ফটোগ্রাফিঃবিভিন্ন ফুলের ফটোগ্রাফি।

in hive-129948 •  10 hours ago 

শুভেচ্ছা সবাইকে।

কেমন আছেন সবাই ? আশাকরি ভালো আছেন।প্রত্যাশা করি সব সময় যেনো ভালো থাকেন। আজ ১৫ই আষাঢ়,বর্ষাকাল ১৪৩২ বঙ্গাব্দ,২৯ জুন ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ। প্রতি সপ্তাহের ন্যায় আজ একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আশাকরি বরাবরের মত সাথেই থাকবেন।
বন্ধুরা নিয়মিত ব্লগিং এ আজ হাজির হয়েছি নতুন আর একটি ব্লগ নিয়ে। প্রতি সপ্তাহে একটি করে ফটোগ্রাফি ব্লগ শেয়ার করার চেস্টা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজও একটি ফটোগ্রাফি ব্লগ নিয়ে এসেছি। এই ফটোগ্রাফিগুলো করেছিলাম মিরপুর-১ এর একটি নার্সারি থেকে। একটি কাজে গতকাল মিরপুর-১ গিয়েছিলাম। ফেরার পথে নার্সারীটি চোখে পরে। দেখলাম অনেকগুলো গাছে বিভিন্ন ধরনের ফুল ফোটে রয়েছে। সন্ধ্যা হয়ে এসেছে তাই দেরি না করে রাস্তার লাইটের আলোতেই ফটোগ্রাফিগুলো করা। আশাকরি আজকের ফটোগ্রাফিগুলো ভালো লাগবে আপনাদের। তাহলে বন্ধুরা, আসুন দেখে নেয়া যাক আমার আজকের ফটোগ্রাফি গুলো।

প্রথম ফটোগ্রাফি

p5.jpg

সবার পরিচিত পর্তুলিকা ফুলের ফটোগ্রাফিটি করেছি আমার ব্যালকনীর ছোট্ট বাগান্টি থেকে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আমার অভ্যাস ব্যালকনীতে যাওয়া। দেখি যে কতগুলো ফুল ফুটেছে।ব্যালকনীতে চোখে পরলো বেশ কয়েকটি পর্তুলিকা ফুল ফুটেছে। সবই একই রং এর। যদিও আরও কয়েকটি রং এর আছে। আজ এই কলারের ফুলগুলোই ফুটেছে। দেখেই ফটোগ্রাফি করে নিলাম। আসলে নিজের করা বাগানে যখn ছোট্ট একটি ফুলও ফোটে তখন মনটা ভালো হয়ে যায়। যদিও বেশি ফুলের গাছ নেই। পাতা বাহার গাছ রয়েছে বিভিন্ন ধরনের। যেহেতু ব্যালকনী ছোট তাই চাইলেও বেশি গাছ লাগাতে পারি না।

দ্বিতীয় ফটোগ্রাফি

ph1.jpg

নাগচাঁপা ফুলের ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম মিরপুর -১ এর একটি নার্সারী থেকে সন্ধ্যার সময়। বাংলাদেশে বেশ পরিচিত ফুল এটি। এটি সাধারণত সাদা রঙের পাঁচ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুল, যার কেন্দ্রে একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের আভ থাকে। এর পাতাগুলি সাপের ফণার মতো বাঁকানো থাকে, যে কারণে এর নামকরণ করা হয়েছে নাগচাপা।এছাড়া এটি বৃন্দাবন চাঁপা,পুডিকা চম্পা, প্রেমনলিনী এবং কমলিকা নামেও পরিচিত। নাগচাপা ফুল সাধারণত সারা বছর ধরেই ফোটে, তবে বর্ষা ও শরৎকালে গাছটিতে ফুলের সমারোহ বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে গ্রীষ্মের পর এবং বর্ষার শুরুতে ফুল আসতে শুরু করে।

তৃতীয় ফটোগ্রাফি

ph3.jpg

এই কাঠগোলাপ ফুলের ফটোগ্রাফিটিও করেছিলাম মিরপুর -১ থেকে সন্ধ্যা বেলায়। তাই ফটোগ্রাফিটিতে আলোছায়ার খেলা রয়েছে।কাঠগোলাপ মেক্সিকো, মধ্য আমেরিকা, ভেনেজুয়েলা ও দক্ষিণ ভারতের স্থানীয় ফুল। কাঠগোলাপ বিভিন্ন রং এর দেখা যায়। তবে সাদা কাঠগোলাপ বেশি দেখতে পাওয়া যায়। এছাড়া রয়েছে গোলাপী,ডিপ মেজেন্ডা।পাচঁ পাপড়ি বিশিষ্ট ফুলটি দেখতে বেশ সুন্দর। সেই সাথে এই ফুলের রয়েছে একটা মিষ্টি গন্ধ।কাঠগোলাপ ফুল সাধারণত গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে বেশি ফোটে, তবে প্রায় সারা বছরই ফুল দেখা যায়। বিশেষ করে, মার্চ থেকে জুন মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকালে কাঠগোলাপ গাছে প্রচুর ফুল দেখা যায়। এছাড়া কাঠগোলাপ ফুল গুলাচি, গোলাইচ, গোলকচাঁপা, চালতাগোলাপ, গরুড়চাঁপা ইত্যাদি নামেও পরিচিত।

চতুর্থ ফটোগ্রাফি

ph4.jpg

রঙ্গনের আদি নিবাস ক্রান্তীয় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া। কমলা, কমলা লাল, গোলাপী, হলদে গোলাপী, লাল, হলুদ, সাদা ইত্যাদি রঙের রঙ্গন দেখা যায়।রঙ্গনের একক ফুল নলাকৃতি, চারটি পাপড়ির বিন্যাস তারার মতো। রঙ্গনের এক-একটি থোকায় প্রায় ১৫ থেকে ৫০ টির মত ফুল থাকে। কিছু কিছু থোকায় ফুলের সংখ্যা আরো বেশি হতে দেখা যায়। আগে কেবল লাল রং এর রঙ্গন ফুল দেখা যেতো। এখন বিভিন্ন রং এর দেখা যায় এই ফুল। থোকায় থোকায় ফোটে বলে দেখতে আরও সুন্দর লাগে। বীজ ও কলম পদ্ধতি এই গাছের চারা তৈরি করা হয়।

পঞ্চম ফটোগ্রাফি

ph5.jpg

সারা বছরেই দেখতে পাওয়া যায় ফুলটি।ফুলটি গন্ধ বিহীন হলেও দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর। ফুলটি বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। ফুলটি এক রঙা হলেও , মধ্য বিন্দুটি অন্য রঙের হয়। তাই দেখতে সুন্দর লাগে। চোখ জুড়িয়ে যায়।মুলত শীতকালে ফুলটির বংশবৃদ্ধি কমে যায়। দেশের সবর্ত্রই পাওয়া যায় ফুলটি। এই ফুলটি হচ্ছে নয়ন তারা।
আশাকরি আজকের রেনডম ফটোগ্রাফিগুলো আপনাদের ভালো লেগেছে। আবার দেখা হবে নতুন কোন ব্লগ নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন।শুভ রাত্রি।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেনীফটোগ্রাফি
পোস্ট তৈরি@selina 75
মোবাইলRedmi Note 5A
তারিখ২৯শে জুন,২০২৫
লোকেশনঢাকা,বাংলাদেশ

আমার পরিচয়

আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্রগ্রাম শহরে। চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।

সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ

image.png

image.png

image.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

xp1.png

xp2.png

xp3.png

xp4.png

cmc.png