবাই নিজেদের ভালো-মন্দ সম্পর্কে ভালো বুঝতে পারে। একসময় গ্রামে যেমন বাল্যবিবাহ হতো বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই সংখ্যাটা অনেকটাই কম। তবে তার পরেও এখন কিছু কিছু পরিবারে বাল্যবিবাহের বিষয়টি দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে মেয়ের বয়স ১৮ বছরের নিচে থাকা সত্ত্বেও বাবা-মা জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয়। প্রথমত দরিদ্রতার কারণে বাধ্য হয়ে বাল্যবিবাহ দিতে হয়। পরিবারের এমন অবস্থা ঠিকমতো সন্তানদের খেতে দিতে পারে না যদিও এখন এমন পরিবার খুঁজে পাওয়া কষ্ট মূলত আমাদের এলাকার পরিস্থিতি হিসেবে বললাম তবে বাংলাদেশের অনেক জেলা আছে যারা অনেক দরিদ্র জীবন যাপন করে তাদের ক্ষেত্রে মেয়েদের ভরণ পোষণের দায়িত্ব পুরোপুরি বহন করতে না পেরে বাল্যবিবাহ দিকে ঝুঁকতে হয়।



দ্বিতীয় আরেকটা কারণ থাকে সেটা হচ্ছে জেনেশুনে অনেক পরিবার বাল্যবিবাহের দিকে ঝুকে যায়। মেয়ের পরিবার মোটামুটি সবকিছু ভালোভাবেই বহন করতে পারছে তবুও মেয়েটা সুন্দরী হওয়াতে ভালো পরিবার থেকে যখন কোন সম্বন্ধ না আসে তখন স্বল্প বয়সেই বিয়ে দিতে রাজি হয়ে যায়। কিন্তু সেই পরিবারের লোকজন বুঝতে চায়না আসলে এই বাল্যবিবাহের কারণে তার সন্তানের শারীরিক ও মানসিক চাপের সম্মুখে ফেলছে। একটা মেয়েকে যখন অল্প বয়সে বিয়ে দেওয়া হয় অর্থাৎ অপ্রাপ্তবয়সে বিয়ে দেওয়া হয় তখন সে মানসিকভাবে অনেক প্রেসারে থাকে অর্থাৎ পুরো বিষয়টা স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না।



যাই হোক এখন কথা হচ্ছে এই বাল্যবিবাহ দূর করার জন্য আমাদের কি করতে হবে?? প্রথমত সরকারের পাশাপাশি আমাদের নিজেদেরকে নিজের অবস্থান থেকে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে অর্থাৎ কোন পরিবার থেকে যদি বাল্যবিবাহ দেওয়ার চেষ্টা করে সেক্ষেত্রে তাকে বাল্যবিবাহের মন্দ দিকগুলো সম্পর্কে বলতে হবে। যারা অভিভাবক থাকে তাদেরকে এই বিস্তারিত বললে একসময় তাদের মন মানসিকতার পরিবর্তন হবে। আবার যে সমস্ত পরিবারের শিক্ষার আলো পৌঁছায়নি সে সমস্ত পরিবারের শিক্ষার আলো পৌঁছালে বাল্যবিবাহের মন্দ দিকগুলো তুলে ধরলে তারা এই বিষয়টা সম্পর্কে অবগত হবে।



সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে বিষয় সেটা হচ্ছে আমাদের সমাজে নারী শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে নারী সমাজ যখন শিক্ষিত হবে তারা নিজেদের ভালো-মন্দ ভালোভাবে বুঝতে পারবে সেক্ষেত্রে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারবে। তাছাড়া নারী সমাজ যখন শিক্ষিত হবে তারা নিজেদেরকে প্রমাণ করতে পারবে। সফল নারী উদ্যোক্তা, নারী শিক্ষার পাশাপাশি নারীদের চাকরির ব্যবস্থা এবং কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে যার মাধ্যমে এই বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে আমরা আমাদের সমাজকে আমাদের বোনদেরকে রক্ষা করতে পারবো। যাই হোক সবশেষে আমাদের সবার উচিত নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হওয়া।



🔚সমাপ্তি🔚


এই ছিল আমার আজকের আয়োজনে।
ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
ভালো থাকবেন সবাই , আল্লাহ হাফেজ👋।

সবাই ভালোবাসা নিবেন 💚🌹
ইতি,
@kazi-raihan



আমার পরিচয়


IMG_2373 (1).HEIC

আমি কাজী রায়হান। আমি একজন ছাত্র। আমি বাংলাদেশে বাস করি। আমি কুষ্টিয়া সরকারি কলেজে লেখাপড়া করছি। আমি ফটোগ্রাফি করতে, গল্প লিখতে ও বাইক নিয়ে ঘুরতে খুবই ভালোবাসি। মনের অনুভূতির ডাকে সাড়া দিয়ে কবিতা লিখতে পছন্দ করি। সেই সাথে যে কোনো নতুন বিষয় সম্পর্কে জানতে পছন্দ করি। আমি ভালোবাসি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করতে।



break .png

Banner.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  
Loading...

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

image.png