বন্ধুরা, আজকের নতুন একটি ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগতম। আজকের ব্লগে তোমাদের সাথে একটি ফটোগ্রাফি মুলক পোস্ট শেয়ার করব। আমার আজকের শেয়ার করা গাছটি হলো একটি জংলি গাছ যা পার্থেনিয়াম গাছ নামে পরিচিত। জমি, মাঠ ও রাস্তার আশেপাশে বেড়ে ওঠে এই আগাছা বা পার্থেনিয়াম গাছ। ফটোগ্রাফিটির পার্থেনিয়াম গাছটিতে সূক্ষ্ম পাতা ও অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাদা ফুল দেখা যাচ্ছে। যা গাছটির সৌন্দর্যকে অনেক গুণ বাড়িয়ে তুলেছে। সাদা রঙের এই ফুলগুলো দেখতে অনেকটা নাকফুলের মত। আর প্রত্যেকটি ডাল জুড়েই কমবেশি ফুল ধরে ছিল। চাষাবাদের জমিতে এই গাছ হয়ে থাকলে চাষ করা ফসলের অনেক ক্ষতি হয় এবং এই গাছ থেকে এলার্জিজনিত নানা সমস্যা দেখা দেয়। এই গাছগুলো তিন থেকে চার মাসের মত বেঁচে থাকে। আর এই তিন চার মাসের মধ্যে তিনবার ফুল ও বীজ দিয়ে থাকে। এই পার্থেনিয়াম গাছ অনেক বিষাক্ত একটি গাছ। গবাদি পশুর গায়ে এই গাছ লাগলে শরীর ফুলে যায়, তীব্র জ্বর হয় এবং বদ হজমসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়। এই পার্থেনিয়াম শুধু পশুর শরীরে নয় মানুষের শরীরে লাগলেও তা চুলকে লাল হয়ে যায়। আক্রান্ত ব্যক্তির অসহ্য মাথা ব্যথা জ্বর সহ উচ্চ রক্তচাপে ভুগতে থাকে। এমনকি সেই মানুষটি মারাও যেতে পারে। এই গাছ যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলাই ভালো। যাইহোক, এই গাছের ফটোগ্রাফি গতকাল আমি সকালে একটু হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। তখন রাস্তার ধারে একটি জায়গায় বেশ কয়েকটি এই পার্থেনিয়াম গাছ দেখতে পাই। তখন এই গাছের আমি কিছু ফটোগ্রাফি করি। যদিও গাছটিকে আমি হাত দিয়ে ছুঁয়ে দেখিনি। গাছটি বিষাক্ত হলেও কিন্তু এই গাছের ফুল ও পাতার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার মতো। তাহলে আমার শেয়ার করা গতকালকের পার্থেনিয়াম গাছের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে নেওয়া যাক।

🎨পোস্ট বিবরণ🎨

শ্রেণী	ফটোগ্রাফি
ডিভাইস	Samsung Galaxy M31s
ফটোগ্রাফার	@ronggin
লোকেশন	বারাসাত, ওয়েস্ট বেঙ্গল।

বন্ধুরা, আজকে শেয়ার করা এই পোস্ট টি তোমাদের কেমন লাগলো তা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানিও । সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো , সুন্দর থাকো ,হাসিখুশি থাকো , নিজের পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকো , সবার জন্য এই শুভকামনা রইল।

---

---

---

---

---

আমার পরিচয়

আমি সুবীর বিশ্বাস( রঙিন)। কলকাতার বারাসাতে আমি বসবাস করি। আমি স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে আমার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করেছি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিস এন্ড ফিসারিস সাবজেক্ট নিয়ে। বর্তমানে আমি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যানরত আছি। আমি ব্যক্তিগতভাবে একটু শান্ত স্বভাবের । চুপচাপ থাকতেই বেশি ভালোবাসি আমি। নতুন নতুন জিনিস শিখতে আমার খুব ভালো লাগে। মাঝে মাঝে আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা, রেসিপি করা , গল্প লেখা আমার বেশ ভালো লাগে। আমি স্টিমিটকে অনেক ভালোবাসি এবং সব সময় স্টিমিটে কাজ করতে চাই।

🌷🌷 সমাপ্ত 🌷🌷