আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি

in hive-129948 •  3 days ago 

আসসালামু আলাইকুম

আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি

1000027100.jpg

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা রেসিপি পোস্ট নিয়ে। নতুন নতুন রেসিপি করতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। যদি রেসিপি করতে একটু সময় আর ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। আসলে আমরা প্রতি দিন ভিন্ন ধরনের রান্না করি কিন্তু সময়ের অভাবে সব সময় রেসিপি করা হয়ে উঠে না। তবে পোস্ট এর ভিন্নতা আনার জন্য সপ্তাহে একটি করে রেসিপি করার চেষ্টা করি। যাইহোক এখন কাঁঠালের সিজন। যদিও কাঁঠাল তেমন খাওয়া হয় না তবে কাঁঠালের বিচি খেতে অনেক ভালো লাগে। আসলে বলতে গেলে কাঁঠালের বিচি আমার অনেক প্রিয় খাবার। তবে আপনাদের ভাই পছন্দ করে না তারজন্য তেমন খাওয়া হয় না। যাইহোক আজ রান্না করেছি সবাই অনেক মজা করে খেয়েছিল।আসলে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি আমার শাশুড়ির অনেক প্রিয় খাবার। গরম ভাতের সাথে খেতে অনেক ভালো লেগেছিল। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

1000000391.png]()

1000027101.jpg
১.পাঙ্গাস মাছ
২.কাঁঠালের বিচি
৩.বেগুন
৪.আলু
৫.পিঁয়াজ
৬.কাঁচা মরিচ ফালি
৭.হলুদের গুড়ো
৮.লবন

1000000390.png

1000027067.jpg

1000027069.jpg

প্রথমে আমি বেগুন ও আলু ভালো করে এভাবে কেটে নিয়েছি।

1000027072.jpg

1000027073.jpg
এখন কিছু কাঁঠালের বিচি ও কাঁচামরিচ ফালি করে নিয়েছি।

1000027075.jpg
এখন পিঁয়াজ কুঁচি নিয়েছি।
1000027078.jpg

তারপর সকল কিছু কেটে এক জায়গায় রেখে দিয়েছি। তারপর কিছু সময় পানিতে ভিজিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।

1000027079.jpg

1000027080.jpg
এখন চুলাই একটি কড়াই বসিয়ে দিলাম। তারপর পরিমাণ মতো তেল দিয়েছি।

1000027083.jpg
তেল গরম হয়ে আসলে ধুয়ে রাখা তরকারি গুলো দিয়ে দিলাম।

1000027086.jpg

1000027088.jpg
এখন লবন ও হলুদের গুড়ো দিয়ে দিলাম।

1000027089.jpg
এখন কিছু সময় নেড়েচেড়ে কেটে ধুয়ে রাখা মাছ গুলো দিয়ে দিলাম।

1000027090.jpg

1000022211.jpg
মাছ গুলো দিয়ে আরও কিছু সময় নেড়েচেড়ে সিদ্ধের জন্য পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম।

1000027091.jpg

1000027100.jpg
এখন ঢাকনা খুলে এভাবে হয়ে আসলে নামিয়ে নেব। তারপর একটা প্লেটে তুলে পরিবেশন করব। ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার আলু, বেগুন ও কাঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি। আশাকরি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

প্রলয়োজনীয়উপকরণ
ফটোগ্রাফার@parul19
ডিভাইসredmi note 12
লোকেসনফরিদপুর

1000000176.gif

আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

1000000175.png

আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্ম নিয়ে নিজেকে ধন্যবাদ মনে করি।

1000000177.gif

1000000178.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

1000027102.jpg

কাঁঠালের বিচি আমার খুবই প্রিয়। আলু বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাস মাছের চচ্চড়ি করেছেন দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।

মসলা ছাড়া এমন সুন্দর রান্না খেতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনি খুব সুস্বাদু একটি রেসিপি আজকে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রন্ধন প্রণালী দেখে বোঝা যাচ্ছে যে রান্নাটি খুবই স্বাস্থ্যকর এবং সুস্বাদু। ভীষণ ভালো লাগলো এত সুন্দর একটি রেসিপি দেখে।

আপনি তো দেখছি আজকে অনেক মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। আমার তো আপনার তৈরি করা আজকের রেসিপিটা অনেক পছন্দ হয়েছে। মজার মজার রেসিপি গুলো দেখলে আর লোভ সামলানো যায় না। এটা কিন্তু আমার অনেক পছন্দের একটা রেসিপি। বোঝা যাচ্ছে খুব মজা করে খেয়েছেন।

মজার মজার রেসিপি দেখলে কিভাবে লোভ সামলানো যায় আপনি বলেন। যেমন আপনার রেসিপিটা দেখে আমার এতটা লোভ লেগেছে। এখন তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলতে। আপনি সবসময় অনেক মজার মজার রেসিপি তৈরি করে থাকেন। আপনার তৈরি করা রেসিপিগুলো অনেক লোভনীয় হয়ে থাকে।

আপু আপনার মত আমার কাছে কাঁঠালের বিচি খেতে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি আলু এবং বেগুন ও কাঁঠালের বিচি দিয়ে পাঙ্গাশ মাছের রেসিপি করেছেন। আর এই ধরনের রেসিপি দিয়ে কিন্তু গরম রুটি গরম পরোটা খেতে বেশ মজাই লাগে। খুব সুন্দর করে মজার রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।

একেবারে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করছেন আপনি৷ আপনার কাছ থেকে আজকের এই রেসিপি দেখে খুব ভালোই লাগছে৷ যেভাবে আপনি এই সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটিকে যেরকম সুস্বাদু দেখা যাচ্ছে৷ তেমনি এখানে এই রেসিপি তৈরি করার ধাপগুলো একের পর এক খুবই সুন্দরভাবে শেয়ার করেছেন৷ অনেক ধন্যবাদ এত সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷