আজকে আমি আপনাদের সামনে একটা নতুন কবিতা নিয়ে হাজির হয়েছি।
এই কবিতাটি একজন প্রবাসীর জীবনের অভাবনীয় কষ্ট, নিঃসঙ্গতা এবং আত্মত্যাগকে কেন্দ্র করে লেখা হয়েছে। কবিতার প্রতিটি লাইনে একজন বাবার মনের ব্যথা, পরিবারের প্রতি ভালোবাসা এবং নিজের প্রতি সমাজের উদাসীনতা ফুটে উঠেছে।কবিতাটির মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে, একজন মানুষ কখনোই স্বেচ্ছায় প্রবাসে যায় না। সংসারের দায়িত্ব, অভাব, সন্তানদের ভবিষ্যৎ এসব কাঁধে নিয়েই সে পরিবার ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমায়। প্রবাসী বাবা একদিকে সন্তান ও স্ত্রীর ভালো থাকার জন্য অর্থ উপার্জন করে, অন্যদিকে একাকীত্ব ও কষ্টের বোঝা বয়ে বেড়ায়।
প্রবাসী বাবার চোখের জল
জান্নাতুল ফেরদৌস শেলী
ঘর ভেঙে সে পাড়ি দিলো, স্বপ্ন ভরা ব্যাগে,
পেছনে রেখে গেলো বউ-বাচ্চা, বুক ভরা কিছু লাগে।
পেটের দায়ে, রোজগারের টানে,
একলা মানুষ বাঁচে গৃহহীন, দূর বিদেশের জানে।
বাবা বলে ডাকেনা কেউ, পরান কাঁদে ভেতর,
মুঠোফোনে শিশুর হাসি, চোখে আনে নীরব কবর।
নিজে রান্না, নিজেই খায়,
কাজ ফেলে কাঁদে অনেক রাত, মনেতে বাড়ি চাই।
শীত গ্রীষ্ম বর্ষার মাঝে,
কষ্টে তার ছুটে চলে রোজ রোজ কাজে।
টাকার অঙ্ক দেখে সবাই হাসে,
কেউ বোঝে না হৃদয়ের ক্ষত, কান্না পায় নিঃশ্বাসে।
সারা জীবন দেয় সে ত্যাগ,
হালকা ঠাণ্ডায়ও জ্বর হলে, নিজেই দেয় ওষুধ ভাগ।
সুখের জন্য পাঠায় টাকা,
ভাগ্যে যদি মৃত্যু আসে, লাশটা ফেরে বাক্সে ঠাঁক্কা।
সেই বাবাকে চেনে না ছেলে,
ছবির মাঝে মুখটা খোঁজে, স্মৃতির মাঝে মেলে।
প্রবাসী জীবন বড্ড কঠিন,
যার শরীরে বাজে বেদনা, তাকেই জানে এই দিন।
এই কবিতায় একজন প্রবাসী বাবার জীবনসংগ্রাম, নিঃসঙ্গতা এবং আত্মত্যাগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তিনি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে দেশের মাটি, প্রিয় সন্তান ও স্ত্রীর স্নেহ ছেড়ে বিদেশে যান। সেখানে তাকে একা রান্না, কাজ ও জীবনের সমস্ত ভার বহন করতে হয়। পরিবারের জন্য টাকা পাঠালেও তার নিজের কষ্ট কেউ বোঝে না। সবচেয়ে করুণ সত্য হলো—কখনো মৃত্যুর পরেও তার শেষ বিদায়টি দেশে পরিবার দেখে না। এই কবিতা প্রবাসীদের প্রতি ভালোবাসা ও সম্মান প্রকাশ করে এবং তাদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
এতক্ষণ আমার পোষ্ট মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আজ এখানেই শেষ করছি আবার অন্য কোনদিন নতুন কিছু নিয়ে আপনাদের সামনে উন্মোচিত হব। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ধন্যবাদ সকলকে✨💖


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | Redmi note 9 |
ক্যামেরা.মডেল | note9 |
অবস্থান | সিরাজগঞ্জ- বাংলাদেশ। |


আমার পরিচয়
আমি শেলি। আমি বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলার এনায়েতপুরে খাজা ইউনুস আলী বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই তে অধ্যায়নরত আছি। ছোটবেলা থেকেই ছবি আঁকতে ভালোবাসি। নতুন কিছু শিখতে এবং জানতে ভালোলাগে।ঘুরতে আর খেতে খুব ভালোবাসি।অবসর সময় পেলেই ছবি আঁকি। এই ছিল আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয়, আপনারা সবাই আমার পাশে থেকে আমাকে সাপোর্ট দিয়ে উৎসাহিত করবেন, ধন্যবাদ সবাইকে। 🌼💖🌼 |
👉সবার প্রতি শুভেচ্ছা এবং পোস্টটি সমর্থনকারী সকল বন্ধুদের বিশেষ ধন্যবাদ।

Posted using SteemX
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/JannatulF57996/status/1939757035735982167?s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/JannatulF57996/status/1939760270769102878?s=19
https://x.com/JannatulF57996/status/1939765206235980058?s=19
https://x.com/JannatulF57996/status/1939766027304554945?s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit