✋হ্যালো বন্ধুরা,✋
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। প্রতিদিনের মত আজকেও আপনাদের সামনে এসে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি নাটকের রিভিউ শেয়ার করব। কিছুদিন ধরে আমি " ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ " এই নাটকটি দেখছিলাম । এই নাটকটি মূলত পর্ব আকারে করা হয়েছে। আজকে আমি আপনাদের সামনে এই নাটকের ১৭ পর্ব শেয়ার করব। আশা করি নাটকটি আপনাদের ভালো লাগবে।
নাটক সম্পর্কে কিছু তথ্য :-
নাম | ফ্যামিলি প্রিমিয়ার লিগ। |
---|---|
পরিচালনা | ঈগল টিম |
প্রযোজনা | কচি আহমেদ |
অভিনয়ে | আফজাল সুজন , নুসরাত জাহান অন্তরা , আনোয়ারুল আলম সজল, ইফতেখার ইফতি,স্পর্শিয়া মিম, শেলী আহসান, জাহাঙ্গীর কবির,মোসাদ্দেক শাহীন, লিপু মামা, তুহিন চৌধুরি, সবুজ আহমেদ, রাবিনা, জারা নুর, সুবহা, সাগরিকা ইসলাম মিনহা, সুমন পাটোয়ারী, রেজবিনা মৌসুমী, আকলিমা লিজা, আরো অনেকে। |
রচনা ও চিত্রনাট্য | সোলায়মান |
চিত্রগ্রহণ | জহির রায়হান |
সম্পাদনা | এসে এ সুমন |
আবহ সংগীত | অংকুর মাহমুদ |
কাহিনী সারসংক্ষেপ
শুরুতেই আমরা দেখতে পাই নীলাঞ্জনা চৌধুরী জেনির মুখোমুখি হয়েছে। জেনিকে তার কাজের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করার পর জেনি তার মাকে একেবারে সঠিক উত্তরগুলো দেয়। কিন্তু জেনির মা তাকে নিয়ে যেতে চায়। সে তার মাকে লোকজন ডাকার ভয় দেখিয়ে ওখান থেকে চলে যায়। তারপরে মনির শাশুড়িকে দেখা যায় তার কাজের বউ আর মনির উপর অনেক বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করছিল। আর রান্না করা এবং ঘর মোছার বিষয়ে কথা বলছিল। আর তখনই লিমন তাদের বাড়িতে যায়।
লিমনকে দেখা মাত্রই মনির শাশুড়ির আচার-আচরণ পাল্টে যায়। আর মনিকে কার সাথে রুমে পাঠিয়ে দেয়। তারা রুমে চলে যাওয়ার পর মনির শাশুড়িকে উনার বাড়ির কাজের বুয়া বিভিন্ন কথা বলে। ওদিকে লিমন মনির সাথে কথা বলে অনেকক্ষণ পর্যন্ত। মনি তো কথা বলতে বলতে অনেক কান্না করতে থাকে। শেষ পর্যায়ে তার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লিমন চলে যায়। ওইদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী বাসায় এসে তার বৌমার উপর রাগ করে থাকে। কারণ সে নিজে জেনিকে সাপোর্ট করেছিল।
আর তখন এখানে মামা আসে আর মনি তাকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী হাজবেন্ডের কাছে নিয়ে আসে। আর তখন উনাকে তারা সবকিছু খুলে বলে। ওদিকে নীলাঞ্জনা চৌধুরী উর্মিকে সবকিছু খুলে বলে কান্না করতে করতে। আর এক পর্যায়ে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যায়। এরপর লিমনকে দেখতে পাই মনির শাশুড়ির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু তিনি তো বেশ মিষ্টি মিষ্টি কথা বলছিল লিমনের সাথে। নিজের বোনকে দেখে রাখার জন্য বলে যায়। আর তিনি তো তখন আরো বড় বড় কথা বলতে থাকে।
লিমন চলে যাওয়ার পর মনি রান্না করার জন্য রান্না ঘরে চলে যায়। ওই দেখে নীলাঞ্জনা চৌধুরী মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর তাকে রুমে নিয়ে এসে খাটের উপর নিয়ে আসা হয়। আর তখন তার হাজব্যান্ড আর মিনা মামাকে সবকিছু আবারো বলে। তারপর লিমন কে দেখা যায় জেনির বাড়িতে এসেছে। এরপর সে রাশেদের কাছে গিয়ে ভালো-মন্দ জিজ্ঞেস করে। যেহেতু জেনি নেই তাই তাই লিমন সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। লিমন চলে যাওয়ার পর রাশেদ আর তার মা এগুলো নিয়ে কথা বলে।
রাশেদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার পর দরজার সামনে থেকে রাইসার আর কাছ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় লিমন তার নাম্বারটাও নিয়ে যায়। এরকম নীলাঞ্জনা যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন কিছুক্ষণ কথা বলে। তারপর উর্মিকে ডেকে কথা বলে। তাকে ভাত খাওয়ার জন্য ডাকলে তিনি খাওয়ার জন্য যায় না। তারপর এক পর্যায়ে তিনি খাওয়ার জন্য চলে যান। ওইদিকে মনির শশুর বাড়িতে সবাই খাওয়ার জন্য বসার পর আবারো মনিকে বিভিন্ন কথা শোনাতে থাকে তার শাশুড়ি। তারপরে রাশেদের মা আর রাইসা কে দেখা যায় সামনে খাবার নিয়ে জেনির জন্য বসে রয়েছে। জেনি যখন আসে তার কিছুক্ষণ পরে জেনিকে রাইসা বলে তার ভাইয়া আসার কথা। এরপর জেনি তার মায়ের কথাটাও বলে তাদেরকে। এরপর নীলাকে দেখা যায় মিনাকে লিমন তার রুমে নিয়ে এসেছে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়।
ব্যক্তিগত মতামত
প্রতিটা পর্বের মতো এই পর্বটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল আজকের পর্ব টা দেখতে। এই পর্বে আমরা দেখতে পাই জেনিকে তার মা সেল্স এর কাজ করতে দেখে ফেলেছে। আর জেনিও তার মাকে বেশ ভালোভাবে কথা বলেছে। ওদিকে তিনি বাসায় যাওয়ার পর এই বিষয়টার জন্য অনেক বেশি রাগারাগি করে নিজের ছেলের বউ উর্মীর সাথে। অন্যদিকে লিমনকে দেখা যায় মনির বাসায় গিয়েছে। আর ওখান থেকে বিদায় নিয়ে আসার সময় জেনির বাসায়ও গিয়েছিল। আর আসার সময় রাইসার নাম্বারটা নিয়ে এসেছে। জেনির বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করায় তারা বান্ধবীর বাসায় গিয়েছে এটা বলে। আর তখনই এই পর্বটা শেষ হয়ে যায়। আমি চেষ্টা করবো খুব শীঘ্রই পরবর্তী পর্বের রিভিউ সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যক্তিগত রেটিং
৯/১০
নাটকের লিংক
আমার পরিচয়
আমার নাম তাসলিমা আক্তার সনিয়া। আমি বাংলাদেশী। বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা বলে আমি অনেক গর্বিত। আমি গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করেছি। আমি ছবি আঁকতে ভালোবাসি। বিশেষ করে যে কোন ধরনের পেইন্টিং করতে পছন্দ করি। যখনই অবসর সময় পায় আমি ছবি আঁকতে বসে পড়ি। এছাড়াও আমি ভ্রমণ করতে পছন্দ করি। কিছুদিন পর পর বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করার চেষ্টা করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের কারুকাজ করতে পছন্দ করি। রান্না করতেও আমার খুব ভালো লাগে। আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে পছন্দ করি। আমি যখনই সময় পাই আমার পরিবারের সবাইকে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খাওয়াই। আমি সব সময় নতুন নতুন কিছু করার চেষ্টা করি।
https://x.com/TASonya5/status/1938444642711965836?t=yULDL8-DD30THmNPpvfbhA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
আজ তুমি এই নাটকটার ১৭ তম রিভিউ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ দেখে আমার কাছে তো তখন অনেক ভালো লেগেছে। নাটক টার বেশ কয়েকটি পর্বের রিভিউ আমার পড়া হয়েছে। তোমাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি সুন্দর করে এই পর্বের কাহিনীটাকে রিভিউর মাধ্যমে সবার মাঝে তুলে ধরার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
নাটকের চেষ্টা করবো আস্তে আস্তে এভাবে সবগুলো পর্বের রিভিউ শেয়ার করার জন্য।
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/TASonya5/status/1938592130269913417?t=XmzI8HgTTFIyh-0IuOCtwA&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/TASonya5/status/1938593103277080672?t=sss6GrxW3kIz6rEy2z34_A&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/TASonya5/status/1938594159096742142?t=cEiL_wgTg7DFF_3Be0WlDQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
https://x.com/TASonya5/status/1938595160088334593?t=310gJ6apJfVPvZxSKTHYSQ&s=19
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit