আবারো চলে আসলাম সিঙ্গাপুর

আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আবারো চলে আসলাম সিঙ্গাপুর । আজকে সকাল বেলা থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকালবেলায় ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই হাত মুখ ধুয়ে কয়েকজন মিলে রান্নার কাজ শেষ করেছিলাম। তারপরে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে গোসল শেষ করে সিঙ্গাপুর এম ও এম অফিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। সেখানে আজকে আমাদের বেশ কয়েকজনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়েছিল এবং পারমিট কার্ড করার জন্য। সেখানে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছিল সেখানে কাজ শেষ করে আবারো রুমে এসে কয়েকজন মিলে রান্না শেষ করেছি এবং গোসল শেষ করেই সন্ধ্যা বেলায় বসে গেলাম পোস্ট লেখার জন্য। আসলে আমি মূলত বেশ কয়েকবার সিঙ্গাপুর এসেছি শুধুমাত্র সিঙ্গাপুরে আসতেছি এবং যাচ্ছি এটা নয় এর পিছনেও অনেক অনেক কারণ রয়েছে। এভাবেই চেষ্টা করছি দেখা যাক আশা রাখি ভবিষ্যতে এখান থেকেই ভালো কিছু করতে পারবো। তবে চলুন আজকের পোস্ট লেখা শুরু করা যাক...........

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি অনেক সুন্দর ভাবে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিমানের ছবি তুলে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনারা সকলেই জানেন বেশ কিছুদিন আগে আমি রকি ভাইদের এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে ঘুরতে গিয়ে সত্যিই দারুণ মজা করেছিলাম কয়েক দিনে তবে আমি এবং রকি ভাই যেই পরিকল্পনাগুলো করেছিলাম সেগুলো অনেক পরিকল্পনা থেকে গেছে বাস্তবায়ন করতে পারিনি শুধুমাত্র আমি সিঙ্গাপুরে চলে আসছি এই কারণে আমি নিজেও জানতাম না এত তাড়াতাড়ি আবারো সিঙ্গাপুরে চলে আসতে হবে। আমি এবং রকি ভাই দুজন মিলে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম তখনই হঠাৎ আমার মামা ফোন দিয়ে আমাকে বলে দুইদিন পরেই তোমার ফ্লাইট তুমি তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে যাও সেখান থেকেই তাড়াহড়ো করে বাড়িতে চলে যাওয়া সত্যিই সব মিলিয়ে সেখানেও বেশ ব্যস্ততার মধ্যে সময় কাটিয়েছিলাম তেমনভাবে কারো সাথে ভালোভাবে কথা হয়নি। তবে সকলের সাথে দেখা হয়ে আমি সত্যি বেশ আনন্দে আত্মহারা ছিলাম। সব মিলিয়ে রকি ভাইদের ওখানে বেশ দারুন কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম। আমি যখন বিমানবন্দরের মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করে ওয়েটিং রুমে এসে বসে ছিলাম সেখান থেকেই বাংলাদেশ এয়ারপোর্ট এর মধ্যে কার দৃশ্য সব দেখা যাচ্ছিল সেখান থেকে আমি কয়েকটি ফটো ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।

আপনারা উপরে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন আমি আবারও খুবই সুন্দর ভাবে দুইটি ছবি আমার মোবাইলে ক্যামেরায় ধারণ করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আসলে এর আগে আমি কখনো বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ি নাই এবারই প্রথম বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সিঙ্গাপুর এসেছি। প্রথমবার আমি যখন সিঙ্গাপুর এসেছিলাম তখন সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সে এসেছিলাম এবং বাড়ি যাওয়ার সময় ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সে বাড়িতে গিয়েছিলাম। তবে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর মধ্যে সেখানে আমাদের বিমানওয়ালারা অনেক আপ্যায়ন করেছিল। সেখানে আমাদের ড্রিঙ্কস থেকে শুরু করে নাস্তা সবকিছুই দিয়েছিল। বিমানের মধ্যে এতগুলো খাবার দিয়েছিল যে আমি একা খেতে পারছিলাম না একটা মানুষের পরিপূর্ণ খাবার দিয়েছিল। খাবারগুলোর সুস্বাদু ছিল অন্যরকম আমি বেশ দারুণ মজা করে খাবারগুলো খেয়েছিলাম। আপনারাও যদি কখনো বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে ভ্রমণ করেন অবশ্যই এরকম খাবার পাবেন আশা করি।

আপনারা উপরের দিকে লক্ষ্য করে দেখতে পার আবারো আপনাদের মাঝে আমি দুটি ছবি ক্যামেরা বন্দি করে শেয়ার করেছি। বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে সিঙ্গাপুরে পৌঁছাতে আমাদের সময় লেগেছিল ৪ ঘন্টা ১৫ মিনিট। এয়ারপোর্ট থেকে আমাদের রিসিভ করার পরে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল তারপরে সেখান থেকে আমাদের কোম্পানির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কোম্পানির অফিস থেকে সকলকে সিঙ্গাপুরের বাস কার্ড দেওয়া হয়েছিল। আমাদের কোম্পানির একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে এসে রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবার বেশ ভালোই আছি প্রথমবার নতুন ছিলাম তাই কিছুই বুঝে উঠতে পারছিলাম না এবার সবকিছুই চেনা চেনা তাই আগের তুলনায় বেশ ভালই লাগছে।সন্ধ্যা বেলায় আমরা সকলে যখন বাইরে খেতে গিয়েছিলাম বেশ কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছি। আমরা তিনজন সন্ধ্যেবেলায় শুধুমাত্র খাবার নিয়েছিলাম মাত্র ৩৭ ডলার বিল হয়েছিল। আশা করি আজকের লেখা পোস্ট আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য শুভকামনা রইল।