কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই, আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আজকে আপনাদের মাঝে চলে আলোচনা করার জন্য।আমার মনে হয় আপনাদের কাছে ভালো লাগবে, কারণ এই পোস্টে আমি কয়েকটি বিষয় তুলে ধরব সেটা আমাদের পার্সোনাল লাইফ নিয়ে।
প্রথমেই যে বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, সেটা হলো আমি যাকে সবচেয়ে কাছ থেকে চিনি যাকে আমি মনে করি সে আমার সবচেয়ে বেশি কাছের লোক আপন লোক তার কোন বিষয়টি আমাকে হঠাৎ করেই অবাক করেছে। এবং কি এমন দেখলাম যে আমার তার এই অবাক দৃশ্য মেনে নিতে নিজের কাছে অনেক বেশি কষ্ট হচ্ছে।
Src
আসলে ব্যাপারটা হল প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে এমন একজন কাছের মানুষ থাকে এমন একজন বিশ্বস্ত বন্ধু থাকে যার সম্পর্কে খুঁটিনাটি সবকিছু একে অপরের জানা থাকে। কিন্তু একটা কথাই আছে একটা মানুষের সাথে কথা বললে এবং তার চোখ দেখলে যে তার ভেতরের সব খবর পাওয়া যাবে এটা কখনোই নয়। একজন মানুষকে যাচাই করা অতটা সহজ নয় তার ভেতরে কি লুকিয়ে আছে সেটা অতি সহজে জানা অধিক কষ্টকর।
আমার খুবই একজন কাছের বন্ধু যাকে আমি বহু বছর ধরে চিনি যার সবকিছুই আমি মনে করতাম আমার জানা কারণ সে ছোটবেলা থেকেই তার সাথে আমার বেড়ে ওঠা। তাই আমি ভাবতাম আমি তার সম্পর্কে সব জানি হয়তো সে এখন কি করছে এবং পরবর্তীতে কি করবে সেটাও আমি বলতে পারতাম। কিন্তু সে এমন একটা কাজ করবে আমি কখনো ভাবতে পারিনি।
আমার বন্ধুটি আমার সাথে সব সময় হাসি খুশিতে মেতে থাকতো তাকে দেখে মনে হতো না তার ভেতরে এত কষ্ট এত বেদনা লুকিয়ে রয়েছে তাকে আমরা সবাই মনে করতাম সে অনেক সুখী একজন মানুষ নেই কোন টেনশন নেই কোন দুঃখ নেই। কিন্তু হঠাৎ করেই একদিন তাকে মন খারাপ দেখে ভাবলাম মনে হয় কিছু একটা হয়েছে। তার মুখের দিকে তাকিয়ে আমি বুঝতে পারলাম, সে অনেক কিছুর ভিতর নিজের আবেগ গুলো লুকিয়ে রাখে। বাইরে থেকে সব স্বাভাবিক মনে হলেও, ভেতরে সে ভীষণ একা থাকে। বিষয়টা তখন আমাকে খুব অবাক করেছিল।
বিশ্বাস করুন আমি যখন তার এই কথাগুলো শুনছিলাম আমি যেন আকাশ থেকে পড়ছিলাম সে মানুষটি আজ পর্যন্ত এমন ভাবে কথা বলেনি সে হঠাৎ করে কেন আজ এই দুঃখের কথাগুলো বলছে এমনভাবে কথা বলছে যেন তার দুঃখের পাহাড় মাথায় বোঝা হয়ে রয়েছে।
তখন আমি বুঝলাম যে একটা মানুষকে সারাজীবন ধরে চিনলেও তার ভেতরের সবকিছু জানা যায় না।
অনেক সময় আমার নিজের ভেতরের একটা দিক আমি মেনে নিতে পারি না, সেটা হলো আমার ‘দ্বিধা’। আমি অনেক কিছু ভালো পারি, যেমন আমার সামনে যদি কেউ অনেক বেশি কঠিন কাজও করে আমি দেখলে সেটা পরবর্তীতে করতে পারি এই একটা দিক আমার খুবই ভালোভাবে জানা। তবুও সেটি করার আগে আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মনে হয়, না হয়তো আমি পারব না।
কিন্তু আমি পরে ঠিকই সেটা করতে পারি। তবে এই বিশ্বাসহীনতাটা আমাকে সবচেয়ে বেশি কষ্ট দেয়। হয়তো ছোটবেলা থেকে নিজের উপর অতটা ভরসা পাইনি, সেখান থেকেই এটা তৈরি হয়েছে। যদিও এখন বুঝতে শিখেছি, ভুল করেও শেখা যায়। যদি আমি কোন কিছু করার আগে সাহস না দেখাই সেটা ভুল না করি তাহলে সেটা শুধরাবো কিভাবে।
মানুষ বলতেই পরিবর্তনশীল তাই আমি পরিবর্তনকে কখনোই না বলব না। কারণ একটি নতুন পরিবর্তন আমাদের জীবনে অনেক কিছুই বয়ে নিয়ে আসে।প্রতিটি মানুষের জীবনে ভয় পাওয়ার স্বাভাবিক যেকোনো কিছু নিয়ে, যেমন এক সময় আমি সত্যিই পরিবর্তনকে ভয় পেতাম। নতুন কিছু মানেই অনিশ্চয়তা বিরাজ করত আমার মনে, আর আমি সবসময় নিরাপদ এলাকায় থাকতে চাইতাম। জেটি আমি এখনো চাই আমি কোন ঝামেলায় জড়াতে খুব একটা বেশি পছন্দ করি না। তবে সময়ের সাথে বুঝেছি, জীবন তো নিজেই এক পরিবর্তনের গল্প। যেখানে আমি না চাইলেও সময় সমাজ আমাকে পরিবর্তন করিয়ে দেবে। তাই এখন আর আগের মতো নিরাপদে স্থানে চলে যায় না বরং চেষ্টা করি যেটি সামনে হচ্ছে সেটিকে মানিয়ে নিতে, একটু একটু করে বদলাতে চাচ্ছি নিজেকে।
খুবই গভীর একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়েছে। আমি কি কখনও নিজের সঙ্গে কঠোর ছিলাম? এখানে আমি বলব হ্যাঁ, হয়েছি। যখন কোনো কিছু ঠিকমতো হয়নি, আমি নিজের লক্ষ্য পূরণে পিছিয়ে পড়েছি তখন নিজের ওপর অনেক বেশি বিরক্ত হয়েছি। মনে হয়েছে, আমি কেন পারলাম না? নিজের ওপর সন্দেহ করেছি, কখনো কখনো নিজেকে শাস্তি দেওয়ার মতো মনোভাব নিয়েছি। কিন্তু পরিশেষে আমি এটি অনুভব করেছি আমি তো একজন মানুষ আমার তো ভুল হবেই। আর সেই ভুল থেকেই তো আমি নতুন কিছু শিখবো।
যাই হোক আমার সকল বন্ধুরা আমি চেষ্টা করেছি যে কয়টি বিষয় আপনাদের মাঝে তুলে ধরার। যদি আপনাদের আমার লেখাগুলো ভাল লাগে অবশ্যই আপনাদের মতামত শেয়ার করবেন।
নিজের সম্পর্কে ছোট্ট কিছু বর্ণনা



Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit