হ্যালো বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
Image Created by OpenAI
আজকে আপনাদের সাথে "আয়নার অপর পিঠে" গল্পটির সপ্তম পর্ব রিভিউ দেব। তো সৌমিত্র যখন দরজা খুললো, তখন একটা তীব্র আলোর দেখা পেলো। ওই মেয়েটি তখন তাকে বললো-তুমি দ্রুত এখান থেকে বেরিয়ে যাও। তবে আমি তোমার সাথে এই মুহূর্তে যেতে পারবো না, কারণ এখনো যারা এইভাবে এখানে আটকে আছে, তাদের বের করার একটা প্রচেষ্টা চালাতে হবে। আর এই দরজা যখন একবার খুলেছে, তখন আবারো খোলা যাবে। কিন্তু তুমি এখান থেকে বেরিয়ে এই সত্যি ঘটনাটা সবাইকে জানাবে, যেন কেউ আর এখানে না আসতে পারে। সৌমিত্র কোনোমতে রাজি হলো না, কারণ সে তাকে না নিয়ে ফিরবেই না। এরপর মেয়েটা করলো, যে তুমি এখান থেকে এই মুহূর্তে না গেলে আমিও আটকে যাবো।
সৌমিত্র নিরুপায় হয়ে বিষন্ন মন নিয়ে একা দরোজার ভেতর ঢুকলো এবং সাথে সাথে একটা তীব্র আলোর ঝলকানিতে চারিদিকে ভরে গেলো। কান্নার শব্দ আর বিদ্যুতের ঝলকানির সাথে সাথে সবকিছু যেন নিঃশব্দ হয়ে গেলো। পরে সৌমিত্রর জ্ঞান ফিরলো এবং সে চোখ খুলে দেখে নিজের ঘরে মেঝেতে পড়ে আছে। এরপর সৌমিত্র আবার সেই আয়নার দিকে তাকালো, কিন্তু এইবার তাতে কোনোরকম আশ্চর্য হওয়ার মতো বিষয় নেই, অর্থাৎ তাতে কোনো ধোঁয়া নেই, ছায়ামূর্তি নেই। আছে শুধু তার প্রতিবিম্ব। তবে সৌমিত্র একটা জিনিস উপলব্ধি করতে পেরেছে যে, সে যা আয়নার ভেতর দেখেছে, তা কোনো ,সবই সত্যি। আর ওই মেয়েটাও আয়নার ভেতরে এখনো আছে।
আরো একটা বিষয় সে উপলব্ধি করলো যে, এটা একটা সময়ের পোর্টাল, যার মাধ্যমে অন্যত্র যাওয়া পসিবল। তবে সৌমিত্র সেই রহস্যে ঘেরা আয়নার ভেতরের অর্থাৎ আরেকটি জগৎ থেকে ফিরে আসলেও, কেমন জানি তার কাছে এখনো স্বাভাবিক কিছু লাগে না, কিছু একটা ঠিক নেই সেটা মনে মনে উপলব্ধি করতে থাকে। সৌমিত্র এরপরে সেই আয়নাটাকে একটি কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখে দেয়। এরপর কিন্তু তার পরেও যেন আয়নাটা স্বাভাবিক অবস্থায় নেই অর্থাৎ দর্পনের গায়ে যেন মাঝে মাঝে একটি ঘাম মতো জমতে থাকে। বেশ মাসখানেক কেটে যাওয়ার পরে সৌমিত্রর একদিন মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলো এবং সেই সাথে একটা গলার স্বর শুনতে পেলো- "আমার মুক্তি চাই....", সৌমিত্র ভয়ে সে উঠে লাইট জ্বালিয়ে দেখে ঠিক আছে কিনা।
কারণ তার আবার উঁকি মারে যে, আবার কি আয়নার মধ্যে থেকে কোনো ছায়ামূর্তি কথা বলছে? কিন্তু সে দেখলো না, সবকিছু স্বাভাবিক আছে এবং আয়না সেইভাবে ঢাকা আছে। কিন্তু হঠাৎ এক মুহূর্তের জন্য তার কেমন যেন অনুভূতি হলো যে, ঘরের দরজা দিয়ে হাওয়ার বেগে কিছু একটা বেরিয়ে গেলো। এই বিষয়টা সৌমিত্রর সাথে ঘটার পরে ওইদিন থেকেই যেন শহরে সব কেমন যেন, অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকে। কলকাতার কলেজ স্ট্রিট চত্বরে বিশেষ করে এই ঘটনা বেশি ঘটতে দেখা গিয়েছে।
সেখানকার একজন স্থানীয় ছাত্র বলে, সে নাকি তার বাড়িতে আয়নার সামনে একটি ঝুলন্ত অবস্থায় ছায়া দেখতে পেয়েছে। কেউ আবার বলছে, তার বাড়িতে আয়নার সামনে প্রতিবিম্ব কথা বলছে। সৌমিত্র সাথে সাথে বিষয়টা আন্দাজ করে নিলো যে- ছায়ারা এখানেও ফিরে এসেছে নিশ্চই। সে তার কাছের বন্ধুদের মাঝেও বদল লক্ষ্য করতে লাগলো, সবাই কেমন যেন একটা গম্ভীর অবস্থায় আছে। সৌমিত্র ভাবতে লাগলো যে, এরা কি আমার আগের সেই বন্ধু? না এদের বাস্তবে কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে?.....
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |




Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit