গল্পের বাকি অংশ সুরু করা যাক ......
মানুষের পারস্পরিক আচরণের উপরও প্যারাডাইমের শক্তিশালী প্রভাব বজায় থাকে।
একজন যেমন কোনো জিনিসকে তার অবস্থান থেকে সুস্পষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখতে পায়, ঠিক তেমনি অন্যজনও একই জিনিসকে তার অবস্থান থেকে সুস্পষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখতে পায়। অবস্থানের পার্থক্যের কারণে দেখার তারতম্য ঘটে। আমরা কী দেখি তা নির্ভর করে কোন অবস্থান থেকে আমরা দেখি তার উপর ।
একটি জিনিস যেভাবে আছে সেভাবেই আমরা দেখছি বলে সাধারণত মনে করি। অর্থাৎ দেখার ক্ষেত্রে আমরা বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে করি। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না। জগত যে রকম আছে ঠিক সেভাবে নয়, বরং আমরা যে রকম আছি ঠিক সেভাবে জগতকে দেখি। জগতকে দেখার জন্য আমাদের যে রকম সাপেক্ষীকরণ হয়েছে সে ভাবেই আমরা জগতকে দেখি। কী দেখছি সে বিষয়টি যখন বর্ণনা করতে যাই তখন আমরা মূলত আমাদের নিজেদেরকে অর্থাৎ আমাদের প্রত্যক্ষণ বা প্যারাডাইমকেই ব্যাখ্যা করি। অন্য কেউ যখন আমাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তখন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধরে নেই, সে ভুল করছে। কিন্তু উপরে উল্লিখিত ছবি দেখার দৃষ্টান্ত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আন্তরিক ও পরিচ্ছন্ন চিন্তার দুজন মানুষও একই বিষয়ে অভিন্ন দেখতে পারে। কারণ, তারা দুজনেই তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র চোখ দিয়ে বিষয়টিকে দেখে।
দেখার এই ভিন্নতা থেকে মনে করা ঠিক হবে না যে, আসলে দৃশ্যমান ক্ষেত্রে কোনো ঘটনা নেই। ১নং ও ৩নং ছবি প্রথমে দেখে যখন দুজন ব্যক্তি ২নং ছবিটি দেখেন তখন তাঁরা একই ঘটনা দেখতে পান। অর্থাৎ তাঁরা দুজনেই ছবির একই সাঁদা স্থানগুলো এবং কালো রেখাগুলো প্রত্যক্ষ করেন। এই সাদা স্থান এবং কালো রেখাই
মনে করা আপনার পক্ষে ইতিবাচক হবে । আপনি যেভাবে তাকে দেখেন আপনার আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গি তা দ্বারাই প্রভাবিত হবে।
উপরের ছবি দেখার ধরনটিই ব্যক্তিত্ব-নৈতিকতার একটি মৌলিক শক্তির উপর আলোকপাত করে। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্র হলো প্যারাডাইম। আমরা যদি নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তন করতে চাই, তবে এর উৎস যে প্যারাডাইম তাকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্যারাডাইমের প্রতি যত্নশীল না হয়ে আমরা যদি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও আচরণের পরিবর্তন করতে চাই তবে এ প্রয়াস ব্যর্থ হতে পারে। যে কোনো মৌলিক পরিবর্তনের জন্য প্যারাডাইমের পরিবর্তন প্রয়োজন।
মানুষের পারস্পরিক আচরণের উপরও প্যারাডাইমের শক্তিশালী প্রভাব বজায় থাকে ।
একজন যেমন কোনো জিনিসকে তার অবস্থান থেকে সুস্পষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখতে পায়, ঠিক তেমনি অন্যজনও একই জিনিসকে তার অবস্থান থেকে সুস্পষ্ট ও বস্তুনিষ্ঠভাবে দেখতে পায়। অবস্থানের পার্থক্যের কারণে দেখার তারতম্য ঘটে। আমরা কী দেখি তা নির্ভর করে কোন অবস্থান থেকে আমরা দেখি তার উপর ।
একটি জিনিস যেভাবে আছে সেভাবেই আমরা দেখছি বলে সাধারণত মনে করি । অর্থাৎ দেখার ক্ষেত্রে আমরা বস্তুনিষ্ঠ বলে মনে করি। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটে না । জগত যে রকম আছে ঠিক সেভাবে নয়, বরং আমরা যে রকম আছি ঠিক সেভাবে জগতকে দেখি। জগতকে দেখার জন্য আমাদের যে রকম সাপেক্ষীকরণ হয়েছে সে ভাবেই আমরা জগতকে দেখি। কী দেখছি সে বিষয়টি যখন বর্ণনা করতে যাই তখন আমরা মূলত আমাদের নিজেদেরকে অর্থাৎ আমাদের প্রত্যক্ষণ বা প্যারাডাইমকেই ব্যাখ্যা করি। অন্য কেউ যখন আমাদের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তখন আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ধরে নেই, সে ভুল করছে। কিন্তু উপরে উল্লিখিত ছবি দেখার দৃষ্টান্ত থেকে প্রতীয়মান হয় যে, আন্তরিক ও পরিচ্ছন্ন চিন্তার দুজন মানুষও একই বিষয়ে অভিন্ন দেখতে পারে। কারণ, তারা দুজনেই তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার স্বতন্ত্র চোখ দিয়ে বিষয়টিকে দেখে।
Congratulations, your post has been upvoted by @nixiee with a 21.347437663709538 % upvote Vote may not be displayed on Steemit due to the current Steemit API issue, but there is a normal upvote record in the blockchain data, so don't worry.
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit
Downvoting a post can decrease pending rewards and make it less visible. Common reasons:
Submit