আসক্তি

in hive-129948 •  5 days ago 

20250402_140033.jpg

এখনকার শহরের বাচ্চারা মূলত সারাটার সময় গৃহবন্দী থাকে এবং তাদের সময় কাটে বেশিরভাগ মোবাইল স্ক্রিনে । শুধু শহর বললেই ভুল হবে, মফস্বল কিংবা গ্রামের দিকেও একই অবস্থা।

যে ঘটনা আজকে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি, তা এখন থেকে বিগত দুমাস আগের । সেসময় জয়পুরহাট জেলা শহরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম , সেখানে গিয়েই ঘটেছিল এই ঘটনা।

আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খুব একটা সেভাবে বেড়াতে যাওয়ার সময় হয় না, তারপরেও যেহেতু গিন্নির আত্মীয়, তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই সেখানে যেতে হয়েছিল।

খুব ভালোভাবে মনে আছে, বাড়িটা একদম শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। আশেপাশে কোথাও তেমন ফাঁকা জায়গা নেই, চারিদিকে শুধু কংক্রিটের ভবন। এত পরিমাণ গিঞ্জি পরিবেশ যে, যা বলার বাহিরে।

আত্মীয়ের বাসার ভিতরের পরিবেশ সুন্দর এবং তাদের আতিথেয়তা ছিল প্রশংসনীয়, তবে বাসার চারিদিকে শুধু কংক্রিটের ভবন থাকার কারণে পারিপার্শ্বিক অবস্থা খুব একটা ভালো লাগে নি।

বাসার জানালা খুলে যে আশেপাশে তাকাবো তেমনটাও অবস্থা ছিল না। শুধু ভাবন আর ভবন। তবে বেশি আশ্চর্য হয়েছিলাম, আমার আত্মীয়ের ছোট মেয়ে বাচ্চাটাকে দেখে। আমরা এতগুলো লোক তাদের বাসায় গিয়েছি, সেদিকে তার কোন খেয়াল ছিল না, সে ব্যস্ত মোবাইল স্ক্রিনে কার্টুন দেখা নিয়ে।

বাচ্চাটার সঙ্গে বেশ কয়েকবার কথা বলতে চেয়েছিলাম, তবে যতবারই কথা বলতে গিয়েছি ততবারই ব্যর্থ হয়েছি। অবশেষে আত্মীয়কে জিজ্ঞাসা করেই ফেললাম, বাচ্চার কোন সমস্যা আছে কিনা !

তবে যে উত্তর আমি আত্মীয়র কাছ থেকে শুনেছি, তা শুনে কিছুটা অবাক হয়েছি । সে আমাকে নির্দ্বিধায় বলেই ফেলল, আসলে আমার বাবুটা প্রতিনিয়তই বাসার ভিতরে থাকে তো, এজন্য কোনভাবেই মানুষের সঙ্গে মিশতে চায় না। সে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকে মোবাইল ফোনে কার্টুন দেখা নিয়ে। তাছাড়া আশেপাশে কোন খেলার জায়গা নেই কিংবা আমরাও বেশ ব্যস্ত কর্মজীবন নিয়ে , যার কারণে ওকে ঠিকঠাক মতো সেভাবে সময়ও দিতে পারি না।

সত্যি কথা বলতে গেলে কি, এই সমস্যা শুধুমাত্র আমার আত্মীয়ের বাচ্চার একার না, বলতে গেলে এখনকার সকল বাচ্চারাই কমবেশি এই মোবাইল স্ক্রিন আসক্তিতে ভুগছে।

D5zH9SyxCKd9GJ4T6rkBdeqZw1coQAaQyCUzUF4FozBvW787kzcgWYkwvNtA2hFHjZmHJF7T9cU9fuNnktTXyjPQrbBYfZq5mcrxbtVXjuouLjrPEViYtkZQyE2bNmeVzsXTft.png

2FFvzA2zeqoVJ2SVhDmmumdPfnVEcahMce9nMwwksSDdRvZ6f4GKSwLn3BBFmPFifbbr21AhPTJ7XiTPJGbzxXNzpL3AeDnWebvp5DxFE241B8HGEVAr2C8nYkd2N.png

ডিসকর্ড লিংক
https://discord.gg/VtARrTn6ht


20211003_112202.gif


JOIN WITH US ON DISCORD SERVER

banner-abb4.png

Follow @amarbanglablog for last updates


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE STEEM!
Sort Order:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

আসলে আগেকার মতন এখন আর মাঠ নেই বা খেলার পরিবেশ নেই তাছাড়া বাচ্চাদের যে পরিমাণ কিডন্যাপ আর দুর্ঘটনা শোনা যাচ্ছে বাবা-মা রাও বাড়ি থেকে বের হতে দিতে চায় না। যে কারণে বাচ্চারা গৃহবন্দী থেকে ফোন এডিক্টেড হয়ে যাচ্ছে। আর ভবিষ্যতে এই সমস্যা বাড়বে ছাড়া কখনই কমবে না।

আপনার কথায় যুক্তি আছে, সামনের দিনগুলোতে এ সমস্যা আরও বাড়বেই এমনটা আমিও মনে করছি। ধন্যবাদ আপনাকে সাবলীল মন্তব্যের জন্য ।

এখনকার বেশিরভাগ বাচ্চারা আসলেই মোবাইলে আসক্ত হয়ে যাচ্ছে। এটা বেশ খারাপ একটা দিক। কারণ এতে করে তাদের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশ সেভাবে ঘটছে না। তাছাড়া তাদের পড়াশোনায়ও মন বসে না। সারাক্ষণ তারা কার্টুন দেখা কিংবা গেমস নিয়ে ব্যস্ত থাকে। খোলা মাঠে খেলাধুলা করা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার কথায় যুক্তি আছে ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে।

বর্তমানে তেমন খেলাধুলার কোন জায়গা নেই আর যে পরিস্থিতি সমাজের বাচ্চাদের একা বাইরে খেলার জন্য পাঠানো অনেক বেশি চিন্তার ব্যাপার। আর বাচ্চাদের ফোনের আসক্তি এটা অনেক বড় খারাপ জিনিস। তাই আমাদের উচিত বাচ্চাকে যথাসম্ভব সময় দেওয়া এবং তাদের সাথে খেলাধুলা করা তাহলেই বাচ্চাদের এই ফোনে কার্টুন দেখার সময়টা অনেক বেশি কমানো সম্ভব হবে।

সহমত পোষণ করছি আপনার মন্তব্যের সঙ্গে।