আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করেছি আজকের পোস্ট।

বরাবরের মতো আজও আমি আপনাদের মাঝে এসেছি নতুন একটা পোস্ট নিয়ে। আসলে আজ এসেছি একটা গল্প নিয়ে। আর গল্প মানে আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনা। সত্যি বলতে কিছু কিছু গল্প আছে যা চোখে দেখে বিশ্বাস করা যায় না। বর্তমান ভালোবাসা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। আসলে বেশি ভালোবাসলে যা হয় আরকি।আসলে এমন কিছু ভালোবাসা আছে যে ভালোবাসার জন্য অনেক সময় বাবা মা পর হয়ে যায়। তবে আমাদের মাঝে ভালোবাসা থাকা দরকার তবে সেই ভালোবাসা যেন অন্যকে কাঁদিয়ে না হয়। যাইহোক এমনি এক ভালোবাসার গল্প নিয়ে এসেছি আপনাদের মাঝে। তাহলে চলুন শুরু করি আজকের পোস্ট।

এমনি এক গল্প নিয়ে এসেছি আজ আপনাদের মাঝে। আসলে আকাশ ও নদী দুজনে ছোট বেলা থেকে অনেক ভালো বন্ধু। যদিও আকাশের শহরের ওপর বাড়ি রয়েছে। আকাশ তার বাবার একমাত্র পুত্র সন্তান আর আকাশের ছোট একটা বোন রয়েছে। আকাশ পড়াশোনায় মোটামুটি। তবে আকাশের ক্লাস সেভেন থেকে নদীর সাথে পরিচয় হয়। নদীরা শহরে ভাড়া বাসায় থাকে। তবে এক কোচিং তারা পড়াশোনা করে সেখান থেকে তাদের পরিচয়। দেখতে দেখতে আকাশ এসএসসি পাশ করল। এদিকে নদী ক্লাস এইটে পড়ে। যদিও এই সম্পর্কে সবার বাবামা কম বেশি জানে।যাইহোক একদিন নদীকে নিয়ে চলে গেল।

ঢাকায় আকাশের মামার বাসায় নিয়ে গিয়েছে। আসলে আকাশ ও নদী দুজনেই ঢাকায় বেড়াতে গিয়েছিল।আর সেই সুযোগে তারা দুজনে ঘুরতে গিয়েছিল।আর সেখান থেকে আকাশ তার মামার বাসায় নিয়ে গিয়েছে।তারপর সবাই দেখে তাদের অনেক বুঝিয়ে যার যার জায়গায় পাঠিয়ে দিল। এভাবে দেখতে দেখতে নদী এসএসসি পাশ করল। তারপর আবারো একদিন আকাশ আর নদী ঘুরতে গিয়েছিল। এটা দেখে নদীর ভাই আকাশের ওপর রেগে গেল।আসলে নদীর ভাই আর আকাশ এক সাথে পড়াশোনা করত।তারপর নদীর সাথে সম্পর্ক হবার পরে তাদের মধ্যে বন্ধু থেকে শত্রুতে পরিণত হলো।আর এটা নদীর সাথে আকাশকে ঘুরতে দেখে নদীর ভাই লোকজন নিয়ে এসে আকাশকে অনেক মারধর করল।

তারপর আকাশের আর এক বন্ধু তাকে হসপিটালে নিয়ে গেল। এ কথা শোনে আকাশে বাবা মা সবাই হসপিটালে গেল।তারপর আকাশ একটু সুস্থ হয়ে আসলে সকল ঘটনা খুলে বলল।এদিকে আকাশের চাচা একজন রাজনীতিবিদ।তাই আকাশ সকল ঘটনা তার চাচাকে জানালো।তখন আকাশের চাচা তাকে বুঝাল।এভাবে কখনো প্রতিশোধ নেওয়া যায় না। যেহেতু আকাশ জীবনের বিনিময়ে হলেও নদীকে বিয়ে করবেই। এদিকে আকাশের বাবা মা ও চাই না নদীর সাথে বিয়ে করুক।কিন্তু আকাশ মার খেয়ে মরিয়ে হয়ে উঠেছে নদীকে বিয়ে করার জন্য। নদী ও যেকোন কারণে আকাশকে বিয়ে করবে। এখন দুই পক্ষের লোকজন দেখে ছেলে ও মেয়ে একাই বিয়ে করে ফেলে।তাই নদীর বাবা ও আকাশের বাবা সবাই মিলে তাদের বিয়ে ঠিক করল।[চলবে]